চাঁদে মিলবে পানি-সোনাসহ দুর্লভ ধাতু!
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯
পৃথিবীর প্রথম মানুষ হিসেবে প্রায় ৫০ বছর আগে নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে পা রাখেন। এরপর তার বিখ্যাত বক্তব্যটি ছিল, ‘মানুষের এই ক্ষুদ্র পদক্ষেপটি মানব সভ্যতাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেল।’ তার কিছুক্ষণ পরেই তার সহকর্মী বায অলড্রিন (যার আসল নাম এডউইন অলড্রিন জুনিয়র) তার সঙ্গে যোগ দেন। ঈগল চন্দ্রযান থেকে বেরিয়ে অলড্রিন চাঁদের বিস্তীর্ণ সৌন্দর্য দেখে মন্তব্য করেছিলেন, ‘অভাবনীয় নির্জনতা’।
১৯৬৯ সালের জুলাই মাসের অ্যাপোলো-১১ অভিযানের পর চাঁদ বেশিরভাগ সময় স্পর্শহীন থেকেছে। ১৯৭২ সালের পর থেকে সেখানে আর কোনো মানুষের পা পড়েনি। তবে এটি হয়তো খুব তাড়াতাড়ি পাল্টে যাচ্ছে, কারণ অনেকগুলো কোম্পানি চাঁদের অভিযানের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের অনেকে সম্ভবত চাঁদে খনি অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে সোনা, প্লাটিনাম আর দুর্লভ সব ধাতু আহরণ করতে চাইবে, যেগুলো বৈদ্যুতিক যন্ত্রে ব্যবহার করা যায়।
এ মাসের শুরুর দিকে ‘চাঙ্গ এ ফোর’ নামে চীনের একটি নভোযান চাঁদের অপর পিঠে নেমেছে। চন্দ্রপৃষ্ঠে একটি জীবমণ্ডল স্থাপন করে সেখানে একটি চারা গাছ রোপণ করতে সক্ষম হয় ওই চন্দ্রযানটি। এখন সেখানে একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করার চেষ্টা করছে ওই চন্দ্রযান।
জাপানের কোম্পানি আইস্পেস ‘চাঁদ-পৃথিবী পরিবহন প্ল্যাটফর্ম’ নামের একটি পরিকল্পনা নিয়েছে, যার মাধ্যমে তারা চাঁদের মেরুতে অভিযান চালাতে চায়। তাই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, অলড্রিনের চাঁদের সেই অভাবনীয় নির্জনতা কি টিকে থাকবে নাকি পৃথিবীর এই একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহটি বাণিজ্যিক আর রাজনৈতিক জমি ও সম্পদ দখলের লড়াইয়ে পরিণত হবে?
স্নায়ুযুদ্ধের সময় মহাকাশ অভিযান শুরুর পরপরই মহাকাশের নানা বস্তুর মালিকানার বিষয়টি একটি ইস্যু হয়ে ওঠে। যখন নাসা তাদের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশযান চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে, তখন জাতিসংঘে বহির্জগতের মহাকাশ চুক্তি নামের একটি চুক্তিপত্র গ্রহণ করা হয়।
১৯৬৭ সালের ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য। সেখানে বলা হয়, পৃথিবীর বাইরের মহাশূন্যে, চাঁদ এবং অন্যান্য যেসব বস্তু রয়েছে, সেখানে কোনো দেশ দখল বা অন্য কোনোভাবে নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করতে পারবে না।
মহাকাশ বিষয়ক কোম্পানি অলডেন অ্যাডভাইজারর্সের পরিচালক জোয়ানা হোয়েলার বলছেন, ওই চুক্তিটি হচ্ছে মহাকাশের ম্যাগনা কার্টার মতো। এর ফলে আর্মস্টং এবং অন্যরা চাঁদে যে পতাকা পুতে রেখে এসেছিলেন, সেটি অর্থহীন হয়ে পড়ে, যেহেতু চাঁদে কোনো ব্যক্তি, কোম্পানি বা দেশের মালিকানা নাকচ হয়ে গেছে।
সত্যি কথা বলতে, ১৯৬৯ সালে চাঁদে জমির মালিকানা বা খনির অধিকার তেমন একটা গুরুত্বও বহন করতো না। কিন্তু যেহেতু প্রযুক্তির অনেক উন্নতি হয়েছে, খনি আহরণ এখন খুবই লাভজনক একটি ব্যাপার। সুতরাং বহুদূর থেকেও খনি আহরণ করাটা লাভজনক হলে সেটি অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় হতে পারে।
১৯৭৯ সালে চাঁদ ও মহাশূন্যের অন্যান্য বস্তুতে বিভিন্ন রাষ্ট্রগুলোর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সমঝোতা প্রস্তাব আনে জাতিসংঘ, যেটি ‘মুন এগ্রিমেন্ট’ নামে বেশি পরিচিত। সেখানে মূল বিষয়গুলো ছিল, এসব কর্মকাণ্ড হতে হবে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে এবং কোনো মহাকাশ স্টেশন বানাতে হলে আগে জাতিসংঘকে অবশ্যই জানাতে হবে কেন এবং কোথায় তারা সেটি বানাতে চায়।
ওই চুক্তিতে আরো বলা হয়েছিল, চাঁদ এবং এর সব প্রাকৃতিক সম্পত্তি মানব সভ্যতার সবার সমান অধিকার থাকবে। যখন সেখান থেকে খনি আহরণ সম্ভব হবে, তখন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে, যারা সেই আহরণের বিষয়গুলো দেখভাল করবে।
তবে ওই চুক্তিটির সমস্যা হলো, মাত্র ১১টি দেশ সেটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স ও ভারত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন এবং রাশিয়ার মতো মহাকাশ গবেষণার প্রধান দেশগুলো চুক্তিটি সমর্থন করেনি।
মিজ হোয়েলার বলছেন, কোনো চুক্তিতে উল্লেখ করা আইনগুলোর প্রয়োগ করা ততটা সহজ নয়। কারণ এসব চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোকে সেটিকে তাদের আইনে পরিণত করতে হবে এবং কোম্পানি বা ব্যক্তিদের সেটা মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে।
‘জার্নাল অব স্পেস ল’ এর সাবেক প্রধান সম্পাদক জোয়ান্নে ইরিনে গ্রাব্রিনোভিচ বলছেন, আসলে আন্তর্জাতিক সমঝোতা বাস্তবে কোনো নিশ্চয়তা দেয় না। কারণ সেটি বাস্তবায়ন অনেক ক্ষেত্রে রাজনীতি, অর্থনীতি এবং গণ মতামতের ওপর নির্ভর করে। তার মতে, মহাশূন্যের গ্রহ-উপগ্রহের ওপর মালিকানা না থাকার বর্তমান চুক্তিগুলো সাম্প্রতিক সময়ে আরো বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র মহাশূন্যে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ রেখে একটি আইন অনুমোদন করে। সেখানে বলা হয়, কোনো গ্রহাণু থেকে নাগরিকদের খনি সম্পদ আহরণের অধিকার দেয়া হয়। সেখানে চাঁদের কথা উল্লেখ করা হয়নি, তবে একসময় সেটিও এই আইনের আওতায় চলে আসতে পারে। খনি সন্ধানী কোম্পানি প্লানেটারি রিসোর্সেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এরিক অ্যান্ডারসন এই আইনকে বিশ্ব ইতিহাসের সম্পত্তি মালিকার সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি বলে বর্ণনা করেছেন।
২০১৭ সালে লুক্সেমবার্গ তাদের নিজস্ব আইন অনুমোদন করে যেখানে মহাশূন্যে অধিকার করা কোনো বস্তু বা সম্পত্তির মালিকানার স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর ফলে এই খাতে দেশটি শীর্ষ অবস্থানে থাকবে বলে আশা করছেন সেদেশের নেতারা।
মহাকাশে অভিযান এবং আরো বেশি অর্থ লাভের সম্ভাবনায় কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করতে আগ্রহী হয়ে উঠছে অনেক দেশ। ‘নালেডি স্পেস ল অ্যান্ড পলিসি’র আইনজীবী হেলেন তাবেনি বলছেন, চাঁদের কোনোরকম ক্ষতি না করে খনি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সেখানকার সম্পদ পৃথিবীতে নিয়ে আসা বা চাঁদে মজুদ করে রাখা সম্ভব নয়।
তিনি বলছেন, বরং এই প্রশ্ন তোলা যেতে পারে যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং লুক্সেমবার্গ মহাকাশের চুক্তিগুলোকে দুমড়ে নিজেদের স্বার্থের পথ দেখছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যদি এভাবে একসঙ্গে মহাকাশে সম্পদ আহরণের মতো কর্মকাণ্ড শুরু করে, তাহলে প্রকৃতি কতটা সুরক্ষিত থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। সূত্র: বিবিসি
- যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি স্থানীয় সরকার ও গণভোটে ট্রাম্পের দলের ভরাডুবি
- অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে মামলা
- ডেটিং অ্যাপে যেভাবে মামদানির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার স্ত্রীর
- যুক্তরাষ্ট্রে কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ৩
- ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৬৯
- টেলিগ্রামে ১০৮ পর্নোগ্রাফি চ্যানেল শনাক্ত, বন্ধে চিঠি
- আট মাসে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছেন ২ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি
- মামদানির বিজয় বাংলাদেশি ‘আঙ্কেল আন্টিদের’
- নিউ ইয়র্কে ইসলামোফোবিয়ার কোনো স্থান নেই: মামদানি
- চট্টগ্রামে এমপিপ্রার্থীর গণসংযোগে গুলি, ‘সন্ত্রাসী’ বাবলা নিহত
- যে কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না মামদানি
- ভোটের সংখ্যায় ৬০ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন মামদানি
- বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি দিলো ভারতের আদানি পাওয়ার
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ বিলিয়ন ডলারে সয়াবিন কিনবে তিন প্রতিষ্ঠান
- নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ৭০ শতাংশই ভাড়াটে
- যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি মারা গেছেন
- নিউ ইয়র্কে মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে, ফলাফল জানা যাবে কখন
- মামদানির হাতে ব্যালট-খামে বাংলায় লেখা
- ১ হাজার বিচারকের পদোন্নতির সিদ্ধান্ত
- আপাতত জাকির নায়েককে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দিচ্ছে না সরকার
- বিএনপিতে যোগ দিলেন মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
- বাংলাদেশি ও ভারতীয়দের ভিসা গণহারে বাতিলের ক্ষমতা চাইছে কানাডা
- নির্বাচনি উত্তাপে দেশ
- অভিবাসী কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট স্বয়ংক্রিয় নবায়ন বন্ধ
- আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৭, আহত ৫৩০
- তৃতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার বিষয়ে যা বললেন ট্রাম্প
- প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষকের পদ বাতিল
- বিশ্বকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়ার শক্তি আমাদের আছে : ট্রাম্প
- চীন থেকে ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ
- গাজা এখন ‘মাইনের শহর’
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- ‘গুগল প্লাস’ বন্ধ হচ্ছে
- টেসলা সিইওর ৫ হাজার কোটি ডলার বেতন যৌক্তিক!
- টয়োটার মানব রোবট ৬ মাইল দূর থেকে নিয়ন্ত্রণযোগ্য
- গুগল ম্যাপসে বন্ধুকে লোকেশন জানাবেন যেভাবে
- ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্মাননা পেলেন অর্থমন্ত্রী
- সাবধান! হেডফোনে গান শুনতে গিয়ে কিশোরের মৃত্যু
- ফেসবুক অফিসে বোমাতঙ্ক
- ছবি এডিটিং ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়
- ভাঁজ করা যাবে এই ফোন
- এআই ব্যবহারের অনুমতি পেল শিক্ষার্থীরা
- তরুণরাই এগিয়ে নিচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশকে : অর্থমন্ত্রী
- ফ্রিল্যান্সারদের ১০ শতাংশ উৎসে কর প্রযোজ্য নয়: এনবিআর
- হয়রানি বন্ধে ফেসবুকে নতুন ফিচার
- কেমন হবে নকিয়ার নতুন ফোন ৮.১? জেনে নিন বিস্তারিত…
- ফেসবুক ব্যবহারেও এখন করতে হবে টাকা খরচ
