আসাদের পতনে বিপদে ইরান, সামনে কী?
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

তেহরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বে আসা বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ শুরু করেছে ইরান। বছরের পর বছর ধরে চলে আসা সিরিয়া সংঘাতে জড়িত সব দেশের মাঝে বৈরী গতিপথ ঠেকানোর প্রচেষ্টা হিসাবে এই যোগাযোগ চালু করা হয়েছে। সোমবার ইরানের সরকারি জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-কায়েদার সহযোগী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের একটি জোটের তড়িৎগতির অভিযানে রোববার দামেস্কের পতন হয়েছে। বিদ্রোহীদের আন্দোলনের মুখে রক্তপাত এড়াতে দামেস্ক ছেড়ে পরিবারসহ মস্কোতে পালিয়ে গেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। সিরিয়ায় আসাদের এই পতনকে মধ্যপ্রাচ্যে কয়েক প্রজন্মের ইতিহাসে অন্যতম এক মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট আসাদের পতন সিরিয়ায় বিভিন্ন পক্ষের স্বার্থে চরম আঘাত হেনেছে; যেখান থেকে আরব বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে আসছিল ইরান ও রাশিয়া। আসাদের পতনের কয়েক ঘণ্টা পর ইরান বলেছে, দামেস্কের সঙ্গে সম্পর্ক দুই দেশের ‘‘দূরদর্শী এবং সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির’’ ওপর ভিত্তি করে অব্যাহত থাকবে। সমাজের সব অংশের প্রতিনিধিত্বকারী একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে সিরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান।
দামেস্কে সরকার পরিবর্তন সিরিয়ায় ইরানের ক্ষমতার ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে তেহরানের উদ্বেগ রয়েছে। কারণ আঞ্চলিক প্রভাবের ক্ষেত্রে চালকের আসনে ছিল ইরান। তবে আতঙ্কের কিছু নেই বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন ইরানি তিনজন কর্মকর্তা। একজন বলেছেন, সিরিয়ার নতুন শাসক গোষ্ঠীর মাঝে যাদের দৃষ্টিভঙ্গি ইরানের কাছাকাছি, তেহরান কেবল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের কূটনৈতিক উপায় খুঁজছে।
দেশটির অপর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘আসাদের উত্তরসূরীরা সিরিয়াকে তেহরানের কক্ষপথ থেকে দূরে ঠেলে দেবে কি না, সেটি নিয়েই ইরানের প্রধান উদ্বেগ। তবে ইরান এই ধরনের দৃশ্যপট এড়াতে আগ্রহী।’’
আসাদ-পরবর্তী অস্থিতিশীল সিরিয়া লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র সরবরাহের একমাত্র স্থল রুট থেকেও বঞ্চিত করবে ইরানকে। শুধু তাই নয়, সিরিয়া হাতছাড়া হয়ে গেলে ভূমধ্যসাগরে প্রবেশাধিকার এবং ইসরায়েলের সঙ্গে ‘‘ফ্রন্ট লাইনও’’ হারাবে তেহরান।
দেশটির জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, দামেস্কে গুরুত্বপূর্ণ মিত্রকে হারানো এবং গত জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার মুখোমুখি হওয়ায় সিরিয়ার নতুন নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন ইরানের নেতারা। তিনি বলেন, সিরিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক উত্তেজনা এড়ানোর পথ খুঁজছে তেহরান।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের ভেতরের দু’টি গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে তেহরান। এছাড়া আগামী কয়েক দিনের মাঝে ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এসএনএসসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকের পর সিরীয় নতুন নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে মূল্যায়ন করা হবে।
ইরানির কর্মকর্তাদের মধ্যে দু’জন বলেছেন, ইরানের ওপর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ জোরদারের লক্ষ্যে ‘‘সিরীয় প্রেসিডেন্টকে ছেড়ে দিতে বাধ্য অথবা ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার জন্য’’ আসাদের অপসারণ ব্যবহার করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিরিয়া ইস্যুতে ট্রাম্পের এই অপকৌশলের বিষয়ে সতর্ক ছিল তেহরান।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্ব শক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি হিসেবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন তিনি। এরপর তেহরানের বিরুদ্ধে একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প; যা ইরানে চরম অর্থনৈতিক সংকট ও জনসাধারণের মাঝে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি করে। ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নেওয়া নিখুঁত পদক্ষেপই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তেহরানের জন্য।
২০২০ সালে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক কমান্ডার ও বিদেশে মার্কিন স্বার্থ এবং তার মিত্রদের ওপর হামলার মাস্টারমাইন্ড কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ড্রোন হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে পরে স্বীকার করেছিলেন।
বেলজিয়াম-ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইরানবিষয়ক পরিচালক আলী ভায়েজ বলেন, ‘‘ইরানের কাছে এখন কেবল দু’টি বিকল্প রয়েছে, ইরাকে পিছু হটা এবং প্রতিরক্ষামূলক সীমারেখা নির্ধারণ অথবা ট্রাম্পের সঙ্গে চুক্তি করা।’’
আসাদের পতন ওই অঞ্চলে তেহরানের ক্ষয়িষ্ণু কৌশলগত নীতিকে উন্মোচন করেছে। লেবাননে হিজবুল্লাহ এবং গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের ফলে ইরানের পরোক্ষ পরাজয় আরও ত্বরান্বিত হয়েছে।
২০১১ সালে সিরিয়ায় শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় ইরানের শাসকগোষ্ঠী আসাদের সমর্থনে বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল। ঘনিষ্ঠ মিত্র আসাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে এবং ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রভাব ঠেকাতে সিরিয়ায় বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করেছিল তেহরান। আসাদের পতনে ইরানের আঞ্চলিক প্রতিরোধ চেইনের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলের অবসান ঘটেছে। কারণ হিজবুল্লাহ ও অন্যান্য প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ ও অর্থায়নের জন্য প্রধান ট্রানজিট রুট হিসাবে কাজ করেছিল সিরিয়া।

- কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা বরখাস্ত
- আন্দোলন ‘হাইজ্যাক’ হওয়ার অভিযোগ নেপালের জেন-জির
- এবার ফ্রান্সে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে তরুণদের সংঘর্ষ
- ভারত বিরোধিতার কারণে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছি
- চীন-ভারতের ওপর এবার ১০০ শতাংশ শুল্ক বসাতে বললেন ট্রাম্প
- মোহাম্মদপুর ছিনতাইকারী সন্দেহে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা
- কাতারের পর মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯
- সেন্টমার্টিন থেকে ৪০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
- ইসরায়েলের হামলা: কাতারে বাংলাদেশিদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ
- নেপালে আটকা পড়াদের বিষয়ে যে তথ্য দিল মন্ত্রণালয়
- দেশব্যাপী লোডশেডিং হতে পারে, থাকবে যতদিন
- হোটেলে নেতা খুঁজতে এসে বাংলাদেশি ফুটবলার দেখে শান্ত বিক্ষুব্ধরা
- কাতারে হামলার ব্যাপারে আগে থেকেই জানতেন ট্রাম্প: ইসরায়েলি মিডিয়া
- ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন লক্ষ্যবস্তুরা
- আরও বেড়ে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
- ছাত্রদল নেতার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা
- নেপালে বিক্ষোভকারীদের হাতে ভারী অস্ত্র, দিনভর যা হলো
- মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে ইসরায়েলি আগ্রাসন, এক মাসে ৬ দেশে হামলা
- ডাকসুর ভোট গণনায় সময় লাগার কারণ জানালেন অধ্যাপক শামীম রেজা
- তৃতীয় দেশে মার্কিন ভিসার আবেদন নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- চুক্তিভুক্ত দেশগুলোকে কিছু পণ্যে শুল্ক ছাড় ট্রাম্পের
- গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ৯ পদক্ষেপ স্পেনের
- পদত্যাগ করেছেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- মামদানিকে হারাতে ট্রাম্প কি মাঠে নামছেন
- ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সোনার দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১৮২৮১০ টাকা
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে ‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়ার হুমকি ইসরায়েলের
- পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে পদচ্যুত ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী
- ডাকসুর ভোট গণনায় ১৪ মেশিন, ঘণ্টায় গোনা যাবে ৮০০-১৩০০
- ভয়েস অব আমেরিকার ৫০০ সাংবাদিককে ছাঁটাই করছে ট্রাম্প প্রশাসন
- অনির্দিষ্টকালের গণছুটি ঘোষণা পবিস কর্মীদের
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৫৮
- ‘আজকাল’- ৮৫৯
- ‘আজকাল’- এখন বাজারে।
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৬০
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- ঈদের কেনাকাটায় কোন ধরনের পোশাক ক্রেতাদের মন কাড়ছে ?
- টক দই খেলে কী উপকার
- আজকের আজকাল ৮৬১ সংখ্যা
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- আজকাল ৮৬২তম সংখ্যা
- ইনস্টাগ্রামে ছড়ায় ছবির বিভ্রান্তি
- গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৬৫
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল

- মালিতে অতর্কিত হামলায় ওয়াগনারের ৫০ সৈন্য নিহত
- তালিকা বানাবে পাঁচ প্রতিষ্ঠান ঢাকা অফিস
- খিজির হায়াৎ হত্যার পরিকল্পনাকারী ২ জঙ্গি রিমান্ডে
- ইসরায়েলের হামলায় ১৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত
- দণ্ডপ্রাপ্তকে নির্বাচনের সুযোগ দিলে সংবিধান লঙ্ঘন হবে
- মসজিদ ভাঙা নিয়ে চীনে বিক্ষোভ চলছে
- ৫ কোম্পানির বোতলজাত পানি মানহীন
- আবার ধেয়ে আসছে কানাডার ধোঁয়া
- হাওলাদার-নাসিরের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
- শ্রীনগরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
- স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন জাহাজ ‘অনুপ্রবেশের’ দাবি চীনের
- যুক্তরাজ্যের শরণার্থী হোটেলের বাইরে সহিংস বিক্ষোভ, গ্রেফতার ১৫
- রানির শেষকৃত্যে যে তিন দেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি ব্রিটেন
- নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার হাজিরা সোমবার
- শীতে জবুথবু পুরো ভারত