কেন আমরা এই পৃথিবীতে?
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮
যেখানে একজন জাগতিক সুখ-সমৃদ্ধি লাভের আশায় অনন্তর কষ্ট করেই যাচ্ছে সেখানে অপরজন পরকালীন অনন্ত জীবনের সুখ-সমৃদ্ধি-সাফল্যের সন্ধানে জীবন-সংগ্রামে নিয়োজিত। এ দুইয়ের মাঝে আসলে তেমন কোন তফাৎ নেই। যদি দু’জনকেই দেখি তবে দেখবো উভয়েই একটি সুন্দর জীবন লাভ করেছেন। কিন্তু কুরআনে বলা হয়েছে তাদের মাঝে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। ইরশাদ হয়েছে-
“ঈমানদার ব্যক্তি কি অবাধ্যের অনুরূপ? তারা সমান নয়।” (সূরা সেজদাহ :১৮)
এ কথা সত্য যে একজন অমুসলিম নিজেকে সুনির্দিষ্ট কিছু আকাঙ্ক্ষার জালে জড়িয়ে রাখে তাই সে কোনভাবেই একজন মুমিনের সমকক্ষ হতে পারে না। হয়ত একজন অমুসলিম দেখতে পারে এ দুনিয়ার জীবনে তার কোন কিছুই অপূর্ণ নেই তবুও তার এ সকল আয়োজন ক্ষণস্থায়ী এক সুখের নাম ছাড়া আর কিছুই নয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
“যে কেউ ইহকাল কামনা করে, আমি সেসব লোককে যা ইচ্ছা সত্ত্বর দিয়ে দেই। অতঃপর তাদের জন্যে জাহান্নাম নির্ধারণ করি। ওরা তাতে নিন্দিত-বিতাড়িত অবস্থায় প্রবেশ করবে। (সূরা বনী ইসরাইল :১৮)
অন্যদিকে একজন প্রকৃত মুমিনের ক্ষেত্রে, যদি এ জগতের সুখগুলো হাতে এসে ধরা দেয় সে উপলব্ধি করতে পারে আসলে এগুলো প্রকৃত সুখ নয় বরং পরকালে আল্লাহর দেয়া পুরস্কার জান্নাত হচ্ছে প্রকৃত সুখের স্থান।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
“নিশ্চয় আল্লাহর কাছে যা আছে, তা উত্তম তোমাদের জন্যে, যদি তোমরা জ্ঞানী হও। তোমাদের কাছে যা আছে নিঃশেষ হয়ে যাবে এবং আল্লাহর কাছে যা আছে, কখনও তা শেষ হবে না। যারা সবর করে, আমি তাদেরকে প্রাপ্য প্রতিদান দেব তাদের উত্তম কর্মের প্রতিদান স্বরূপ যা তারা করত।” (সূরা নাহল :৯৫-৯৬)
জীবন সমন্ধে এই যে উপলব্ধি, এ উপলব্ধিই মূলত একজন মুমিনের সবচে বড় গোপন শক্তি হিসেবে কাজ করে। এই শক্তিই তাকে প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর করে দুনিয়ার যমিনে চলার শক্তি যোগায়। সুরা বনী ইসরাইলে আল্লাহ বলেছেন,
“আর যারা পরকাল কামনা করে এবং মুমিন অবস্থায় তার জন্য যথাযথ চেষ্টা-সাধনা করে, এমন লোকদের চেষ্টা বৃথা যায় না।” (সূরা বনী ইসরাইল:১৯)
তাই আখিরাত প্রস্তুতির কাজ এখনি শুরু করুন। যেখানে আপনি সমপরিমাণ কাজের বিনিময়ে অফুরন্ত নেয়ামত লাভ করতে পারেন সেখানে কেন আপনি অযথা সময় ও শ্রম এমন কিছুর পিছনে ব্যয় করছেন যা খুবই ক্ষণস্থায়ী?
আপনার কাছে যা আছে তা দিয়েই পরকালীন জীবনের পাথেয় সংগ্রহ শুরু করুন, তবে মনে রাখবেন পাথেয়ই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য নয়, আল্লাহ আমাদের যে নিয়ামত দান করেছেন, দেহ, মন, শিক্ষা ও সম্পদ সব কিছু দিয়ে পরকালীন পাথেয় উপার্জনের একটিই উদ্দেশ্য আর তা হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও জান্নাত লাভ।
মনে রাখবেন আপনার ব্যক্তিগত যত অর্জন ও জীবনের সাধনা সবকিছুর ফলাফল আখেরাতেই পাওয়া যাবে, তবে সেই আখেরাতের সঞ্চয় এ দুনিয়াতেই করতে হবে। এমনকি আমরা যদি রাসূল স. ও তাঁর সাহাবাদের জীবনের বৃহৎ অর্জনের দিকে তাকাই তাহলেও দেখব সব কিছুই এ দুনিয়াতেই অর্জিত হয়েছে।
রাসূল স. এবং তাঁর সাহাবাগণ দুনিয়াকে কেন্দ্র করেই পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন ফলে তাদের নাম চিরঅম্লান হয়ে রয়েছেন একই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাড়িয়েও তারা আখেরাতের পুরস্কারকেই বেছে নিয়েছেন। জীবনের চাওয়া পাওয়ার মাঝে কিভাবে সমতা বিধান করতে হয় তারা বাস্তব সাক্ষ্য রেখে গিয়েছেন।
পরকালিন জীবনের বাস্তবতা
সাহাবারা যখন রাসূল (সা.) এর পাশে বসে আখেরাতের আলোচনা শুনতেন, আখেরাত তাদের কাছে বাস্তব হয়ে ধরা দিত। তিনি এমনভাবে বর্ণনা করতেন কখনো মনে হতো তিনি কোন প্রাপ্তি ধরতে যাচ্ছেন আবার অনেক সময় মনে হতো তিনি কোন কিছু থেকে নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
এ অবস্থা দেখে যখন কেউ প্রশ্ন করতো, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলতেন, যখন আমি কথা বলি, যেন আমি জান্নাত ও এর ফলমূল চোখের সামনে দেখতে পাই। যা আমি দেখতে পাই তা থেকে কিছু পেতে আমি চেষ্টা করি। তিনি আরও বলেছেন, যদি আমি তা ধরতে পারতাম তবে তা এ পৃথিবীর সর্বকালের মানুষের জন্য যথেষ্ট হতো।
একইভাবে যখন তিনি জাহান্নাম নিয়ে আলোচনা করতেন, জাহান্নামকে চোখের সামনে দেখে তা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতেন।
এরকম আরও অনেক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাহাবাগণ জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, চেতনা, মূল্যবোধ, চরিত্র, কাজকর্মসহ সকল ক্ষেত্রেই এক আমূল পরিবর্তন সাধন করেছিলেন এবং একটি উদ্দেশ্য সামনে রেখেই পথ চলেছেন, আর তা হল মহান স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ লাভ।
এভাবেই আমরা আল্লাহর কুরআন ও রাসূল (সা.) এর সুন্নাহ মোতাবেক জীবন যাপন করে নিজেদের জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য স্থির করে তা অর্জনে চেষ্টা করতে পারি।
- দিল্লির ঘটনা ‘বিভ্রান্তিকর প্রচার’ নয়
- আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করলেন রাবির ৬ ডিন
- বন্ধু ট্রাম্পকে খুশি করতে মোদির ‘শান্তি’ বিল পাস, বিরোধীদের সমালো
- যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে চুক্তি করলো টিকটক
- শহীদ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন, লাখো মানুষের অংশগ্রহণ
- মার্কিন ভিসা ব্যবস্থায় বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ
- উস্কানির অভিযোগে ইলিয়াসের আরেক পেজ সরাল মেটা
- এনটিএমসি বিলুপ্ত চেয়ে ৯৪ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জবাব চেয়ে শাহবাগ ছাড়ল ইনকিলাব মঞ্চ
- সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ শুরু
- ওসমান হাদির কবর দেখতে মানুষের ভিড়, রাতভর প্রহরায় থাকবে পুলিশ
- জ্যাকসন হাইটসে মামদানির ফান্ডরেইজিং
- মানিকগঞ্জ সমিতির বিজয় দিবস উদযাপন
- ২১ মুক্তিযোদ্ধাকে সন্মাননা দিল ব্রংকস বাংলাদেশি এসোসিয়েশন
- বাাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সভা আগামী ২৮ ডিসেম্বর
- গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের উদ্যোগে ‘শীত বস্ত্র বিতরণ’
- ঊনবাঙালের বর্ণাঢ্য বিজয় দিবস উদযাপন
- সাংবাদিক নুরুল কবিরের ওপর হামলা
- ন্যাচারালাইজড আমেরিকানদের নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের খেলা
- ওসমান হাদির মৃত্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ
- শনিবার মানিক মিয়ায় হাদির জানাজা
- ‘হঠকারী হবেন না’; সংযমের আহ্বান ইউনূসের
- ২৫ ডিসেম্বর ফিরছেন তারেক: ফ্লাইটে কোন সিট খালি নেই
- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমছেই
- সিনেটে লড়তে চান বাংলাদেশি আমেরিকান কারিশমা মঞ্জুর
- সিআইপি অ্যাওয়ার্ড পেলেন আজকাল সম্পাদক শাহ নেওয়াজ
- জাতিকে কাঁদিয়ে হাদির বিদায়
- আজকাল ৯০১
- প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
- ‘ভাইয়া আমার বাচ্চাটার দিকে একটু খেয়াল রাইখেন’
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৭৬
- এক কোটি আইডি ডিলিট করল ফেসবুক, শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা
- আজকাল সংখ্যা ৮৭৯
- কবির জন্য একটি সন্ধ্যা
- আজকের আজকাল ৮৭৩
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭৮
- ১৮ জুলাই সবাইকে বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেবে সরকার
- ট্রাম্পের চাপে আরও ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা অ্যাপলের
- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- মৃতের আত্মা কখনও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসে না
- কেমন হবে হাশরের ময়দান
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- পথ চলার আদব!
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু
