শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩২   ১৮ জ্বিলকদ ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন কফিতে মশগুল ব্রিটেনে পলাতক সাবেক মন্ত্রীরা! নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের সাভারে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি, চালক ও সহকারী আটক ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখার নির্দেশ উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতার আওতায় ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’ নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্র্রঙ্কসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সাবওয়ে ট্রেনে সন্তান প্রসব নিউইয়র্কে আইস পুলিশের বিশাল অফিস উদ্বোধন মেয়রের মামলা প্রত্যাহারে প্রসিকিউটরের পদত্যাগ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশদাতা জন্ম নাগরিকত্ব বাতিল আদেশ আটকে দিল আদালতে নিউইয়র্কে ডিমের ডজন ১২ ডলার নিউইয়র্কে ভালোবাসা দিবস উৎযাপন আমেরিকান বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন’র আত্মপ্রকাশ জামালপুর সমিতির সভাপতি সিদ্দিক ও সম্পাদক জাস্টিস শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
১২৫

ধেয়ে আসছে মরণ ঘাতক ‘সুপারবাগ’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮  

সুপারম্যানের অতিমানবীয় ক্ষমতা সম্পর্কে সকলেই অবগত! মানবজাতির কল্যাণে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয় সুপারম্যান। জীবাণু জগতেও এরকম সুপারবাগ আছে। কিন্তু তারা কল্যাণকামী নয় বরং বিধ্বংসী।শুধু তা-ই নয়, বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন আগামী দিনগুলোতে এই সুপারবাগই হয়ে উঠতে যাচ্ছে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। আর এর সঙ্গে লড়ার অস্ত্রশস্ত্র ফুরিয়ে আসছে খুব দ্রুতই।

কী এই সুপারবাগ? সুপারবাগ হচ্ছে সেই জীবাণু, যার বিরুদ্ধে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজ করে না। অর্থ্যাৎ, কোনো এক বৈশিষ্ট্যের কারণে এই জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিকের বিপরীতে বিপুল বিক্রমে বেঁচে থাকার ক্ষমতা অর্জন করে ফেলে। এই সুপারবাগ জীবাণু হতে পারে ভাইরাস, হতে পারে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা পরজীবী প্রোটোজোয়া। যেকোনো ধরনের জীবাণুই ওষুধ প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে।ফলে সে পরিণত হতে পারে এক বিধ্বংসী শক্তিতে যাকে ধ্বংস করার কোন হাতিয়ার আমাদের হাতে নেই।কিন্তু কী করে একটি সাধারন জীবাণু সুপারবাগ হয়ে ওঠে? সেটা বুঝতে হলে আগে জানতে হবে কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুকে ধ্বংস করে।

১৯২৮ সালে স্কটল্যান্ডের চিকিৎসাবিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং প্রায় আকস্মিকভাবেই আবিষ্কার করেন অ্যান্টিবায়োটিক।তিনি লক্ষ্য করেন, পেনিসিলিয়াম নোটেটাম নামক ছত্রাক থেকে তৈরি মোল্ড জুস স্টেফাইলোকক্কাস ব্যাকটেরিয়ার কালচার প্লেটে যোগ করলে সেই ব্যাকটেরিয়া আর বংশ বৃদ্ধি করতে পারছে না।শুধু তা-ই নয়, এই জুস কালচার প্লেটে একটি ব্যাকটেরিয়ামুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। এই জিনিসটির নাম তিনি দিলেন পেনিসিলিন।এভাবেই জীবাণুর বিরুদ্ধে মানুষের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠল অ্যান্টিবায়োটিক।এই আবিষ্কারের জন্য ফ্লেমিং ১৯৪৪ সালে নাইট উপাধি পান, নোবেল পুরস্কার পান ১৯৪৫ সালে।

 

পরের বছরগুলোতে তারই দেখানো পথ ধরে আবিষ্কৃত হয় আরো নানা অ্যান্টিবায়োটিক।এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলো মূলত দু’ভাবে কাজ করে। কেউ কেউ ব্যাকটেরিয়া কোষের দেয়ালকে নষ্ট করে দিয়ে তাকে মেরে ফেলে, আবার কেউ ব্যাকটেরিয়াকে মারতে না পারলেও তার বিপাকক্রিয়াকে প্রতিহত করে ডিএনএ বিভাজনকে রোধ করে দেয়। ফলে ওই ব্যাকটেরিয়া আর বংশ বৃদ্ধি করতে পারে না। অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের আগে রোগ-জীবাণুর হাতে মানুষের মৃত্যু ছিল সাধারণ এক ঘটনা।কলেরা, ডায়রিয়া, প্লেগ, ঘা, নিউমোনিয়া ইত্যাদি সংক্রমণে উজাড় হয়ে যেত জনপদ।একের পর এক অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার এসব সংক্রামক ব্যাধিকে হটিয়ে দিতে শুরু করে। বাড়তে শুরু করে মানুষের আয়ু। মানুষ জয়ী হতে শুরু করে জীবাণুজগতের বিরুদ্ধে।

ওদিকে শত্রুও কিন্তু বসে নেই। জীবাণুরাও গোপনে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিতে থাকে।নিজেদের ক্রোমোজোমে মিউটেশন ঘটিয়ে নিজেদের কোষের গঠন ও স্বভাবকেই পরিবর্তন করে ফেলে তারা। ফলে অ্যান্টিবায়োটিক হারাতে থাকে তাদের কার্যকারিতা। একে বলা হয় অ্যান্টিবায়োটিক রেসিসস্ট্যান্স।সবচেয়ে বড় কথা, এই জীবাণুগুলো পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে এই জিন ট্রান্সফার করে দিতে পারে। ফলে পরের প্রজন্মে ওই মিউটেশন বাহিত হয়ে যায় ব্যাকটেরিয়াগুলোর মধ্যে। তারা হয়ে ওঠে আরো শক্তিশালী ও অপ্রতিরোধ্য।কখনো তারা অ্যান্টিবায়োটিককে নষ্ট করে দেয়ার মত এনজাইম তৈরি করে শরীরে, তখনো বা অ্যান্টিবায়োটিক যেখানে কাজ করবে, সেই প্রোটিন বাইন্ডিং সাইটকেই পাল্টে ফেলে, কখনো নিজেদের বিপাকক্রিয়াকে পরিবর্তন করে, আবার কেউ অ্যান্টিবায়োটিকে শরীর থেকে টেনে বের করে দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করে। এভাবেই তারা হয়ে ওঠে সুপারবাগ বা প্রবল ক্ষমতাধর জীবাণু!

 

মানবসমাজে ও পশুপাখির খামারে অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র অপরিণামদর্শী ও ভুল ব্যবহার সুপারবাগের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করছে। একের পর এক জীবাণুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক তার কার্যকারিতা হারাচ্ছে। নতুন কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকেরও আবিষ্কার বন্ধ রয়েছে বহু বছর ধরে।অ্যান্টিবায়োটিকবিহীন জীবন কেমন হতে পারে একটু ভেবে দেখুন তো? অ্যান্টিবায়োটিকের অভাবে সামান্য কাটাছেঁড়া থেকে জন্ম নিতে পারে জীবননাশী ইনফেকশন। সন্তান প্রসবের সময় মা ও নবজাতক দু’জনেরই ইনফেকশনের আশঙ্কা থাকে খুব বেশি, যা হতে পারে নবজাতকের মৃত্যু অথবা চিরস্থায়ী শারীরিক অক্ষমতার কারণ। আর সার্জারির কী হবে? সার্জারির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক অপরিহার্য। কেননা কাটাছেঁড়া আর ক্ষতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে অনেক বেশি, যা কিনা রক্তে ছড়িয়ে রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

অ্যান্টিবায়োটিকের অভাবে শুধুই সংক্রামক রোগ নয়, অন্যান্য অনেক রোগ যেমন- ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস এবং কিডনি রোগের চিকিৎসাও সম্ভব নয়। কেননা এসব ক্ষেত্রে রোগীকে এমন সব ওষুধ দিতে হয় যা আমাদের শরীরের নিজস্ব রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে ফেলে, যাতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। মোদ্দা কথা, ব্যাকটেরিয়াঘটিত সংক্রমণ থেকে মৃত্যুঝুঁকির আতঙ্ক হবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী।সুপারবাগের হুমকিতে অর্থনৈতিক জীবনও নিরাপদ নয়। সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াকে এখনই না থামানো গেলে বিশ্ব এক চরম অর্থনৈতিক মন্দার দিকে ধাবিত হবে যা ইতিহাসের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক মন্দাও ছাপিয়ে যাবে, প্রায় তিন কোটি মানুষকে ঠেলে দিবে চরম দারিদ্র্যে!

 

অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তাই এর সমাধানও হতে হবে বৈশ্বিকভাবে। সত্যি বলতে কী, কোনো এক দেশ এককভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। কেননা উন্নত যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সারা বিশ্বের মানুষ এখন একই সূত্রে বাঁধা। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যতই নিশ্ছিদ্র হোক না কেন, সাদা চোখে অদৃশ্য, এসব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সুপারবাগের প্রবেশ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। এর প্রমাণ হল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যে পৃথিবীর খুব কম দেশই আছে যেখান থেকে কোনো না কোনো অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সুপারবাগের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। সুপারবাগ ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিরুদ্ধে এখনই তাই যুদ্ধ ঘোষণার সর্বশেষ সময়।

সুপারবাগ বনাম মানুষ–  লড়াইয়ে মানুষ জিততে পারবে কি?

এ যুদ্ধ কোনো সুনির্দিষ্ট পেশাজীবীদের নয়। এ যুদ্ধে সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ, গণমাধ্যম, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য ও সেবা কর্মী, বিজ্ঞানী এবং ডায়াগনস্টিক ল্যাবসহ সকলেরই কিছু না কিছু করার আছে। আশার কথা হল, সম্প্রতি জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশ অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে লড়তে একমত হয়েছে এবং একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর সাফল্যের মুখ দেখতে জাতীয় পর্যায়ে প্রয়োজন এর যথাযথ প্রয়োগের।মানুষ পেরেছে পৃথিবী থেকে গুঁটিবসন্ত সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করতে– পেরেছে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে মহামারী ঘটানো রোগবালাই, যেমন প্লেগ, কুষ্ঠ ও ডিপথেরিয়া। পারতে হবে সুপারবাগের বিরুদ্ধেও। তা না হলে এই দালানকোঠা, গাড়িঘোড়া, স্যাটেলাইট, স্মার্টফোন, ফেসবুক, টুইটার সবই অর্থহীন হয়ে যাবে।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর