ধেয়ে আসছে মরণ ঘাতক ‘সুপারবাগ’
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

সুপারম্যানের অতিমানবীয় ক্ষমতা সম্পর্কে সকলেই অবগত! মানবজাতির কল্যাণে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয় সুপারম্যান। জীবাণু জগতেও এরকম সুপারবাগ আছে। কিন্তু তারা কল্যাণকামী নয় বরং বিধ্বংসী।শুধু তা-ই নয়, বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন আগামী দিনগুলোতে এই সুপারবাগই হয়ে উঠতে যাচ্ছে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। আর এর সঙ্গে লড়ার অস্ত্রশস্ত্র ফুরিয়ে আসছে খুব দ্রুতই।
কী এই সুপারবাগ? সুপারবাগ হচ্ছে সেই জীবাণু, যার বিরুদ্ধে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজ করে না। অর্থ্যাৎ, কোনো এক বৈশিষ্ট্যের কারণে এই জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিকের বিপরীতে বিপুল বিক্রমে বেঁচে থাকার ক্ষমতা অর্জন করে ফেলে। এই সুপারবাগ জীবাণু হতে পারে ভাইরাস, হতে পারে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা পরজীবী প্রোটোজোয়া। যেকোনো ধরনের জীবাণুই ওষুধ প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে।ফলে সে পরিণত হতে পারে এক বিধ্বংসী শক্তিতে যাকে ধ্বংস করার কোন হাতিয়ার আমাদের হাতে নেই।কিন্তু কী করে একটি সাধারন জীবাণু সুপারবাগ হয়ে ওঠে? সেটা বুঝতে হলে আগে জানতে হবে কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুকে ধ্বংস করে।
১৯২৮ সালে স্কটল্যান্ডের চিকিৎসাবিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং প্রায় আকস্মিকভাবেই আবিষ্কার করেন অ্যান্টিবায়োটিক।তিনি লক্ষ্য করেন, পেনিসিলিয়াম নোটেটাম নামক ছত্রাক থেকে তৈরি মোল্ড জুস স্টেফাইলোকক্কাস ব্যাকটেরিয়ার কালচার প্লেটে যোগ করলে সেই ব্যাকটেরিয়া আর বংশ বৃদ্ধি করতে পারছে না।শুধু তা-ই নয়, এই জুস কালচার প্লেটে একটি ব্যাকটেরিয়ামুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। এই জিনিসটির নাম তিনি দিলেন পেনিসিলিন।এভাবেই জীবাণুর বিরুদ্ধে মানুষের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠল অ্যান্টিবায়োটিক।এই আবিষ্কারের জন্য ফ্লেমিং ১৯৪৪ সালে নাইট উপাধি পান, নোবেল পুরস্কার পান ১৯৪৫ সালে।
পরের বছরগুলোতে তারই দেখানো পথ ধরে আবিষ্কৃত হয় আরো নানা অ্যান্টিবায়োটিক।এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলো মূলত দু’ভাবে কাজ করে। কেউ কেউ ব্যাকটেরিয়া কোষের দেয়ালকে নষ্ট করে দিয়ে তাকে মেরে ফেলে, আবার কেউ ব্যাকটেরিয়াকে মারতে না পারলেও তার বিপাকক্রিয়াকে প্রতিহত করে ডিএনএ বিভাজনকে রোধ করে দেয়। ফলে ওই ব্যাকটেরিয়া আর বংশ বৃদ্ধি করতে পারে না। অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের আগে রোগ-জীবাণুর হাতে মানুষের মৃত্যু ছিল সাধারণ এক ঘটনা।কলেরা, ডায়রিয়া, প্লেগ, ঘা, নিউমোনিয়া ইত্যাদি সংক্রমণে উজাড় হয়ে যেত জনপদ।একের পর এক অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার এসব সংক্রামক ব্যাধিকে হটিয়ে দিতে শুরু করে। বাড়তে শুরু করে মানুষের আয়ু। মানুষ জয়ী হতে শুরু করে জীবাণুজগতের বিরুদ্ধে।
ওদিকে শত্রুও কিন্তু বসে নেই। জীবাণুরাও গোপনে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিতে থাকে।নিজেদের ক্রোমোজোমে মিউটেশন ঘটিয়ে নিজেদের কোষের গঠন ও স্বভাবকেই পরিবর্তন করে ফেলে তারা। ফলে অ্যান্টিবায়োটিক হারাতে থাকে তাদের কার্যকারিতা। একে বলা হয় অ্যান্টিবায়োটিক রেসিসস্ট্যান্স।সবচেয়ে বড় কথা, এই জীবাণুগুলো পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে এই জিন ট্রান্সফার করে দিতে পারে। ফলে পরের প্রজন্মে ওই মিউটেশন বাহিত হয়ে যায় ব্যাকটেরিয়াগুলোর মধ্যে। তারা হয়ে ওঠে আরো শক্তিশালী ও অপ্রতিরোধ্য।কখনো তারা অ্যান্টিবায়োটিককে নষ্ট করে দেয়ার মত এনজাইম তৈরি করে শরীরে, তখনো বা অ্যান্টিবায়োটিক যেখানে কাজ করবে, সেই প্রোটিন বাইন্ডিং সাইটকেই পাল্টে ফেলে, কখনো নিজেদের বিপাকক্রিয়াকে পরিবর্তন করে, আবার কেউ অ্যান্টিবায়োটিকে শরীর থেকে টেনে বের করে দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করে। এভাবেই তারা হয়ে ওঠে সুপারবাগ বা প্রবল ক্ষমতাধর জীবাণু!
মানবসমাজে ও পশুপাখির খামারে অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র অপরিণামদর্শী ও ভুল ব্যবহার সুপারবাগের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করছে। একের পর এক জীবাণুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক তার কার্যকারিতা হারাচ্ছে। নতুন কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকেরও আবিষ্কার বন্ধ রয়েছে বহু বছর ধরে।অ্যান্টিবায়োটিকবিহীন জীবন কেমন হতে পারে একটু ভেবে দেখুন তো? অ্যান্টিবায়োটিকের অভাবে সামান্য কাটাছেঁড়া থেকে জন্ম নিতে পারে জীবননাশী ইনফেকশন। সন্তান প্রসবের সময় মা ও নবজাতক দু’জনেরই ইনফেকশনের আশঙ্কা থাকে খুব বেশি, যা হতে পারে নবজাতকের মৃত্যু অথবা চিরস্থায়ী শারীরিক অক্ষমতার কারণ। আর সার্জারির কী হবে? সার্জারির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক অপরিহার্য। কেননা কাটাছেঁড়া আর ক্ষতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে অনেক বেশি, যা কিনা রক্তে ছড়িয়ে রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিকের অভাবে শুধুই সংক্রামক রোগ নয়, অন্যান্য অনেক রোগ যেমন- ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস এবং কিডনি রোগের চিকিৎসাও সম্ভব নয়। কেননা এসব ক্ষেত্রে রোগীকে এমন সব ওষুধ দিতে হয় যা আমাদের শরীরের নিজস্ব রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে ফেলে, যাতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। মোদ্দা কথা, ব্যাকটেরিয়াঘটিত সংক্রমণ থেকে মৃত্যুঝুঁকির আতঙ্ক হবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী।সুপারবাগের হুমকিতে অর্থনৈতিক জীবনও নিরাপদ নয়। সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াকে এখনই না থামানো গেলে বিশ্ব এক চরম অর্থনৈতিক মন্দার দিকে ধাবিত হবে যা ইতিহাসের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক মন্দাও ছাপিয়ে যাবে, প্রায় তিন কোটি মানুষকে ঠেলে দিবে চরম দারিদ্র্যে!
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তাই এর সমাধানও হতে হবে বৈশ্বিকভাবে। সত্যি বলতে কী, কোনো এক দেশ এককভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। কেননা উন্নত যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সারা বিশ্বের মানুষ এখন একই সূত্রে বাঁধা। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যতই নিশ্ছিদ্র হোক না কেন, সাদা চোখে অদৃশ্য, এসব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সুপারবাগের প্রবেশ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। এর প্রমাণ হল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যে পৃথিবীর খুব কম দেশই আছে যেখান থেকে কোনো না কোনো অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সুপারবাগের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। সুপারবাগ ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিরুদ্ধে এখনই তাই যুদ্ধ ঘোষণার সর্বশেষ সময়।
সুপারবাগ বনাম মানুষ– এ লড়াইয়ে মানুষ জিততে পারবে কি?
এ যুদ্ধ কোনো সুনির্দিষ্ট পেশাজীবীদের নয়। এ যুদ্ধে সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ, গণমাধ্যম, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য ও সেবা কর্মী, বিজ্ঞানী এবং ডায়াগনস্টিক ল্যাবসহ সকলেরই কিছু না কিছু করার আছে। আশার কথা হল, সম্প্রতি জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশ অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে লড়তে একমত হয়েছে এবং একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর সাফল্যের মুখ দেখতে জাতীয় পর্যায়ে প্রয়োজন এর যথাযথ প্রয়োগের।মানুষ পেরেছে পৃথিবী থেকে গুঁটিবসন্ত সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করতে– পেরেছে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে মহামারী ঘটানো রোগবালাই, যেমন প্লেগ, কুষ্ঠ ও ডিপথেরিয়া। পারতে হবে সুপারবাগের বিরুদ্ধেও। তা না হলে এই দালানকোঠা, গাড়িঘোড়া, স্যাটেলাইট, স্মার্টফোন, ফেসবুক, টুইটার সবই অর্থহীন হয়ে যাবে।

- ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির কাছাকাছি যুক্তরাষ্ট্র : ট্রাম্প
- ১৪ মে জবির কালো দিবস ঘোষণা, জুমার নামাজের পর থেকে গণঅনশন
- ট্রাম্পের নীতির বোঝা বইছে অভিবাসীরা
- ডলার নিয়ে কারসাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা
- চিকিৎসা ওষুধে লাগামহীন খরচ
- গাজাজুড়ে ইসরাইলের হামলায় নিহত ৭০
- আওয়ামী লীগের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধের উদ্যোগ
- শর্ত বাস্তবায়ন না করলে ঋণ ছাড় নয়
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় উদ্বিগ্ন ভারত
- ‘জুলাই আন্দোলনকালে হাসিনার মন খারাপ হলে গান শোনাতেন মমতাজ’
- গাজায় অনাহারে অপুষ্টিতে ৫৭ শিশুর মৃত্যু
- স্বর্ণের দাম বাড়ল ভরিতে ১৫৬৬ টাকা
- অগ্নিপরীক্ষায় সাবিলা নূর
- ডলারের দাম বাড়বে, কমবে টাকার মান
- সৌদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪২ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র চুক্তি সই
- আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল ইসি
- বিলাসবহুল উড়োজাহাজে যেসব সুবিধা পাবেন ট্রাম্প
- যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক খুবই ভালো: ট্রাম্প
- সাবেক এমপি মমতাজ বেগম গ্রেপ্তার
- কিয়েভে সরব ইউরোপ, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ট্রাম্পকে ফোন
- অবৈধ অভিবাসীদের ওপর নজরদারি জোরদার করল ট্রাম্প প্রশাসন
- যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিল ভারত ও পাকিস্তান
- ফক্স নিউজের পরিচিত মুখদের দখলে ট্রাম্প প্রশাসন
- নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে:আসিফ
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ: শাহবাগে ছাত্র-জনতার উল্লাস
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা
- জ্যামাইকা থিয়েটারের সভাপতি বাবুল ও সেক্রেটারি নাজিয়া জাহান
- ৭ বছরেও কমিটি নেই
নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের স্থবিরতা - নাটকীয়তার পর সেলিনা আইভী গ্রেপ্তার
- সোসাইটি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- বাংলাদেশ এখন অরাজকতার আগ্নেয়গিরি
- চট্রগাম সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহন
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- টেক্সট মেসেজ নিয়ে এফবিআই’র সতর্কতা
- লাখ টাকা কমছে হজের খরচ
- ৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ তালি বাজাতে দুই হাত লাগে
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- বাংলাদেশে ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ‘ইমো’
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা
- মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ
- আজকাল ৮৫০
- তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে
- বিপিএলে কানাডিয়ান মডেল নিয়োগ দিল চট্টগ্রাম কিংস
- ‘আজকাল’-৮৪৯ সংখ্যা

- সেক্স কমে গেলে যেসব শারীরিক সমস্যা হয় (ভিডিও)
- নবজাতকের মায়েদের স্তনের পাঁচটি সমস্যা এবং তার সমাধান
- ‘ওরাল সেক্স’র আগে-পরে দাঁত ব্রাশ করতে নিষেধ চিকিৎসকদের
- দেহ বিষমুক্ত রাখতে গরম পানি পানের উপকারিতা
- স্যানিটারি প্যাড তরুণ প্রজন্মের ভয়াবহ নেশা!
- প্লাস্টিক বা কাচ নয় পানি পান করুন স্বাস্থ্যকর মাটির বোতলে
- দেশের প্রধান তেলবীজ সরিষা : অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প
- ফ্যাটি লিভারের যত সমস্যা
- মিষ্টি বা টক দই কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?
- দায়িত্বে অবহেলা হলে চিকিৎসকদের ওএসডির নির্দেশ
- ডেঙ্গুতে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৫৯
- শরীরে ভিটামিন ডির ঘাটতি বুঝবেন কীভাবে?
- মাত্র ১০ মিনিটে ক্যানসার শনাক্ত! এরপর চিকিৎসা…
- রক্ত দিয়ে দীর্ঘায়ু লাভ করুন
- দেশে কম বয়সে হৃদরোগ-মৃত্যু বাড়ছে