ইসলামে শ্রমের মর্যাদা...
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন একজন শ্রমিকজীবি মানুষ। তিনি শ্রমবিমুখ সমাজকে অত্যন্ত ঘৃণা করতেন।
সাহাবী (রা.) গণ তার খিদমত করবেন আর তিনি তাঁদের খিদমত নেবেন- এ রকম শিক্ষা তিনি কখনো দেননি এবং তার জীবনে এর কোনো নজীর পাওয়া যায়নি।
একটা ঘটনা বলা যাক শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতিপয় সাহাবী (রা) গনদের নিয়ে এক সফরে বের হলেন। এক পর্যায়ে তাদের সবার বিশ্রামে করার সময় হলো। বিশ্রামের ঘাটি তৈরি করার জন্য এক এক জনকে এক একটা দায়িত্ব দেয়া হলো।
সকলে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকছেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দেখা যাচ্ছিল না। হঠাৎ দেখা গেল তিনি জংগল থেকে কাঠ কেটে তা নিজে বহন করে নিয়ে আসছেন। সাহাবায়ে কিরাম (রা.) গণ তখন বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এটা আপনার জন্য কেমন হলো? আপনার জন্য শত শত নিবেদিত প্রাণ খাদেম থাকতে এরুপ জংগলে গিয়ে আপনার নিজের কাঠ কেটে আনার কি দরকার ছিল?
রাসূলুল্লাহ (সা.) সরল ভাষায় জবাব দিলেন- افلا اكون عبدا شكرا“আমি কি কৃতজ্ঞশীল বান্দা হব না ?” আমিও আল্লাহর বান্দা, তোমরাও আল্লাহর বান্দা। এই বান্দা হিসাবে আমরা সবাই সমান। আল্লাহ তায়ালা মেহেরবাণী করে আমার নিকট ওহী প্রেরণ করেছেন। এই নিয়ামত প্রাপ্তির পরে আমারতো আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আরো বেশি আদায় করতে হবে। সুতরাং আমি আল্লাহ তায়ালার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্যই তোমাদের সঙ্গে কাজে শরীক হচ্ছি।
অপর একটি ঘটনা থেকে জানা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এক সাহাবী আসলেন এবং তিনি বললেন, হুজুর! আমি ক্ষুদা ও পিপাসায় কাতর, আমাকে কিছু দান করুন। হুজুর (সা.)
জিজ্ঞেস করলেন, তোমার ঘরে কি কিছুই নেই? সাহাবী জবাব দিলেন, আমার ঘরে শুধুমাত্র একটা দামী বাটি আছে। হুজুর (সা.) বললেন, ঠিক আছে সেটা বিক্রি কর। তিনি সেটা বিক্রি করলেন। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বিক্রয়লব্ধ টাকার কিয়দংশ দ্বারা আটার রুটি কিনে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেন। বাকি অংশ তার হাতে দিয়ে বললেন যাও, এর দ্বারা একটা কুঠার কিনে নিয়ে এসো। হাদীস শরীফে এভাবেও বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাত মুবারকে দিয়ে কুঠারের হাতল লাগিয়ে বললেন, যাও এ নিয়ে জংগলে গিয়ে কাঠ কেটে
তা বিক্রি কর।
কিছুদিন পর সেই সাহাবী রাসূলুল্লাহ (সা.) এর খিদমতে আসলেন তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কি রকম তোমার অবস্থা? তিনি বললেন, হুজুর! আল্লাহর রহমতে আমি বেশ ভালো আছি। আমি আমার শ্রমের বিনিময়ে যা কিছু পেয়েছি তাতে নিত্যদিনের প্রয়োজন মিটিয়ে এখনো আমার হাতে কিছু জমা আছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত পাতাকে এত ঘৃণা করতেন যে, সাহাবায়ে কিরাম (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেমন ঈমানের জন্য বয়ান দিতেন, তেমনি ভাবে এ বয়ান দিতেন যে, কোনো মানুষের কাছে হাতপাতা যাবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই তালীমের প্রভাব সাহাবীদের ওপর এ রকম পড়েছিল যে, কোনো এক সাহাবী উঠের পিঠে চড়ে যাচ্ছিলেন এমন অবস্থায় তার হাতের চাবুকটা নিচে পড়ে গেল। তার পাশে থাকা সাহাবীকে তিনি বললেন না যে আমার চাবুকটি উঠিয়ে দিন। বরং সে সাহাবী উঠ থেকে নেমে নিজ হাতে চাবুকটি উঠালেন। তাখন অপর সাহাবী জিজ্ঞাসা করলেন, এত কষ্ট কেন করলে? আমাকে বললেই তো হতো। সাহাবী জবাব দিলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ওয়াদা করেছি যে আমরা কোনো ব্যাপারে কারোর কাছে হাত পাতব না। রাসূল (সা.) শ্রম দিয়ে জীবিকা অর্জনের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করে বলেন,
ﻣَﺎ ﺃَﻛَﻞَ ﺃَﺣَﺪٌ ﻃَﻌَﺎﻣًﺎ ﻗَﻂُّ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﺄْﻛُﻞَ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ، ﻭَﺇِﻥَّ ﻧَﺒِﻰَّ ﺍﻟﻠﻪِ ﺩَﺍﻭﺩَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺄْﻛُﻞُ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪ
‘কারোর জন্য নিজ হাতের উপার্জন অপেক্ষা উত্তম আহার্য বা খাদ্য আর নেই। আল্লাহর নবী দাঊদ (আ.) নিজ হাতের কামাই খেতেন’। (বুখারী, মিশকাত হা/২৭৫৯ )
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অর্থোপার্জন করে, পরিশ্রম করে সে ব্যাক্তি আল্লাহর বন্ধু। বুখারী শরীফে আছে “হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজের হাতে বকরীর দুধ দোহন করতেন। নিজের হাতে নিজের জুতা সেলাই করতেন। নিজের হাতে কাপড়-চোপড় ছিড়লে তা সেলাই করতেন। তিনি হাট-বাজার করতেন।
হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) আরো বলেন, রাসূলে করীম (সা.) এমনকি আমার গৃহস্থলীর কাজেও সাহায্য করতেন । যে জাতি বিমুখ হবে সে জাতির মধ্যে দরিদ্রতা ক্ষুধা ও অর্থাভাব দেখা দিবে। আর যার মধ্যে দরিদ্রতা দেখা দিবে, অভাব দেখা দিবে, তার অনেক সময় ঈমান রক্ষা করা মুশকিল হয়ে পড়ে।
আমরা দেখতে পাই আমাদের সমাজের মধ্যে এক শ্রেণীর লোক আছে তাদের গায়ের জামা, পোশাক এত মূল্যবান যে, সেগুলো বিক্রি করে যে টাকা হয়, তাতে তার ওপর জাকাত বা ফিতরা ওয়াজিব হয়ে যায়। অথচ তিনি অকাতরে গরীবের হক কুড়িয়ে নিচ্ছেন। অর্থাৎ তিনি জাকাত ফিতরা দিচ্ছেন না।
কিছু স্বাস্থ্যবান পুরুষ বিনা কারণে অকারণে লোকের কাছে হাত পাততে লজ্জাবোধ করে না। আমাদের অনেকের ইসলাম সম্পর্কে ধারণা যে, ইসলাম শুধু আখিরাতের কথাই জানব শুনব দুনিয়ার হাজারো ভুলের কথা জানব না, এ ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা।
ইসলাম হচ্ছে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের ধর্ম। অর্থাৎ, মানুষের পার্থিব কাজও চলবে আল্লাহর আনুগত্যের ভেতর দিয়ে, আর আখিরাতের কাজও চলবে তার আনুগত্যের ভেতর দিয়ে।
- পরাজয়ের সঙ্গে এবার সিরিজও হারাল বাংলাদেশ
- এবার পারমাণবিক সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালালো রাশিয়া
- এত চেষ্টা করেও দিল্লির আকাশে মিলল না এক ফোঁটা পানি
- সংস্কার প্রতিবেদন সহজভাবে প্রকাশের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- আস্ত এটিএম মেশিন তুলে নিয়ে গেল চোরদল
- সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার রোধে দুই সেল গঠনের চিন্তা
- ঘূর্ণিঝড় মেলিসার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড জ্যামাইকা, ধেয়ে যাচ্ছে কিউবার
- বন্ধ হচ্ছে অবৈধ মোবাইল সেট, মিলবে না নেটওয়ার্কও
- ক্ষমা চাইতে রাজি নন শেখ হাসিনা
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম
- সোনার দাম বেড়ে ফের ২ লাখ টাকা ছাড়াল
- ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিল ‘মেলিসা’, ধেয়ে আসছে ২৬০ কিমি বেগে
- দ্রুত বডি-ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো এজেন্সি নির্বাচনে নতুন মানদণ্ড
- গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে হাসান মাসুদ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র তাণ্ডব: অন্ধ্রপ্রদেশে প্রবল বৃষ্টি
- আদালতে কেন ঘুরছেন সামিরার ক্রিকেটার স্বামী ইশতিয়াক
- পর্যটন বিকাশে হচ্ছে ‘বর্ডার ড্রাইভ’
- বাংলাদেশে বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ
- সোনার দামে বড় দরপতন, ভরিতে কমেছে ১০ হাজার
- গাজায় শক্তিশালী হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর
- গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থায়’ পরিণত
- ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা তারেক রহমানের
- আধা ঘণ্টার ব্যবধানে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার হারাল যুক্তরাষ্ট্র
- মাত্রাতিরিক্ত খরচে বিরক্ত পর্যটক
- ১৬ রানে হেরে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
- অবৈধ পথে প্রবেশ: ভারতের ৫৪ নাগরিককে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র
- দেশে রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে
- ট্রাম্প চাইলেই কি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন?
- টানা তৃতীয়বারের মতো কমল সোনার দাম
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৬৫
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- মৃতের আত্মা কখনও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসে না
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- কেমন হবে হাশরের ময়দান
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- পথ চলার আদব!
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু
