নবী-রাসূলদের রোজা পালনের ইতিহাস
প্রকাশিত: ১০ মে ২০১৯

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর জন্য পবিত্র রমজানজুড়ে সিয়াম সাধনা তথা রোজাকে ফরজ করেছেন।
রোজা শুধু ইসলামের অনুসারী উম্মাতে মুহাম্মাদির ওপরই ফরজ হয়নি বরং পৃথিবীর শুরু থেকেই এ রোজার প্রচলন ছিল। অনেক নবী-রাসূলের ওপর তা ছিল ফরজ।
পবিত্র কোরআনুল কারিমে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার যে আয়াত দ্বারা উম্মাতে মুহাম্মাদির জন্য রোজাকে ফরজ করা হয়েছে, সে আয়াতেই আল্লাহ তায়ালা পূর্ববর্তীদের ওপর রোজা ফরজ হওয়ার বিষয়টিও জানিয়ে দেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৩)।
রোজা পালনে আল্লাহর নির্দেশ: আলোচ্য আয়াত থেকে জানা যায় যে, আল্লাহ তায়ালা সব যুগের নবী-রাসূলদের জন্য রোজা রাখাকে আবশ্যক করে দিয়েছিলেন। ইসলামের আগে নবী-রাসূলদের রোজার কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো-
হজরত আদম আলাইহিস সালামের রোজা: ফতহুল বারিতে এসেছে, ‘হজরত আদম আলাইহিস সালাস যখন আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে জান্নাতের ফল খেয়েছিলেন তখন তিনি ৩০ দিন পর্যন্ত তাওবা করেছিলেন। ৩০ দিন পর আল্লাহ তায়ালা তাওবা কবুল করেন। তারপর থেকে তার সন্তানদের জন্য ৩০টি রোজা ফরজ করে দেয়া হয়।
হজরত নূহ আলাইহিস সালামের রোজা: দুনিয়ার প্রথম রাসূল ছিলেন হজরত নূহ আলাইহিস সালাম। সে সময়ও রোজার প্রচলন ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘হজরত নূহ আলাইহিস সালাম শাওয়াল মাসের ১ তারিখ এবং জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ছাড়া সারা বছর রোজা রাখতেন।’ (ইবনে মাজাহ)
হজরত ইব্রাহিম আলাহিস সালাম ও পরবর্তী যুগের রোজা: হজরত নূহ আলাইহিস সালামের পর সর্বাধিক পরিচিত নবী ছিলেন হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম। আল্লাহ তায়ালা তাকে খলিল তথা বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তার যুগেও ৩০টি রোজা রাখা আবশ্যক ছিল।
তার পরের যুগকে বলা হতো বৈদিক যুগ। সে ধারাবাহিকতায় বেদের অনুসারী ভারতীয় হিন্দুদের মধ্যেও ব্রত তথা উপবাস প্রথা চালু ছিল। তারা প্রত্যেক হিন্দি মাসের ১১ তারিখে ব্রাহ্মণদের ওপর একাদশী’র উপবাস করতো।
হজরত মুসা আলাইহিস সালামের রোজা: আল্লাহ তায়ালা হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে আসমানি কিতাব ‘তাওরাত’ নাজিল করার আগে ৪০ দিন রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। হজরত মুসা আলাইহিস সালাম তুর পাহাড়ে রোজা পালনে ক্ষুধা ও পিপাসায় ৪০ দিন অতিবাহিত করেছিলেন।
সে হিসেবে মুসা আলাইহিস সালামের অনুসারীরা ৪০ দিন পর্যন্ত রোজা পালনকে উত্তম বলে বিবেচনা করতেন। ৪০তম দিনে রোজা রাখাকে তারা ফরজ তথা আবশ্যক মনে করতো। আর তা ছিল তাদের সপ্তম মাসের (তাশরিন) দশম তারিখ। এ দশম দিন ছিল তাদের কাছে আশুরা।
এ আশুরার দিনে আল্লাহ তায়ালা হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে ১০ আহকাম দান করেছিলেন। আর এ কারণেই তাওরাতে ১০ তারিখ রোজা পালনের জন্য জোর তাগিদ করা হয়। এছাড়াও ইয়াহুদিদের অন্যান্য সহিফাগুলোতেও অন্যান্য দিনে রোজা পালনের হুকুম পাওয়া যায়।
হজরত দাউদ আলাইহিস সালামের রোজা: হজরত মুসা আলাইহিস সালামের পর আসমানি কিতাবের অধিকারী ছিলেন হজরত দাউদ আলাইহিস সালাম। তার যুগেও ছিল রোজার প্রচলন। তিনি একদিন পর একদিন রোজা রাখতেন। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত) সে হিসেবে তিনি বছরের অর্ধেক সময় রোজা রেখে অতিবাহিত করতেন।
হজরত ঈসা আলাইহিস সালামে রোজা: নিজেকে আসমানি কিতাবের ধারক হিসেবে তৈরি করতে হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম কিতাব আসার আগে দীর্ঘ ৪০ দিন পর্যন্ত রোজা রেখেছিলেন।
৪০ দিন রোজা পালনের পর আল্লাহ তায়ালা হজরত ঈসা আলাইহিস সালামকে আসমানি গ্রন্থ ইঞ্জিল দান করেন। আর খ্রিস্টান ধর্মে এখনো রোজা রাখার প্রভাব বিদ্যমান রয়েছে।
হজরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালামের রোজা: হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের সমসাময়িক নবী ছিলেন হজরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম। তিনি নিজে রোজা রাখতেন এবং তার অনুসারীগণের মধ্যেও রোজা রাখার রীতি বিদ্যমান ছিল।
রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের বর্ণনা: হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের কাছে তার অনুসারীরা জিজ্ঞাসা করতো যে, আমরা আমাদের অপবিত্র আন্তরসমূহকে পূতপবিত্র করতে কী করতে পারি? বা কীভাবে অন্তরসমূহকে অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করতে সক্ষম হবো?
হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম তাদেরকে বলেছিলেন, ‘অন্তরসমূহের কলুষতা ও অপবিত্রতাকে পবিত্র রাখতে রোজা এবং দোয়ার বিকল্প নেই। অন্তর পবিত্র করতে রোজা রাখার নসিহত করেছিলেন।
প্রিয় নবী (সা.) এর ঘোষণায় রোজার গুরুত্ব: রোজার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করেও মিথ্যা কথা বলা, পরনিন্দা ও অন্যান্য পাপাচার থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারলো না; তার পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বুখারি)
এ কারণে পূর্ববর্তী যুগের সব নবী-রাসূলদের সময়ও এ কথার ঘোষণা ছিল যে, তোমরা যখন রোজা রাখবে তখন লোক দেখানো মনোবৃত্তি নিয়ে মানুষের মত নিজেদের মুখমন্ডলকে উদাস করে রাখবে না। কেননা, এই শ্রেণীর মানুষ নিজেদের মুখমন্ডলের আসল রূপ বিকৃত করে রোজাদার রোজাদার ভাব গ্রহণ করতো। যাতে মানুষ মনে করে যে তারা রোজাদার।
প্রাক ইসলামি যুগে আরবাসীরাও রোজা সম্পর্কে ওয়াকিফ হাল ছিল এবং তা পালনে সক্রিয় ছিল। মক্কার কুরাইশরা জাহেলিয়াতের যুগে ১০ মহররম রোজা রাখতো। এ দিনে পবিত্র কাবায় নতুন কিসওয়া বা গিলাফ পরিধান করানো হতো। (মুসনাদে আহমদ)
প্রাক ইসলামি যুগে মদিনার ইয়াহুদিরাও পৃথক পৃথকভাবে আশুরার উৎসব ও রোজা পালন করতো। (বুখারি) তাদের রোজা পালনের দিনক্ষণ ছিল তাদের নিজেদের গণনার সপ্তম মাসের ১০ম দিন। প্রিয় নবী (সা.) মদিনায় হিজরতের পরও ইয়াহুদিরা রোজা পালন করতেন। যা দেখে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, তোমাদের চেয়ে আমরাই এ রোজ রাখার হকদার বেশি।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের আত্মায় তাকওয়ার বীজ বপনে রোজার বিকল্প নেই। রোজা রাখলেই মানুষ মুত্তাকি হয়ে যায়। রোজা মানুষকে মুত্তাকি হতে প্রস্তুত করে। আল্লাহর ভয় অর্জন করে পরিশুদ্ধ জীবন গঠনের অন্যতম প্রশিক্ষণও এ রোজা পালন।
যেভাবে যুগে যুগে সব নরী-রাসূল রোজা পালনের মাধ্যমে নিজেদেরকে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে তৈরি করেছিলেন। এ কারণেই আল্লাহ তায়ালা রোজার বিধানে আগের লোকদের ওপর রোজা ফরজে কথা উল্লেখ করেছেন এবং তাকওয়ার অধিকারী হওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে রমজান মাসের রোজা পালনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন করার তাওফিক দান করুন। রমজানের রোজা থেকে প্রশক্ষণ গ্রহণ করে চূড়ান্ত রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতে লাভের তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।

- বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে
- পাঠ্যবইয়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে যুক্ত হচ্ছে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’
- আল-আকসা মসজিদের নিচে গোপন খনন কাজ চালাচ্ছে ইসরাইল
- আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০০
- ‘পরীক্ষা’ না দিয়ে বড় জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
- মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত
- মোদি কেন শি-পুতিনের সঙ্গে `বিছানায় যাচ্ছেন?
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
- আদাবরে পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহ হামলা
- সেই জিএমপি কমিশনারকে প্রত্যাহার
- দিনভর নাটকীয়তা তোলপাড় ক্যাম্পাস
- অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস সেনাপ্রধানের
- রণক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়
- ঢাকায় আবাসিক হোটেল থেকে মার্কিন নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার
- পশ্চিমা বাজারের ওপর নির্ভরতা পোশাক খাতের বড় চ্যালেঞ্জ
- খুলনায় সেতুর নিচ থেকে সাংবাদিকের লাশ উদ্ধার
- নুরকে দেখতে এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি ঢামেকে নাহিদ-সারজিস
- ‘নির্বাচন নিয়ে কেউ বিকল্প ভাবলে তা হবে বিপজ্জনক’
- কমলা হ্যারিসের রাষ্ট্রীয় সুবিধায় ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ
- ট্রাম্পের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে, কী ঘটেছে?
- নিঃস্ব থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
- ভারত সফর বাতিল করলেন ট্রাম্প
- লিটনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সহজ জয় বাংলাদেশের
- পাঁচ ব্যাংকে জমা টাকাই এখন দুঃস্বপ্ন, গ্রাহকরা ফিরছেন খালি হাতে
- আতঙ্ক বাড়াচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র
- নুরের ওপর নৃশংস হামলা: সারা দেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অবরোধ
- বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তাদের মিলনমেলা
- ম্যানহাটনে বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- বাংলাদেশ-আমেরিকান কার ও লিমোজিন এসো: বর্ণাঢ্য বনভোজন
- ইডিপির বার্ষিক বনভোজন ও সাংস্কৃতিক উৎসব কাল
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- ৩০ দিন পর থাকবে না ফেসবুক লাইভ ভিডিও, বিকল্প কী?
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৫৮
- ‘আজকাল’- ৮৫৯
- আজ ভালোবাসা দিবস
- ‘আজকাল’- এখন বাজারে।
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৬০
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- ঈদের কেনাকাটায় কোন ধরনের পোশাক ক্রেতাদের মন কাড়ছে ?
- টক দই খেলে কী উপকার
- আজকের আজকাল ৮৬১ সংখ্যা
- এবার ইন্সটাগ্রামে আসছে ডিসলাইক বাটন
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৫৭
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- আজকাল ৮৬২তম সংখ্যা
- ইনস্টাগ্রামে ছড়ায় ছবির বিভ্রান্তি
- গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা

- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- পথ চলার আদব!
- মৃতের আত্মা কখনও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসে না
- কেমন হবে হাশরের ময়দান
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু