রোববার   ১০ আগস্ট ২০২৫   শ্রাবণ ২৫ ১৪৩২   ১৫ সফর ১৪৪৭

সর্বশেষ:
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও অস্ট্রিয়ায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৯ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও রুশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় দফা আলোচনা শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড কী, কখন মোতায়েন করা হয়? যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করলেন কেনেডি ফ্রান্সগামী উড়োজাহাজে চড়ে ইসরাইল ছাড়লেন গ্রেটা থুনবার্গ না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ সিঙ্গাপুরের ঘাম ঝরিয়েও হার বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন কফিতে মশগুল ব্রিটেনে পলাতক সাবেক মন্ত্রীরা! নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের সাভারে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি, চালক ও সহকারী আটক ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখার নির্দেশ উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতার আওতায় ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’ নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্র্রঙ্কসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সাবওয়ে ট্রেনে সন্তান প্রসব নিউইয়র্কে আইস পুলিশের বিশাল অফিস উদ্বোধন মেয়রের মামলা প্রত্যাহারে প্রসিকিউটরের পদত্যাগ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশদাতা জন্ম নাগরিকত্ব বাতিল আদেশ আটকে দিল আদালতে নিউইয়র্কে ডিমের ডজন ১২ ডলার নিউইয়র্কে ভালোবাসা দিবস উৎযাপন আমেরিকান বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন’র আত্মপ্রকাশ জামালপুর সমিতির সভাপতি সিদ্দিক ও সম্পাদক জাস্টিস শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
১৩৮

মহাকাশে নভোচারীদের অবাক করা জীবনযাপন

নিউজ ডেক্স

প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮  

নভোচারী বা মহাকাশচারী সেই ব্যক্তিকে বলা হয় যিনি মহাশূন্যে ভ্রমণ করেন। আমরা পৃথিবীতে যেভাবে খুশি জীবনযাপন করতে পারি, কিন্তু মহাকাশে নভোচারীদের ঠিক তার উল্টো জীবনযাপন করতে হয়।

মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সেখানে শূন্য, জনমানব শূন্য জায়গা, স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না, প্রচুর চাপ থাকে, সেই সঙ্গে থাকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ।

আসুন জেনে নেই, নভোচারীরা কিভাবে জীবনযাপন করে থাকেন মহাকাশে।

পিরিয়ড নিয়ে দুশ্চিন্তা
মহাকাশে প্রথম নারী নভোচারী পাঠানোর আগে পর্যন্ত নাসার বিজ্ঞানীরা আসলে কখনো এটা নিয়ে ভাবেনি, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অভাব নারীর পিরিয়ডে কি ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। ১৯৮৩ সালে ৩২ বছর বয়সে যখন প্রথম নারী নভোচারী হিসেবে স্যারি রাইড অনেক দিনের জন্য মহাকাশ ভ্রমণে যান, ইঞ্জিনিয়াররা ১০০ তুলার প্যাকেট সঙ্গে করে নিয়েছিলেন যাতে করে কোনো সমস্যার মুখে না পরতে হয়। নাসার চিকিৎসকরা অনেক চিন্তিত ছিলেন পিরিয়ডের বিষয়টি নিয়ে, কারণ এটার ফলে তাকে ফিরে আসতে হয় নাকি অভিযানের মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু তাদের চিন্তা সম্পূর্ণ বিপরীত একটা ফলাফল দিয়েছিল সেসময়ে। পিরিয়ড তার জন্যে পজিটিভ হয়েছিল, কারণ কক্ষপথে মহাকাশযানে ভ্রমণকালে নভোচারীদের আয়রনের লেভেল অনেক বেড়ে যায়, আর পিরিয়ডের ফলে শরীরের আয়রনের লেভেল কমে যায়।
 
শারীরিক সম্পর্ক
আপনি যদি মহাকাশে শোবার চেষ্টা করেন তাহলে আপনি নিউটনের তৃতীয় সূত্র গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। পদার্থবিজ্ঞান অনুযায়ী, মহাকাশে একটি কাপল কখনই বেগ প্রয়োগ করতে পারবেনা আর এর ফলে তারা কেউই একে অন্যের প্রতি যে চাহিদা বা আকাঙ্ক্ষা সেটা পূরণ করতে পারবেনা। সৌভাগ্যক্রমে রাশিয়ার দুজন বিজ্ঞানী পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ বিরোধী চেম্বারের মধ্যে সেক্স করেছিলেন পরীক্ষামূলকভাবে। বহুল ব্যবহৃত ২০টি পজিশনের মধ্যে ৪টি পজিশনে কোনো ধরনের মেডিকেল সহায়তা অথবা বেল্ট এর সহযোগিতা ছাড়াই তারা মিলিত হতে পেরেছিলেন। তাদের মতে, বহুল প্রচলিত মিশনারি পজিশনে কখনোই সম্ভব নয়।
 
ঘুমানো
বাসার মতো বিশাল বড় আরামদায়ক কোনো বিছানার ব্যবস্থা থাকে না মহাশুন্যে নভোচারীদের, তাদের দেহকে তারা স্পেস ক্রাফটের একটি সাইডে নিজেদের বেঁধে নেন, যাতে করে তারা এদিক ওদিক ভেসে না বেড়ান। এমনকি তারা নিজেদের দুই হাত বুকে জড়িয়ে ঘুমাতে পারেন না। তাদের দুই হাত তাদের সামনে সোজা হয়ে ভাসতে থাকে। ঘুমন্ত নভোযাত্রীদের ভেন্টিলেশনের ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হয়, না হলে তো তারা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে ফেলবেন।
 
বিষন্নতার সঙ্গে লড়াই
পৃথিবীর কক্ষপথে ভ্রমণ অত্যন্ত একটি রোমাঞ্চকর ব্যাপার, কিন্তু এটা অনেক সময় মানসিক একটি শ্রমে পরিণত হতে পারে এবং নভোচারীদের মনকে অবসাদে আচ্ছন্য করে দিতে পারে। অনেক নভোচারী এটা স্বীকার করছেন যে, দীর্ঘ সময় কাল ধরে মহাকাশ যান চালনা এবং যে সকল অভিযান চলে মহাকাশে সেই অভিযানগুলোতে মনের মধ্যে একটা ভয় ও সংশয় কাজ করে কারণ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ হয় সেসব অভিযানে। আর এর থেকে তারা একাকিত্ব, বিষন্নতা ও মানসিক চাপে থাকেন। এসবের সঙ্গে লড়াই করার জন্য বর্তমানে বিজ্ঞানীরা বিশেষ কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছেন।
 
খাওয়া-দাওয়া
যখন একজন নভোচারী নভোযানে উঠেন তখন তার পছন্দনীয় সকল খাবার-দাবার খাওয়ার শখ পৃথিবীতে রেখে যেতে হয় কয়েক মাসের জন্য। মজাদার ডিনার তো নয়ই, তাদের খেতে হয় ইউএস, জাপান, রাশিয়াতে প্রস্তুতকরা প্যাকেটজাত ডিহাইড্রেটেড খাবার। বাসনপত্র অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, এমনকি ছুরি বা কাটাচামচের খোঁচায় যন্ত্রাংশের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই এগুলো পৃথিবীতেই রেখে যেতে হয়।
 
নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা  সহজ নয়
আমাদের সাধারণভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার মতো সহজ কোনো উপায় মহাকাশে থাকে না। অত্যন্ত নিপুণভাবে নভোচারীদের ওয়াটার ব্যাগ এবং শ্যাম্পুর প্যাকেট খুলতে হয়, যাতে করে প্যাকেটের উপাদানগুলো বাইরে বেরিয়ে না যায়। নিজেদের পরিষ্কার করার জন্য নভোচারীরা কাপড় কিংবা স্পঞ্জ ব্যবহার করে, যাতে সাবান ও পানি তাদের শরীরে ছোয়াতে পারেন। দাঁত ব্রাশ করার পর তারা টুথপেস্ট এর পিক ফেলতে পারেন না, হয় গিলে ফেলতে হবে নয়তো বর্জ্য কাপড়ে তরল মুছে ফেলতে হবে।
 
টয়লেট ব্যবহারেও সতর্কতা
ঘুমানো এবং সেক্স এর মতোই, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অভাবে টয়লেট ব্যবহার করা খুবই ঝামেলাকর একটি কাজ। বাঁধার ফিতা নভোচারীদের নির্দিষ্ট স্থানে ধরে রাখতে সহায়তা করে, আর বায়ুপ্রবাহ মল ত্যাগ করতে সাহায্য করে। কিন্তু এটা ব্যক্তিগতভাবে নিজেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে মলমূত্র যাতে ভেসে না বেড়ায় এদিক সেদিক। পৃথিবীতে তাদের এটার প্রশিক্ষণ নিতে হয় এবং প্রশিক্ষণে তাদের লক্ষ্য পূরণ ঠিকমত হচ্ছে কিনা দেখার জন্য টয়লেট ক্যামেরা ব্যবহার করেন।
 
ব্যায়াম জরুরি
মহাকাশ যানে কিংবা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মধ্যে চলাফেরায় যেহেতু নভোচারীদের তেমন পরিশ্রম করতে হয় না, তাই পেশি ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা হারাতে পারে ও হাড় ক্ষয় হতে পারে। তাই নভোচারীদের প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হয় কমপক্ষে দুই ঘণ্টা। নাসার তথ্যানুযায়ী, তিন ধরনের ব্যায়ামের যন্ত্র ব্যবহৃত হয়। সাইকেল এরগোমিটার নভোচারীর ব্লাড প্রেসার চেক করার জন্য ব্যবহার করা হয় এবং রেজিসট্যান্স এক্সারসাইজ ডিভাইস পায়ের ব্যায়াম, হাতের ব্যায়াম, পায়ের গোড়ালি উঁচু করানো ব্যায়াম করতে সহায়তা করে থাকে। ট্রেডমিল মেশিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম করার মেশিন, হাঁটলে যে রকম হাড় ও পেশি মজবুত হয়, এটা ঠিক সেই কাজটাই করে এবং পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।
 
বর্জ্য পরিত্রাণ
যেহেতু মহাকাশ যানে একসঙ্গে কয়েকজন নভোচারী থাকে, তাই বর্জ্য অপসারণে কার্যকর ব্যবস্থা সবসময়ই গুরুত্বের বিষয় ছিল নাসার কাছে। একবিংশ শতাব্দীর আগে প্রস্রাব মহাকাশে বের করে দেয়া হতো, কিন্তু পরে দেখা গেল প্রস্রাবগুলো জমাট বেধে নভোযান এর ক্ষতি করে, সেই সঙ্গে সোলার প্যানেলেরও ক্ষতি করতে থাকে। বর্তমানে প্রস্রাব পরিশোধন করে খাবার পানিতে রূপান্তর করা হয়ে থাকে এবং অন্যান্য বর্জ্যগুলোকে বস্তাবন্দী করে আবহাওয়ার এমন জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়, যেখানে তা নিজে নিজে জ্বলে যায়।

নভোচারীদের দৈনন্দিন কাজ
মহাকাশে নভোচারীদের শুধু খাওয়া বা ঘুমানোর জন্য পাঠানো হয়না। নভোচারীদের ১২ ঘণ্টা করে প্রতিদিন কাজ করতে হয় নভোযানের রক্ষণাবেক্ষণ, রোবোটিক অপারেশন, গবেষণা সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে।
 

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর