পাক-ভারত পরমাণু যুদ্ধ যে কোনও মুহুর্তে
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কাশ্মীর বিরোধের জের ধরে ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। গবেষকরা বলছেন, এর ফলে জলবায়ুর ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়বে তাতে অনাহারে মারা যাবে আরো বহু কোটি মানুষ। এরকম এক বিপর্যয়ের ধারণা দিতে গিয়ে বলা হচ্ছে, ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দুটো দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। আমেরিকার রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এসব আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
এই যুদ্ধ কীভাবে শুরু হবে তার কিছু সিনারিও বা কাল্পনিক দৃশ্যও গবেষকরা তৈরি করেছেন।
দৃশ্য-কল্প ১:
ভারতীয় পার্লামেন্টে বোমা হামলা চালাবে একজন সন্ত্রাসী। নিহত হবেন ভারতীয় নেতারা। জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ভেতরে প্রবেশ করে আক্রমণ চালাবে। নিজেদের রক্ষার্থে পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করবে পাকিস্তান। এরপর ভারতও তাদের পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করবে। দুটো দেশই তখন তাদের কাছে যতো পরমাণু অস্ত্র আছে সেসব নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হবে।
দৃশ্য-কল্প ২:
কাশ্মীরে আক্রমণ করবে ভারত। তার পর শুরু হয়ে যাবে পারমাণবিক যুদ্ধ। তবে উভয় দেশে যদি বিচার-বুদ্ধিসম্পন্ন নেতারা ক্ষমতায় থাকেন তাহলে হয়তো এরকম কিছু হবে না। আর এ কারণেই এখনও পর্যন্ত সেরকম কিছু হয়নি। কিন্তু এরকম আরও নানা রকমের কাল্পনিক দৃশ্য তৈরি করা যায় যার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় চালানো হামলায় ৪০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয় যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. অ্যালান রোবোক, যিনি এই গবেষণার সাথে যুক্ত ছিলেন, বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "ভারত ও পাকিস্তান তাদের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার বাড়িয়ে চলেছে। শুধু সংখ্যার বিচারেই নয়, এসব অস্ত্রের বিস্ফোরণের শক্তিও তারা ক্রমাগত বৃদ্ধি করছে। ফলে তাদের আশঙ্কা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেই এই যুদ্ধের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
যুদ্ধের এসব দৃশ্য-কল্প কিভাবে তৈরি করা হয়েছে? এসব কী নিছকই কিছু নাটক? এ বিষয়ে গবেষক অ্যালান রোবোক বলছেন, কিছু পেশাজীবীকে নিয়ে তারা ওয়ার্কশপ করেছেন। যেখানে এসব সম্ভাব্য কারণের কথা উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, "ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়া কয়েকজন জেনারেলকে আলাদা আলাদা দুটো কক্ষে বসিয়ে দেওয়া হয়। এক পক্ষকে বলা হয় যেসব কারণে যুদ্ধ হতে পারে তার কিছু ধারণা দিতে। তার পর সেগুলো অন্য আরেকটি কক্ষে অপর গ্রুপের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় সেরকম কিছু হলে তারা কী করবেন? এরকম আলোচনার ভিত্তিতেই এসব সিনারিও তৈরি করা হয়েছে।"
তবে তিনি বলেন, "এগুলো কিছু দৃশ্য-কল্প। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়তো কিছু হয় না। নেতারা ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখেন। কিন্তু কখনো কখনো পরিস্থিতি তো নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেতে পারে!"
কেন ২০২৫?
গবেষণা প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, ২০২৫ সালেই যুদ্ধে জড়াতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার চির-বৈরি দুটো দেশ: ভারত ও পাকিস্তান। যুদ্ধের এই সময় কীভাবে নির্ধারণ করা হলো?
অধ্যাপক রোবোক বলছেন, ভবিষ্যৎ থেকে তারা শুধু একটি বছরকে বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, "এই যুদ্ধ যে কোনও সময়ে লাগতে পারে, হতে পারে আগামীকালও। ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোন তথ্য থাকে না। কখন কী হবে সেটাও কেউ বলতে পারে না। সেকারণে আমরা কিছু দৃশ্য-কল্প ব্যবহার করেছি কী হতে পারে সেটা বোঝার জন্যে। সেই সম্ভাবনার কথা চিত্রিত করতে আমরা শুধু একটা সময়কে বেছে নিয়েছি।"
আসলেই কি ২০২৫ সালে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে? ভারতীয় সেনা বাহিনীর একজন সাবেক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল দীপঙ্কর ব্যানার্জি বলছেন, এই গবেষণা একেবারেই কাল্পনিক, যার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
তিনি বলেন, "লোকেরা ভাবছেন দুটো দেশের আণবিক বোমা আছে, তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো নয়, তার মানে পাঁচ ছ'বছর পর তাদের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যাবে। "
তবে তিনি বলেন, ২০২৫ সালে না হলেও যে কোনও সময় এই দুটো দেশের মধ্যে যুদ্ধ হতে পারে।
১৯৯৮ সালে ভারত ও পাকিস্তান আণবিক বোমা পরীক্ষা চালিয়েছে। এর পরে গত ১১ বছর চলে গেছে। এর মধ্যে কারগিল যুদ্ধ হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেসময় এবং তার পর থেকে কখনোই আণবিক বোমা ব্যবহারের কথা উঠেনি।
এ বিষয়ে দীপঙ্কর ব্যানার্জি বলেন, "কোন দেশ ইচ্ছে করে কিছু করতে চায় না। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত বিভিন্ন কারণে - যেমন ভয়ে, রাগে অনেক সময় অনেক কিছুই হয়ে যায়।"
এই গবেষণার সাথে একমত প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানে কায়দে আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. পারভেজ হুডভাই। তিনি বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধের সম্ভাবনা সবসময়ই আছে।
পাক এই বিজ্ঞানী বলেন, "কোন পরিকল্পনা থেকে নয়, বরং দুর্ঘটনাবশতই এরকম যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। দুটো দেশের মধ্যে যদি অনন্তকাল ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে, এবং তাদের কাছে পরমাণু অস্ত্র থাকে, তাহলে তো অনেক কিছুই ঘটতে পারে।"
উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "কাশ্মীরের পুলওয়ামার পর বালাকোটে যা হয়েছে, পাকিস্তান এর আরো কঠোর জবাব দিতে পারতো। তখন ভারতও কিছু একটা করতো। এরকম একের পর এক ঘটনায় উত্তেজনা এতোটাই ছড়িয়ে পড়তে পারতো যে পারমাণবিক যুদ্ধও শুরু হয়ে যেতে পারতো।"
"শীতল যুদ্ধের সময় যা হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানের বিরোধ তার চাইতেও খারাপ। আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কয়েক হাজার মাইলের দূরত্ব কিন্তু ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত একই, যেখানে প্রায় প্রতিদিনই একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়, ফলে উত্তেজনা শীতল যুদ্ধের চাইতেও বেশি।"
কাশ্মীরই কী একমাত্র কারণ?
গবেষক অ্যালান রোবোক বলেন, "শুধু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নয়, হতে পারে ভারত ও চীনের মধ্যেও। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে হওয়ারও অনেক কারণ আছে। তবে আমরা ভারত ও পাকিস্তানকে বেছে নিয়েছি, কারণ কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে এ-দুটো দেশের মধ্যে অব্যাহত বিরোধ চলছেই। সামরিক যুদ্ধে জড়ানোর অতীত ইতিহাসও তাদের রয়েছে।"
তবে পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী মি. হুডভাই মনে করেন, অন্যান্য কারণ থাকলেও কাশ্মীরই হবে প্রধান কারণ।
তিনি বলেন, "কাশ্মীরের পরিস্থিতি যতোই শান্ত করা যাবে, পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকিও ততোটা কমে আসবে। দুর্ভাগ্যজনক হলো সেরকম কিছুই হচ্ছে না। এছাড়াও পরিবেশগত কিছু পরিবর্তনও পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে দিতে পারে।"
তিনি আরও বলেন, "পাকিস্তানের বেশিরভাগ পানি আসে হিমালয় থেকে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমালয়ের সব হিমবাহ গলে উধাও হয়ে গেলে কাশ্মীর পাকিস্তানের জন্যে আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে পানির উৎসের জন্যে। এনিয়ে যদি সমঝোতা না হয় তাহলে তো যুদ্ধের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।"
সাবেক ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ব্যানার্জি বলছেন, সন্ত্রাসবাদের মতো আরো কিছু ইস্যুও যুদ্ধের কারণ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, "২০০৮ সালে পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসীরা এসে মুম্বাই-এ আক্রমণ করেছিল। এরকম আক্রমণ আবারও হলে তখন পরিস্থিতি অন্য রকমের হয়ে যেতে পারে। "
তিনি মনে করেন, পানির কারণেও এই যুদ্ধ হতে পারে। "১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল তাতে দুটো দেশের কেউই খুশি নয়। যখন উভয়পক্ষ সমান সমান অখুশি হয় তখন মেনে নিতে হয় যে আমি যদি আরো বেশি খুশি হতে চাই তাহলে আমার প্রতিপক্ষ আরো বেশি অখুশি হবে। তখন যুদ্ধের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।"
সুইডিশ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসেবে পাকিস্তানের ১৬০টি আর ভারতের আছে ১৫০টির মতো পারমাণবিক বোমা। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা বলছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান ৪০০ থেকে ৫০০ পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করে ফেলবে।
ইসলামাবাদে কায়দে আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু বিজ্ঞানী মি. হুডভাই বলছেন, এই দুটো দেশের মধ্যে পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে।
"যদিও এসব তথ্য অত্যন্ত গোপনীয় তারপরেও ধারণা করা হয় যে পাকিস্তানের কাছে হয়তো দশ/বিশটি বেশি বোমা আছে। ভারতের এখন পারমাণবিক ডুবোজাহাজও আছে। পাকিস্তানও এরকম ডুবোজাহাজ নির্মাণ করছে। ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এসব অস্ত্র নিক্ষেপের ক্ষমতা ও সংখ্যা দুটো দেশেরই বৃদ্ধি পাচ্ছে।"
অন্য কোথাও?
পারমাণবিক অস্ত্র আছে বিশ্বের মোট ন'টি দেশের। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র এই অস্ত্র তৈরি করে, তার পরে আজকের রাশিয়া। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীনেরও পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। কাকতালীয় হলেও এই পাঁচটি দেশ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য।
এর বাইরে ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল এবং উত্তর কোরিয়ারও পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করেছে।
রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালান রোবোক বলছেন, পরমাণু শক্তিধর এসব দেশের যেকোনো দু'টোর মধ্যেই পরমাণু যুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার পরমাণু শক্তিধর একটি দেশ এমন আরেকটি দেশে আক্রমণ করতে পারে যাদের পরমাণু অস্ত্র নেই।"
রোবোক বলেন, "পরমাণু অস্ত্র যখন আছে তখন পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কাও আছে। ইতোমধ্যেই এরকম একটি যুদ্ধ হয়ে গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র জাপানের হিরোশিমায় পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল, যা থেকে আমরা ভবিষ্যতেও এরকম যুদ্ধের আশঙ্কা করতে পারি।"
ভারতের সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল দীপঙ্কর ব্যানার্জিও বলছেন, কোথায় পরমাণু যুদ্ধ শুরু হবে এটা কেউই বলতে পারে না।
মি. ব্যানার্জি আরও বলেন, "চীনের পরমাণু অস্ত্র আছে, জাপানের নেই। কিন্তু তাদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। তাদের মধ্যে অনেক রকমের উত্তেজনা আছে। আমেরিকা জাপানকে বলেছে, চীন যদি তোমাদের আণবিক অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখাতে চায় তাহলে আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি। তাদের মধ্যে সে রকম চুক্তিও আছে। তাই এই নয়টি দেশের বাইরেও পারমাণবিক যুদ্ধ হতে পারে।"
তিনি বলেন, "মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ছাড়া এখনও পর্যন্ত অন্য কোন দেশের আণবিক বোমা নেই। ইরানের আরো সময় লাগবে। তার পরেও আমেরিকা, রাশিয়া যদি এই লড়াই-এ মিশে যায় তাহলেও আণবিক বোমার ব্যবহার হতে পারে।"
যুদ্ধ হলে কী হবে?
গবেষক অ্যালান রোবোক বলছেন, এর আগেও বেশ কয়েকবার পারমাণবিক যুদ্ধ লেগে যাওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। "ভবিষ্যতে কী হবে সেটা তো আমি বলতে পারবো না। আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে গত ৭৪ বছরে এই বোমা আর ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু পারমাণবিক অস্ত্রের অস্তিত্বের অর্থ হচ্ছে এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। আমরা যদি এসব ব্যবহার না করি, এগুলো ব্যবহারের যদি যৌক্তিক কোন কারণ না থাকে, তাহলে এসব ধ্বংস করে ফেলা উচিত।"
তিনি বলেন, "২০১৭ সালে জাতিসংঘে পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধে একটি চুক্তি সই হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত ৩২টি দেশ এই চুক্তি অনুমোদন করেছে। ৫০টি দেশ অনুমোদন করলেই এটি কার্যকর হবে। তাই এখন বাকি বিশ্বের এগিয়ে আসা উচিত।"
গবেষকরা বলছেন, পারমাণবিক বোমা যেখানে পড়বে, শুধু সেখানকারই মানুষই নয়, পুরো বিশ্বের জন্যেই সেটা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
জলবায়ু বিজ্ঞানী অ্যালান রোবোক বলছেন, "পারমাণবিক বোমার ফলে আগুন লেগে যাবে, সেই আগুন থেকে যে পরিমাণ ধোঁয়া তৈরি হবে সেটা ছড়িয়ে পড়বে সারা পৃথিবীতে। এই ধোঁয়ার কারণে আমাদের এই গ্রহে সূর্যের আলোও ঠিক মতো এসে পৌঁছাতে পারবে না। ফলে পৃথিবী অনেক ঠাণ্ডা আর অন্ধকারময় হয়ে পড়বে।"
"ধোঁয়া যখন পৃথিবীর আরো উপরের আবহমণ্ডলে চলে যাবে তখন সেটা সূর্যের আলোতে উত্তপ্ত হয়ে আরো বেশি ছড়িয়ে পড়বে যা সেখানে স্থায়ী হবে কয়েক বছর। বৃষ্টিপাত কমে যাবে। তেজস্ক্রিয়তার ঘটনা ঘটবে। এসবের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে খাদ্য উৎপাদনের ওপর। ফলে যুদ্ধের পরেও অনাহারে আরো বহু মানুষের মৃত্যু হবে।"
কিন্তু তার পরেও কি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ লাগতে পারে?
পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপারে ভারতের নীতি হচ্ছে তারা এই অস্ত্র আগে ব্যবহার করবে না। কিন্তু তারাও এখন এই নীতি পুনর্বিবেচনার কথা বলছে। পাকিস্তান সবসময় বলেছে, এরকম অঙ্গীকার করতে তারা রাজি নয়।
ফলে দুটো দেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, এর ফলে পারমাণবিক যুদ্ধ যে কখনোই ঘটবে না, তার কোন গ্যারান্টি নেই।

- তৃতীয় দেশে মার্কিন ভিসার আবেদন নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- চুক্তিভুক্ত দেশগুলোকে কিছু পণ্যে শুল্ক ছাড় ট্রাম্পের
- গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ৯ পদক্ষেপ স্পেনের
- পদত্যাগ করেছেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- মামদানিকে হারাতে ট্রাম্প কি মাঠে নামছেন
- ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সোনার দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১৮২৮১০ টাকা
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে ‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়ার হুমকি ইসরায়েলের
- পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে পদচ্যুত ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী
- ডাকসুর ভোট গণনায় ১৪ মেশিন, ঘণ্টায় গোনা যাবে ৮০০-১৩০০
- ভয়েস অব আমেরিকার ৫০০ সাংবাদিককে ছাঁটাই করছে ট্রাম্প প্রশাসন
- অনির্দিষ্টকালের গণছুটি ঘোষণা পবিস কর্মীদের
- ভেনেজুয়েলায় যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র
- প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে ঘিরে যুক্তরাজ্যে ১৫০ জন গ্রেফতার
- কারাগারে নেওয়ার সময় মতিউরকে অনৈতিক সুবিধা, ১১ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
- ভারত দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে
- নুরাল পাগলার আস্তানায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের পেছনে যা ছিল
- কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান : ডা. জাহিদ
- ‘শর্টটাইম মেমোরি লস, অগোছালো কথা বলছেন নুর’
- থমথমে হাটহাজারী, ১৪৪ ধারা জারি
- শুভ জন্মদিন সাদমান
- লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন অবৈধ : ফেডারেল কোর্ট
- সাবেক মেয়র ব্লাজিও’র সর্মথন পেলেন মামদানি
- আটলান্টা ফোবানার পরবর্তী সম্মেলন লস-এঞ্জেলসে
- বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০২৬ তাজুল আহবায়ক ও স্বীকৃতি বড়ুয়া
- মন্ট্রিয়ল ফোবানার চেয়ারম্যান পিন্টু ও সেক্রেটারি নেহাল
- ফোবানার নতুন চেয়ারম্যান গিয়াস ও এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ফিরোজ
- ইতিহাস গড়লো নায়াগ্রা ফোবানা কনভেনশন
- বাইডেন মাথায় আঘাত পেয়েছেন
- নিউইয়র্কবাসী ৪০০ ডলারের চেক পাবেন সেপ্টেম্বরেই
- তারেক বাবরসহ সব আসামি খালাস
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- ৩০ দিন পর থাকবে না ফেসবুক লাইভ ভিডিও, বিকল্প কী?
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৫৮
- ‘আজকাল’- ৮৫৯
- ‘আজকাল’- এখন বাজারে।
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৬০
- ঈদের কেনাকাটায় কোন ধরনের পোশাক ক্রেতাদের মন কাড়ছে ?
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- টক দই খেলে কী উপকার
- আজকের আজকাল ৮৬১ সংখ্যা
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- আজকাল ৮৬২তম সংখ্যা
- ইনস্টাগ্রামে ছড়ায় ছবির বিভ্রান্তি
- গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৬৫
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা

- হোটেল রুমে একাধিক গোপন ক্যামেরা, অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল
- টাইম ম্যাগাজিনের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ খাশোগি
- মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৪
ট্রাম্পের মুখোমুখি পেন্স - সাপ্তাহিক আজকাল সংখ্যা ৭৮১
- কমিউনিটির স্বার্থে দুই তরুণের উদ্ভাবিত প্লাটফর্ম ‘লিস্টুলেট ডট কম
- নেশার অপর নাম ফোর্টনাইট গেম!
- যে কোনো সময় মহাপ্রলয়ের আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের, যা ঘটতে চলেছে…
- কে কত বিলিয়নের মালিক?
- বিরোধীদের অভিযোগ, বাজার সিন্ডিকেটে মন্ত্রী জড়িত
- শেখ হাসিনাকে চায় না যুক্তরাষ্ট্র!
- এই সংখা ৮১৪
- সাত বছরের শিশুর আয় ১৭৬ কোটি টাকা
- আফিমের নেশায় টিয়াপাখি : অতিষ্ঠ চাষিরা
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠছে : রাশিয়া
- তরুণীর গোপনাঙ্গ কর্তন, ভারতে বাংলাদেশি নারীর কারাদণ্ড