সৃষ্টিকে ভালোবাসলে স্রষ্টা খুশি হবেন
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮
ইরশাদ হচ্ছে, আমি তো আপাকে জগতের প্রতি রহমত রূপেই পাঠিয়েছি। আল কোরআন (২১:০৭)।
বাকহীন মাখলুকাতের প্রতিও ছিল তার অসীম ভালোবাসা। আমরা ছোট সময়ে, মায়ের চেহারার দিকে তাকিয়ে পড়েছি। গাছের পাতা ছিঁড়ব না, গাছকে কষ্ট দিব না। আমাদের মন তা আজও স্মরণ করিয়ে দেয় গাছের প্রতি থাকা রাসূল (সা.)-এর ভালোবাসা। হিংস্র প্রাণী সালাম দিত রহমতের নবীকে। বাঘ পাহারা দিত দয়াল নবীকে।
নবীর দুঃখে চোখের পানি ফেলত বনের সেই হরিণ। সাপ দেখতে চেয়েছিল নুর নবীর নুরের চেহারা মোবারক। আহ কি মায়া ছিল প্রাণীদের তার প্রতি। কী ছিল তার চেহারায়? যা দেখার জন্য ব্যাকুল ছিল প্রাণীরা। তার চেহারায় লুকিয়ে ছিল মায়া, ছিল মমতা। আমাদের নবীজি জীবজন্তু ও পশুপাখির দুঃখে ব্যথিত হতেন। তাদের কষ্টে বিচলিত হতেন। নবীজি মানুষের দুঃখ দূর করার জন্য যেমন পদক্ষেপ নিতেন, তেমনি জীবজন্তু পশুপাখির প্রতিও দয়া প্রদর্শন করতেন। উট ছিল মরুর বাহন। জাহাজও বলা হয়। রাসূল (সা.) একটি উটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ক্ষুধায় উটটির পিঠ পেটের সঙ্গে লেগেছিল। এ দৃশ্য দেখে রহমতের নবীর মায়া হল। বললেন সাহাবিদের ডেকে, এসব বাকশক্তিহীন পশুদের ব্যাপারে আল্লাহতায়ালাকে ভয় কর। রাসূল (সা.) এক আনসার যুবকের বাগানে গেলে একটি উট তার মালিকের বিরুদ্ধে নালিশ জানাল।
মালিক সঠিকভাবে খাবার দেয় না। প্রচুর কাজ তাকে দিয়ে করিয়ে নেয়। সে ক্ষিদে পেটে দিন কাটায়। উটের চোখে পানি দেখে উটপ্রেমিক নবীর চোখে পানি এলো। উটের মাথা ও পিঠে রহমতের হাত বুলিয়ে দিলেন নবীজি। উটের কান্না তখনই বন্ধ হয়ে গেল। আনসার সাহাবিকে উটের প্রতি যন্তবান হতে বললেন। এ ছিলেন আমাদের দয়ার নবী। যিনি উটের ভাষা বুঝতেন। অভিভাবক মনে করে নবীজিকে দুঃখ জানাত উট। রহমতের আশা করত।
রহমতের নবী সাহাবিদের বলতেন, তোমরা ঘোড়ার কপালের পশম ঘাড়ের পশম ও লেজের পশম কেটেছেঁটে ফেল না। পাখিদেরও নবী ছিলেন আমাদের রাসূল (সা.)। পাখিরা রাসূল (সা.) কে ভালোবাসত। রাসূল (সা.) পাখিদের ভালোবাসতেন। এক সাহাবি মা পাখির বাসা থেকে ডিম ছিনিয়ে নিল। মা পাখিটা কান্না করছিল। কান্নার শব্দ প্রিয় নবী (সা.)-এর কানে এলো। রাসূল (সা.) বললেন, এই অসুন্দর কাজটি কে করেছে। সাহাবি ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে স্বীকার করলেন। নবীজি ডিমটি পাখির বাসায় রাখতে বললেন। ডিমটি দেখে মা পাখিটা কেঁদে দিল। এ দৃশ্য দেখে হাসি ফুটে উঠল নবী (সা.)-এর চেহারায়।
এভাবেই তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে ভালোবাসতে হবে পশুপাখিদের। কোনোরকম শখ বা ফুর্তির জন্য পশুকে অযথা হত্যা করতে নিষেধ করেছেন নবীজি। আজ আমরা পশুপাখি বিভিন্নভাবে হত্যা করছি। পাখিদের ডানা ভেঙে দেয়া হচ্ছে। পশুর শরীরে আগুন দিয়ে চিত্র এঁকে দেয়া হচ্ছে। কোনো একদিন রাসূল (সা.)-এর পাশ দিয়ে একটি গাধা যাচ্ছিল। তিনি দেখলেন গাধার মুখে জলন্ত লোহা দিয়ে দাগ দেয়া হয়েছে। রাসূল (সা.) এ অবস্থা দেখে বললেন, লানত যে তার মুখের এ অবস্থা করেছে। ব্যাঙ বধ করা, পিঁপড়াকে পুড়িয়ে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন তিনি।
যে কোনো প্রাণীকে ভালোবাসতে হবে। অযথা কষ্ট দিলে অবশ্যই এর শাস্তি ভোগ করতে হবে। রাসূল (সা.) এক স্ত্রী লোকের কাহিনী বললেন এভাবে, স্ত্রী লোকটি তার বিড়ালকে ভোখা রেখে শাস্তি দিত। পরবর্তী সময়ে আল্লাহ সেই স্ত্রী লোকটিকে ভীষণ আজাব দিলেন। আল্লাহর সৃষ্টির সব সৃষ্টিই আমাদের নবীকে মান্য করত। রাস্তার কুকুরটিকে পর্যন্ত রাসূল (সা.) দেখভাল করতে বলেছেন। আজ আমরা নবীর প্রেমিক দাবি করছি কখনও কি আল্লাহর সৃষ্টি প্রাণীদের জন্য কিছু রান্না করেছি।
রাস্তায় একটি বিড়াল বা বেওয়ারিশ কুকুর অসুস্থ হয় কিংবা ক্ষুধার যাত্রণায় ছোটাছুটি করে। আমরা দুই চোখ দিয়ে দেখে দেখে হেঁটে যাই। আর বলি কতদিন না খেয়ে রয়েছে কুকুরটি। আহ কতকষ্ট বেচারার। আমি এক হাতে চা অন্য হাতে রুটি খাচ্ছি। আমার হাতে থাকা একটু রুটি দিয়ে তার ক্ষুধা মিটাচ্ছি না। দোকানে বসে গল্প গুজবে ব্যস্ত আমি। বন্ধুদের নিয়ে দোকানে বসে অনেক খাবার খেলাম। দিয়েছি কি একটু প্রাণীদের? আল্লাহর সৃষ্টি এই প্রাণী তাকে ভালোবাসলে আল্লাহ খুশি হবেন। আমরা মানুষ হয়ে আজ মানুষকেই খাবার দিচ্ছি না। রাস্তায় ঘুমানো ব্যক্তিদের পাশ দিয়ে দামি জুতা পরে হেঁটে চলে যাচ্ছি। আনাহারিরা রাস্তায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে থাকে।
আমরা কখনও ভাবি না তাদের নিয়ে। আমরা পারি না তাদের পোশাক কিনে দিতে? হ্যাঁ পারি, সামর্থ্য রয়েছে। কিন্তু তাদের জন্য আমরা কিছুই করি না। আল্লাহ পারতেন আমাকে আনাহারি বানাতে। লোকে আমায় গরিব চোখে দেখত। আল্লাহ আমাদের সম্পদ দিয়েছেন। আমাদের উচিত আনাহারিদের ঘৃণা না করে মানুষ ভাবা। মানুষের প্রতি ভালোবাসা দেখান সবার উচিত। আল্লাহর সৃষ্টির সব মাখলুকাতের উপকার করা সবচেয়ে বড় ইবাদত। নবী যে ভালোবাসা মানুষ এবং জীবদের দিয়েছেন, সেই ভালোবাসা যেন আমরাও দিতে পারি। সৃষ্টিকে ভালোবাসলেই ভালোবাসা হবে স্রষ্টাকে। পশুপাখিদের ভালোবাসতে পারলে হতে পারব নবীপ্রেমিক।
- পরাজয়ের সঙ্গে এবার সিরিজও হারাল বাংলাদেশ
- এবার পারমাণবিক সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালালো রাশিয়া
- এত চেষ্টা করেও দিল্লির আকাশে মিলল না এক ফোঁটা পানি
- সংস্কার প্রতিবেদন সহজভাবে প্রকাশের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- আস্ত এটিএম মেশিন তুলে নিয়ে গেল চোরদল
- সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার রোধে দুই সেল গঠনের চিন্তা
- ঘূর্ণিঝড় মেলিসার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড জ্যামাইকা, ধেয়ে যাচ্ছে কিউবার
- বন্ধ হচ্ছে অবৈধ মোবাইল সেট, মিলবে না নেটওয়ার্কও
- ক্ষমা চাইতে রাজি নন শেখ হাসিনা
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম
- সোনার দাম বেড়ে ফের ২ লাখ টাকা ছাড়াল
- ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিল ‘মেলিসা’, ধেয়ে আসছে ২৬০ কিমি বেগে
- দ্রুত বডি-ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো এজেন্সি নির্বাচনে নতুন মানদণ্ড
- গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে হাসান মাসুদ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র তাণ্ডব: অন্ধ্রপ্রদেশে প্রবল বৃষ্টি
- আদালতে কেন ঘুরছেন সামিরার ক্রিকেটার স্বামী ইশতিয়াক
- পর্যটন বিকাশে হচ্ছে ‘বর্ডার ড্রাইভ’
- বাংলাদেশে বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ
- সোনার দামে বড় দরপতন, ভরিতে কমেছে ১০ হাজার
- গাজায় শক্তিশালী হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর
- গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থায়’ পরিণত
- ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা তারেক রহমানের
- আধা ঘণ্টার ব্যবধানে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার হারাল যুক্তরাষ্ট্র
- মাত্রাতিরিক্ত খরচে বিরক্ত পর্যটক
- ১৬ রানে হেরে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
- অবৈধ পথে প্রবেশ: ভারতের ৫৪ নাগরিককে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র
- দেশে রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে
- ট্রাম্প চাইলেই কি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন?
- টানা তৃতীয়বারের মতো কমল সোনার দাম
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৬৫
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- মৃতের আত্মা কখনও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসে না
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- কেমন হবে হাশরের ময়দান
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- পথ চলার আদব!
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু
