প্রত্যন্ত গ্রামে শত কোটি টাকার রাজপ্রাসাদ
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০১৯
পুরো গ্রাম জুড়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের বসবাস। গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে টিনের বেড়া। এখানে উঁচু তলার ভবন করার সামর্থ্য নেই কারও। কিন্তু গ্রামে ঢুকতেই শ্বেত পাথর দিয়ে তৈরি বিশাল দুটি অট্টালিকা নজর কাড়ে সবার। কাছে গিয়ে না দেখলে মনে হবে রাজপ্রাসাদ।
কথিত আছে, এই বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। আর এটি তৈরি করতে সময় লেগেছে দীর্ঘ ১২ বছর। বর্তমানে কেউ এই বাড়িতে বসবাস করেন না। শুধুমাত্র একজন কেয়ারটেকার রয়েছেন দেখাশোনার জন্য।
বাড়ির মালিক সাখাওয়াত হোসেন টুটুল গত বছর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে ঢাকায় কারাগারে ছিলেন। বর্তমানে তার অবস্থান জানাতে পারেনি কেউই। বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের দেউলী সরকারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন টুটুল।

দেউলী সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা জানায়, স্কুলজীবনে বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে বাড়ি ছাড়েন টুটুল। এরপর ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। সেখানেই লেখাপড়া শেষ করে বিয়ে করেন এক অবাঙালি নারীকে। এরপর থেকেই তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে। ঢাকার ধানমন্ডিতে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, গাজিপুর টাটকা ফুড প্রডাকশন ফ্যাক্টরি, গ্রামের বাড়িতে একটি ইটভাটা এবং একটি কোল্ড স্টোরেজ ছাড়াও প্রায় শতাধিক বিঘা আবাদি জমি রয়েছে টুটুলের। এছাড়াও আরও অনেক ব্যবসা রয়েছে তার। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান টুটুল কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলো তা নিয়ে এলাকায় রয়েছে নানা আলোচনা ও রহস্য।
বগুড়া জেলা শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে শিবগঞ্জ উপজেলার নিভৃত গ্রাম দেউলী। মহাস্থান মোকামতলা হয়ে আরও কিছুটা এগিয়ে পাকুরতলা এলাকায় পৌঁছে ডান দিকে ঘুরে কয়েক কিলোমিটার এবড়ো থেবড়ো পথ পেরিয়ে দৃষ্টিতে আসবে এই বাড়িটি। এলাকার লোকের কাছে বাড়িটি টুটুলের বাড়ি হিসেবে পরিচিত। মালিক টুটুল স্বপরিবারে ঢাকায় থাকেন। বাড়ির পুরো সীমানাসহ প্রতিটি অবকাঠামো দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হয়েছে। দূর থেকে মনে হবে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। মূল ফটকটি নাটোরের উত্তরা গণভবনের নকশায় নির্মিত। ভেতরে চার তলা প্রাসাদের প্রথম ইউনিট ও দ্বিতীয় ইউনিটের ওপরে চৌকোনা চারটি গম্বুজ উত্তরা গণভবনের মতো। মূল ফটক দিয়ে ঢোকার পরই হাতের বাঁয়ে চোখে পড়বে শ্বেত পাথরের হংস ফোয়ারার চার ধারে পাথরের সান বাঁধানো পুকুর।

বাড়িটির প্রথম ইউনিটে বড় দরজা দিয়ে প্রবেশের পর বিরাট হল রুম। দেয়ালের পরতে পরতে নকশা। দ্বিতীয় ইউনিটে প্রবেশের পর সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার সময় নজরে আসবে পোড়ামাটির ফলক (টেরাকোটা)। প্রতিটি ফলকে প্রাচীন ইতিহাসের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দোতলার ঘরগুলো সুপরিসর। এখানে ফাইভ স্টার হোটেলের লাউঞ্জ ও রিসিপসনিস্টদের মতো ডিজাইন করে রাখা হয়েছে। সিঁড়ি বেয়ে চতুর্থ তলায় গিয়ে মনে হবে বিদেশি হোটেলগুলোর মতো যে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন সেখানে করা সম্ভব।
কাঠের জানালা দরজাসহ প্রতিটি কাজই প্রাচীন নকশায় তৈরি। সবচেয়ে দামি কাঠ ব্যবহার হয়েছে এসব কাজে। শ্বেত পাথরও আনা হয়েছে বিদেশ থেকে। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। প্রতিটি ঘরেই এয়ার কন্ডিশনার আছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে হঠাৎ করে সাখাওয়াত হোসেন টুটুল তার পৈতৃক টিনের বাড়ির পাশে, নতুন এই বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। প্রায় সাড়ে তিন একর জায়গা নিয়ে শুরু করেন বাড়ি নির্মাণের কাজ। শুরুতে প্রতিবেশীরা মনে করেছিলেন মাঝে মধ্যে গ্রামে এসে অবস্থান করার জন্য বিল্ডিং তৈরি করছেন। কিন্তু দেখা যায় ইটের পরিবর্তে কংক্রিটের গাঁথুনি দিয়ে শুরু করা হয় নির্মাণ কাজ। পাশাপাশি দুটি বিল্ডিং তৈরি করা হয়। নির্মাণ শেষে পুরো বাড়ি দুটি এবং সীমানা প্রাচীরে টাইলসের পরিবর্তে শ্বেত পাথর দেয়া হয়। এমনকি পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য তৈরি সেফটিক ট্যাংকের ওপরের অংশেও দেয়া হয়েছে শ্বেত পাথর। নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরাও এলাকার কেউ না। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৮ সালে তা বসবাসের উপযোগী করে তোলা হয়।

একটি চারতলা, আরেকটি তিনতলা বাড়ির ছাদে রয়েছে ৪টি করে গম্বুজ। প্রধান ফটকে রয়েছে ৪টি গম্বুজ। দুটি বাড়ি ছাড়াও আলাদা করে রয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইনের রান্না ঘর, দুটি পুকুর, বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণিদের নিয়ে তৈরি করা একটি পার্ক এবং ফুলের বাগান।
বর্তমানে এ বাড়িতে কেউ বসবাস না করলেও প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসে বাড়িটি এক নজর দেখার জন্য। কিন্তু বাড়ির মালিক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।

কেয়ার টেকার জয়ন্ত কুমার জানান, অপরিচিত লোকজনকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিতে কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে। এ জন্য বাড়ির সামনে প্রবেশ নিষেধ কথাটি লিখে রাখা হয়েছে।
এদিকে লোকজনের ভিড় হওয়ার কারণে বাড়ির সামনে গড়ে উঠেছে একটি হোটেলসহ বিভিন্ন দোকান। পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার বাড়িটি পরিদর্শন করেছেন।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে দুদকের মামলায় গ্রেফতার হন সাখাওয়াত হোসেন টুটুল। এরপর থেকে বাড়ির ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। সাখাওয়াত হোসেন টুটুল কারাগারে থাকার পর থেকে তার বড় ভাই ফজলুল বারি তার ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশোনা করছেন।

ফজলুল বারি জানান, তিনি এসব ব্যাপারে কথা বলতে চান না। টুটুল কেন এত টাকা খরচ করে এই বাড়ি নির্মাণ করেছেন তা পরিষ্কার নয়। তবে এটা ঠিক যে, এই বাড়ির কারণেই তাকে জেল খাটতে হচ্ছে।
দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, টুটুল ভাই এলাকায় খুবই জনপ্রিয় মানুষ। এলাকার মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ান তিনি। কী কারণে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে এ বিষয়ে তিনিও কিছু বলতে পারেননি।
- যুক্তরাষ্ট্রে নার্সিং হোমে বিস্ফোরণ, নিহত ২
- ওজন কমানোর ওষুধ ‘ওয়েগোভি’কে অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
- ওয়াশিংটনের ‘ভারত প্রথম’ যুগের সমাপ্তি
- যে কারণে বিদেশি শিক্ষার্থী হারাচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
- দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন অর্থনীতি
- ভারতের অরুণাচল প্রদেশ চায় চীন
- পাঁচ ইউরোপীয় নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
- বৃহস্পতিবার চলাচলে ঢাকাবাসীকে মানতে হবে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
- মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে প্রাণ গেল পথচারীর
- প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ
- দেশের পথে তারেক রহমান
- টেকনাফে আরও ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
- আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে বিএনপি-জামায়াতের ‘প্রতিযোগিতা’ চলছে
- ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সরকার কাজ করছে’
- আলোচনা থাকলেও আপাতত উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে না
- হাইকমিশনের নিরাপত্তায় দিল্লির আশ্বাসের বাস্তবায়ন চায় ঢাকা
- জমিয়তকে ৪ আসনে ছাড়ের ঘোষণা বিএনপির
- যুক্তরাষ্ট্র উপকূলে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৫
- মাদুরোকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, ভেনেজুয়েলাকে সমর্থন চীন-রাশিয়ার
- জি এম কাদেরের জাপা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না
- বেগম জিয়াকে নিয়ে জাইমা রহমানের আবেগঘন স্ট্যাটাস
- ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব
- খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় যুবশক্তির নেত্রী আটক
- পরিচিতরাই গুলি করেন এনসিপি নেতা মোতালেবকে, পুলিশের ধারণা
- নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে: মার্কিন বিশেষ দূতকে প্রধান উপদেষ্টা
- বিচার বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে এপস্টেইনের ১৬ ফাইল রাতারাতি উধাও
- পিডি মাসউদুরের নোটে তিন হাজার কোটি টাকা ‘হরিলুট’
- যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে
- নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সরকারের সঙ্গে দলেরও ব্যাপক প্রস্তুতি
- ফিলিস্তিনিসহ ৮ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৭৬
- এক কোটি আইডি ডিলিট করল ফেসবুক, শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা
- আজকাল সংখ্যা ৮৭৯
- কবির জন্য একটি সন্ধ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭৮
- আজকের আজকাল ৮৭৩
- ১৮ জুলাই সবাইকে বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেবে সরকার
- ২০২৬ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল
- শেখ রাসেলের একটি প্রিয় খেলা
- ঢাকার ২৩ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার
- বিকাশের কাছে জিম্মি এজেন্টরা
- আবার ক্ষমতায় আসছে আওয়ামী লীগ: ইআইইউ
- ‘নগদ’কে অনুসরণ করে এগুচ্ছে বিকাশ!
- জাতিসংঘে অভিবাসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবনা গৃহীত
- ৫০ হাজার আসনের ‘শেখ হাসিনা’ ক্রিকেট স্টেডিয়াম হচ্ছে পূর্বাচলে
- শেষ ঠিকানা আজিমপুর কবরস্থান
- ভেনামি চিংড়ি চাষে প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাস
- সরকার যথাসময়ে পদক্ষেপ নেওয়ায় কোভিডের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে: প্
- বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দিকে মনোযোগ বাড়ানোর তাগিদ
- শেখ হাসিনার হাতটি ধরে পথের শিশু যাবে ঘরে
- আমিরাতের সঙ্গে বাণিজ্য সমঝোতা স্মারক সই
- চা-চক্রে দেশ গঠনে সবার সহযোগিতা চাইলেন সেতুমন্ত্রী
- প্রচারণার শুরুতেই সহিংসতা অনাকাঙ্ক্ষিত: সিইসি
