রোববার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৪ ১৪৩২   ০৮ রজব ১৪৪৭

সর্বশেষ:
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও অস্ট্রিয়ায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৯ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও রুশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় দফা আলোচনা শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড কী, কখন মোতায়েন করা হয়? যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করলেন কেনেডি ফ্রান্সগামী উড়োজাহাজে চড়ে ইসরাইল ছাড়লেন গ্রেটা থুনবার্গ না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ সিঙ্গাপুরের ঘাম ঝরিয়েও হার বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন কফিতে মশগুল ব্রিটেনে পলাতক সাবেক মন্ত্রীরা! নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের সাভারে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি, চালক ও সহকারী আটক ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখার নির্দেশ উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতার আওতায় ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’ নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্র্রঙ্কসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সাবওয়ে ট্রেনে সন্তান প্রসব নিউইয়র্কে আইস পুলিশের বিশাল অফিস উদ্বোধন মেয়রের মামলা প্রত্যাহারে প্রসিকিউটরের পদত্যাগ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশদাতা জন্ম নাগরিকত্ব বাতিল আদেশ আটকে দিল আদালতে নিউইয়র্কে ডিমের ডজন ১২ ডলার নিউইয়র্কে ভালোবাসা দিবস উৎযাপন আমেরিকান বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন’র আত্মপ্রকাশ জামালপুর সমিতির সভাপতি সিদ্দিক ও সম্পাদক জাস্টিস শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
৩০৩

অনলাইনে আসছে ৩ হাজার সরকারি সেবা

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দিনটি বাংলাদেশের কৃষিবিদদের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। এদিন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। 

এ সফরেই বঙ্গবন্ধু সরকারি চাকরিতে কৃষিবিদদের মর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণি করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং কিছুদিন পরেই তা বাস্তবায়ন করেন। বঙ্গবন্ধুর এ অবদান স্মরণীয় করে রাখতে ২০১১ সাল থেকে কৃষিবিদরা এ দিনটিকে ‘কৃষিবিদ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন।

আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দার প্রান্তে। কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েই স্বয়ংসম্পূর্ণতার প্রথম ধাপটি স্থাপন করেন জাতির পিতা। সেদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ মুজিব বক্তব্য রাখেন। সেই বক্তৃতাতেই তিনি সরকারি চাকরিতে কৃষিবিদদের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণি করার প্রতিশ্রুতি দেন। এর কিছুদিন পরেই বঙ্গবন্ধু তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেন। এজন্যই ওই বক্তৃতা কৃষিবিদদের কাছে আজও ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। চাকরিতে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির স্বীকৃতি দেওয়ার কারণেই মেধাবী শিক্ষার্থীরা কৃষিতে পড়তে আসেন। মেধাবী কৃষিবিদরা নিরলস গবেষণা করে দেশে চাষ উপযোগী বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন করছেন। যার সুফল পাচ্ছে সারা দেশের মানুষ।

বঙ্গবন্ধুর আগমন উপলক্ষে সেদিন বাকৃবি ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছিল অপরূপ সাজে। সার্কিট হাউজ থেকে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী ফজলুর রহিম, বাকসুর জি এস আব্দুর রাজ্জাক (বর্তমান কৃষিমন্ত্রী), ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রহমতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকসহ অনেকে বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানিয়ে সংবর্ধনাস্থলে নিয়ে আসেন। জয় বাংলা বাহিনীর এক সুসজ্জিত দল বঙ্গবন্ধুকে গার্ড অব অনার দেয়। বাকসুর সেই সময়ের ভিপি মুক্তিযোদ্ধা নজিবুর রহমান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন।

অনুষ্ঠানে আয়োজকরা বঙ্গবন্ধুকে ‘বাংলার উৎফুল্ল কৃষক’ নামে একটি আলোকচিত্র এবং ‘বাংলাদেশের কৃষি’ শিরোনামে একটি কাঠের শোপিস উপহার দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেছিলেন তৎকালীন বাকসু’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক (বর্তমান কৃষিমন্ত্রি)। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন বিভাগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুকে শিক্ষার্থীদের হাতে বোনা একটি কম্বল উপহার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জাতির পিতাকে আলোকচিত্রি নাইব উদ্দিন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ফটো অ্যালবাম উপহার দেয় বাকসু। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘বিশ্ববিদ্যালয় বার্তা’র বিশেষ সংখ্যা বঙ্গবন্ধুকে উপহার দেয়।

পরে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের অফিসে শহীদ স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন করেন। পাঠাগারের বই কেনার জন্য পাঁচ হাজার টাকা, দু’টি ট্রাক এবং ছাত্রদের পুনর্বাসনের জন্য নগদ এক লাখ টাকা দেন বঙ্গবন্ধু।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাতির পিতা তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ার-ডাক্তারদের যে মর্যাদা, কৃষি গ্র্যাজুয়েটদেরও সে মর্যাদা দিতে হবে। কোনো মর্যাদা দিতে কোনো আপত্তি আমার নাই। তবে আমি যে এডমিনিস্ট্রেটিভ রি-অরগানাইজেশন কমিশন করেছি, পে-কমিশন করেছি, তাদের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আমাকে কথা দেওয়া চলবে না। তারপরে আমি কথা দেবো। এর আগে আমি কথা দিতে পারবো না। এই জন্য যে, এডুকেশন কমিশন করেছি সঙ্গে এডমিনিস্ট্রেটিভ রি-অরগেনাইজেশন কমিশন করেছি এবং দুই কমিশনের কাজ আরম্ভ হয়েছে। আশা করি, দুই/তিন মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হয়ে যাবে। যদি তারপরে আপনাদের কোনো আপত্তি থাকে তারপরে আমার হাতে কিছু ক্ষমতা থাকতে পারে।

তিনি আরো বলেছিলেন, তবে আশা করবো, কমিশন রিপোর্ট আসা পর্যন্ত আপনারা ধৈর্য ধরে দেরি করবেন। কারণ, আপনারা জানেন না যে এডমিনিস্ট্রেশন বলে যে পদার্থটি আমাদের কপালে আসিয়া জুটিয়াছে তাকে এডমিনিস্ট্রেশন বলা চলে না। ১৩৩ ধাপও আছে। ৩৩ ধাপও আছে। ৪৪ ধাপও আছে। লোয়ার ডিভিশন, আপার ডিভিশন, সিনিয়র ডিভিশন, অনেক কিছু। তাই বলছি, সব এক করে ফেল। সাফ করে ফেল। ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭। আমি ৭ পর্যন্ত সাজেশন দিয়েছি। তারা কেউ বলেছেন ১১ দরকার, ১২ দরকার, আমি তাদের ওপর বাধা দিতে চাই না। আমি বলেছি, আপনারা এক্সপার্ট, আপনারা সেটা চিন্তা করে দেখেন। আপনারা দেখুন কতো পর্যন্ত পারেন। একটি রি-অরগেনাইজেশন করা দরকার। তখন বিবেচনা করে দেখা যাবে, আমি কথা দিতে পারলাম না সেজন্য দুঃখিত। আপনারা নিশ্চয়ই দুঃখিত হবেন না।

কৃষিবিদদের গ্রামে গ্রামে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ মুজিব বলেছিলেন, কৃষি বিপ্লবের কথা বলছি। আমাদের নজর গ্রামের দিকে দিতে হবে। কৃষকদের রক্ষা করতে হবে। আর একটু বলতে চাই। ফ্রেগমেনটেশান অব ল্যান্ড দেশে আছে, সে কারণে কালেকটিভ ফার্ম-এর দিকে যদি না যাওয়া যায় তবে অধিক শস্য উৎপাদন সম্ভব হবে না। সেদিকে মানুষকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। করে দেখাতে হবে–এই গ্রামের ২০ জন লোক এক সঙ্গে ক্ষেত-খামার করছে, এ উৎপাদন বেড়েছে। তখন সব লোকেরা এগিয়ে আসবে। সেদিকে নজর দিতে হবে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা শিক্ষিত হচ্ছেন, আপনাদের সেদিকে বেশি নজর দিতে হবে। এখন ভুলে যান শহরমুখো রাজনীতির কথা।

বক্তব্যের শেষ দিকে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এতদিন আপনাদের দাম বাড়ে নাই। এখন আপনাদের দরকার হবে। আমি আপনাদের ধন্যবাদ দিচ্ছি। বিশেষ করে উপাচার্যকে, আপনাদের শিক্ষকমণ্ডলী, যারা আমার বন্ধুবান্ধব, আমার সহকর্মী এখানে আছেন, যাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম বা কোলকাতাতে পড়েছি বা দেখা হয়েছে অনেকের সঙ্গে এখানে যারা রয়েছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ দিচ্ছি। কৃষি বিপ্লব করতে চাই। আপনাদেরও একটু গ্রামমুখি হওয়া দরকার। আর দেশের অবস্থা খুবই খারাপ। চিন্তা করতে হবে, আপনাদেরকেও কাজ করতে হবে।

বঙ্গবন্ধুই এদেশে কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন। বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। তার মধ্যে আধুনিক কৃষি গবেষণার ব্যবস্থা করা, কৃষিতে ভর্তুকি প্রদান, কৃষিঋণের সহজীকরণ ও সমবায় চাষ পদ্ধতির প্রচলন অন্যতম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে সপরিবারে না ফেরার দেশে চলে যান সারাবাংলার মেহনতি মানুষের নেতা বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে সঙ্গে দেশের কৃষির অগ্রযাত্রাও স্থিমিত হয়ে যায়।

দেশের কৃষি ও কৃষকের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমতা ছিল অপরিমেয়। তিনি জানতেন যে কৃষির উন্নয়ন করতে হলে আগে কৃষি গবেষণার দিকে জোড় দিতে হবে। কৃষি গবেষণায় মেধাবীদের উদ্বুদ্ধ করতে তিনি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন। তাইতো কৃষিবিদরা আজও কৃতজ্ঞ চিত্তে বলেন ‘বঙ্গবন্ধুর অবদান, কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান’।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর