অদ্বিতীয় শাবানা, জীবদ্দশায় যিনি কিংবদন্তি
প্রকাশিত: ২২ মে ২০১৯
শাবানা। তার সম্পর্কে জানেন না এমন বাংলাদেশি দর্শক নেই বললে চলে। তিনি একজন বাংলাদেশি কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। শিশুশিল্পী হিসেবে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রে তার প্রথম আবির্ভাব ঘটে। পরে ১৯৬৭ সালে ‘চকোরী’ চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক নাদিমের বিপরীতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। শাবানার প্রকৃত নাম রত্না। চিত্র নির্মাতা এহতেশামই ‘চকোরী’ সিনেমায় তাকে শাবানা নাম দেন।
তবে রত্নাও কিন্তু তার ডাক নাম। শাবানার পূর্ণ নাম আফরোজা সুলতানা। পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে। তিনি তার ৩৬ বছর কর্মজীবনে ২৯৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তাছাড়া ষাট থেকে নব্বই দশকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন এই অভিনেত্রী। এরপর ২০০০ সালে এসে রূপালী জগৎ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন এ নায়িকা। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি অভিনয়ের জন্য ৯ বার ও প্রযোজক হিসেবে ১ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১৭ সালে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন।
এই ছিল শাবানার ছোট্ট একটা পরিচিতি। তবে তিনি চলচ্চিত্রে কোনো দিক থেকে এমনটা ছোট নন যে, তাকে এমন পরিচয় দিলে পরিচিত হয়ে যাবেন। ঢাকার চলচ্চিত্রে ৩০ বছর ধরে শাবানা রাজত্ব করেছিলেন। একাধারে এত রাজত্ব আর কোনো তারকা করতে পারেননি। ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শুধু তার নামেই সিনেমা চলতো। কোনো ছবিতে শাবানা আছেন, শুনলেই বিটিভি দেখতে ভিড় হতো প্রচুর দর্শকের।
মূলত বহু গুণে গুণান্বিত ছিলেন শাবানা। যেমন ছিল তার অভিনয়, তেমন তিনি নাচতেন, কখনো গাইতেন আবার কখনো অদ্ভুত চরিত্রে হাজির হতেন। সবমিলিয়ে তার ঝলকানিতে মুগ্ধ ছিল তামাম বাংলাদেশি দর্শক। আর শাবানা যখন নায়িকা ছিলেন তখন সবশ্রেণির লোকজনই ছবি দেখতো। কৃষক, ছাত্র, শিক্ষক, বাবা, মা, উকিল, জর্জ, মা, বাবা, পরিবার সবাই বিটিভির সামনে হাজির হতেন। এমন কোনো সিনেমা নেই তার, যে সিনেমা পরিবারের সঙ্গে একসাথে দেখা যেত না। আর এ জন্যই শাবানা জীবদ্দশায় হয়েছেন কিংবদন্তি।
শাবানার প্রথম ছবি ‘নতুন সুর’-এ নায়ক-নায়িকা ছিলেন রহমান ও রওশন আরা। ওই সময় তিনি ছিলেন একেবারে শিশু। এই রূপেই সিনেমায় তার আবির্ভাব। ‘নতুন সুর’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬২ সালের ১৬ নভেম্বর। ছবিটির পরিচালক ছিলেন এহতেশাম। এরপর ১৯৬৬ সালে শাবানার যথার্থ উত্থান ঘটে ‘আবার বনবাসে রূপবান’ ছবিটির মাধ্যমে। এই ছবিতে শাবানা রূপবানের কন্যা ‘সোনাভান’-এর চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিতে শাবানার নায়ক ছিলেন কাশেম। ‘আবার বনবাসে রূপবান’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৬ সালের ৮ এপ্রিল। পরিচালক ছিলেন ইবনে মিজান। ১৯৬৭ সালের ‘জংলী মেয়ে’ এবং ‘চকোরী’ ছবি দুটি শাবানাকে দিয়েছিল আকাশচুম্বী খ্যাতি। ‘জংলী মেয়ে’ ছবিতে শাবানার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন আজিম। আর এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৭ সালের ১৯ মে।
এরপর ১৯৬৭ সালের মুক্তি পেয়েছিল শাবানার ‘ছোটে সাহেব’ ছবিটি। মুস্তাফিজ পরিচালিত এটি ছিল উর্দু ভাষায় নির্মিত একটি ছবি। নায়ক ছিলেন নাদিম। আর একই বছরে উর্দু ভাষায় তাকে নিয়ে নির্মিত হয়েছিল ‘চকোরী’ ছবিটি, যা শাবানার খ্যাতি পৌঁছে দিয়েছিল সুদূর করাচি, পিন্ডি, পেশোয়ার, কোয়েটা, মারী পর্যন্ত। এই সিনেমায় পরিচয় হয়ে নায়ক নাদিম পরিচালক এহতেশামের মেয়েকে বিয়ে করে পাকিস্তানে চলে যান।

শাবানার বাবা ফয়েজ চৌধুরী একসময় চিত্রপরিচালক ছিলেন। পেশায় তিনি টাইপিস্টও ছিলেন বলে জানা গেছে। শাবানা পর্দায় হাসলে হাসতো কোটি মানুষ, তিনি দুঃখ পেলে কাঁদতো কোটি বাঙালি, তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে রুদ্ধ হতো কোটি বাঙালির আবেগ, মূলত এমনই একজন বাস্তবিক নায়িকা ছিলেন শাবানা। বাংলা সিনেমায় যে ক’জন প্রথিতযশা অভিনেত্রীর নাম না বললেই নয়, তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন।
হ্যাঁ, আজ ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য রয়েছে এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীর আরো কিছু জানা অজানা তথ্য। চলুন জেনে নেয়া যাক, যেভাবে তিনি অন্যমাত্রায় স্থান পেয়েছেন দর্শকদের হৃদয়ে। প্রথমদিকে শাবানার নায়ক ছিলেন, কাসেম, নাদিম, আজিম, রাজ্জাক এবং পরবর্তী সময়ে ওয়াসিম, সোহেল রানা, আলমগীর, জাভেদ, বুলবুল আহমদ, জাফর ইকবাল প্রমুখ।
শাবানার কিছু ছবির তালিকা (উইকিপিডিয়া তথ্যানুসারে)
১৯৬৮ – ‘চাঁদ আওর চাঁদনী’, ‘ভাগ্যচক্র’, ‘কুলি’।
১৯৬৯ – ‘মুক্তি’, ‘আনাড়ী’।
১৯৭০ – ‘পায়েল’, ‘বাবলু’, ‘সমাপ্তি’, ‘মধুমিলন’, ‘মুন্না আউর বিজলী’, ‘ছদ্মবেশী’।
১৯৭২ – ‘সমাধান’, ‘স্বীকৃতি’, ‘ওরা ১১ জন’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’, ‘চৌধুরী বাড়ি’, ‘এরাও মানুষ’।
১৯৭৩ – ‘ঝড়ের পাখি’।
১৯৭৪ – ‘দূর থেকে কাছে’, ‘আঁধারে আলো’, ‘অতিথি’, ‘বিচার’, ‘দস্যুরাণী’, ‘মালকা বানু’, ‘ডাকু মনসুর’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘ভাইবোন’, ‘কার হাসি কে হাসে’।
১৯৭৫ - ১৯৯২ ‘সাধু শয়তান’, ‘সোনার খেলনা’, ‘চাষীর মেয়ে’, ‘আলোছায়া’, ‘অনেক প্রেম অনেক জ্বালা’, ‘দুই রাজকুমার’, ‘বাদশা’, ‘মায়ার বাঁধন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘ফেরারী’, ‘রাজরাণী’, ‘আগুন’, ‘মনিহার’, ‘অমর প্রেম’, ‘লুকোচুরি’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’, ‘রাজ দুলারী’, ‘সোহাগ’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘শাহজাদা’, ‘তুফান’, ‘কন্যাবদল’, ‘মাটির ঘর’, ‘মধুমিতা’, ‘দাতা হাতেম তাই’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘স্বামীর আদেশ’, ‘অন্ধ বিশ্বাস’, ‘উৎসর্গ’, ‘আগুন’, লালু ভুলু’, ‘ভাত দে’, ‘লাল কাজল’, ‘কাজের বেটি রহিমা’, ‘বিজয়িনী সোনাভান’, ‘চোখের মনি’, ‘আয়না’, ‘আমির ফকির’, ‘রাজ নন্দিনী’, ‘শেষ উত্তর’, ‘ভাই ভাই’, ‘ছক্কা পাঞ্জা’, ‘ওমর শরীফ’, ‘সংঘর্ষ’, ‘আলতা বানু’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘একটি সংসারের গল্প’, ‘মা যখন বিচারক’, ‘বাপের টাকা’, ‘পরাধীন কোহিনূর’, ‘শশীপুন্নু’, ‘জবাবদিহি’, ‘সকাল সন্ধ্যা’, ‘বউ শ্বাশুড়ি’, ‘চাঁপা ডাঙার বউ’, ‘মায়ের দোয়া’, ‘গরীবের বউ’, ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’, ‘টপ রংবাজ’, ‘মেয়েরাও মানুষ’, ‘জিদ্দি’, ‘লাট সাহেব’, ‘মিথ্যার মৃত্যু’, ‘ভাবীর সংসার’, ‘প্রায়শ্চিত্ত’, ‘স্ত্রীর স্বপ্ন নাগরানী’, ‘রজনী গন্ধা’, ‘মিয়াবিবি’, ‘মা ও ছেলে’, ‘শিরি ফরহাদ’, ‘দেশ বিদেশ’, ‘সালতানাৎ’, ‘ধন দৌলত’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘হিম্মতওয়ালী’ ইত্যাদি।
এর মধ্যে রাজ্জাক-শাবানা জুটি বেধেছিলেন, ‘ছদ্মবেশী’, ‘সমাপ্তি’, ‘মধু মিলন’, ‘ঝড়ের পাখি’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’, ‘চৌধুরী বাড়ি’, ‘এরাও মানুষ’, ‘অতিথি’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘ভাই বোন’, ‘সাধু শয়তান’, ‘আলো তুমি আলেয়া’, ‘অনেক প্রেম অনেক জ্বালা’, ‘আঁধার পেরিয়ে’, ‘মায়ার বাঁধন’, ‘আগুন’, ‘অমর প্রেম’, ‘অনুভব’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘মাটির ঘর’ ইত্যাদি।
তবে আলমগীরের সঙ্গে হয়ত শাবানা জুটি বেঁধে সবচেয়ে বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। জানা গেছে, তিনি এই এক নায়কের সঙ্গে নাকি প্রায় ১৩০ টির মতো ছবি করেন। তাদের অভিনীত মনে রাখার মতো কয়েকটি সিনেমা হলো, ‘দস্যুরানী’, ‘জয় পরাজয়’, ‘মনিহার’, ‘লুকোচুরি’, ‘মনের মানুষ’, ‘মধুমিতা’, ‘চাষীর মেয়ে’, ‘কন্যা বদল’। এছাড়াও এই নায়কের সঙ্গে আরো অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবানা। এক সময় তাদের জুটি ছিল দর্শকদের সেরা জুটি।
নাদিম-শাবানা জুটির ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘চকোরী’, ‘ছোটে সাহেব’, ‘চাঁদ আওর চাঁদনী’, ‘কুলি’, ‘পায়েল’, ‘দাগ’, ‘বসেরা’, ‘আঁধি’, ‘আনাড়ী’, ‘চাঁদ সুরুজ’ ইত্যাদি। নায়ক ওয়াসিমের বিপরীতে শাবানা ‘ডাকু মনসুর’, ‘দুই রাজকুমার’, ‘সন্ধিক্ষণ’, ‘তুফান’, ‘জীবন সাথী’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘রাজ দুলারী’, ‘রাজনন্দিনী’, ‘বানজারান’ ছবিতে কাজ করেন। উজ্জ্বলের বিপরীতে তিনি ‘স্বীকৃতি’, ‘সমাধান’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘বঁধু মাতা কন্যা’, ‘আঁধারে আলো’ ছবিতে কাজ করেন। আর জাভেদের বিপরীতে করেন, ‘মালকা বানু’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’, ‘শাহজাদা’ ইত্যাদি।
আরেক কিংবদন্তী নায়ক বুলবুল আহমেদের বিপরীতে শাবানা ‘জননী’, ‘সোহাগ’, আনন্দের বিপরীতে ‘কার হাসি কে হাসে’, আজিমের বিপরীতে ‘বাবুল’, ‘মুন্না আওর বিজলী’, সাজ্জাদের বিপরীতে ‘মুক্তি’, খসরুর বিপরীতে ‘বাদশা’, সোহেল রানার বিপরীতে ‘রাজরানী’, ‘দাতা হাতেম তাই’, জাভেদ শেখের বিপরীতে ‘হালচাল’, জাফর ইকবালের বিপরীতে ‘দূর থেকে কাছে’, ‘ফেরারী’, ‘বিচার’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
জীবদ্দশায় কিংবদন্তি হওয়া জনপ্রিয় এই নায়িকা শাবানা ১৯৭৩ সালে সরকারী কর্মকর্তা ওয়াহিদ সাদিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯৭ সালে সিনেমার জগতকে বিদায় জানান। আর ২০০০ সালে শাবানা আমেরিকায় সপরিবারে বসবাস শুরু করেন। মাঝে হজ সম্পন্ন করার পর থেকে এখনো পর্যন্ত তিনি ইসলামী রীতি অনুশাসন মেনে চলেন। বর্তমানে তিনি ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনীদের সঙ্গে সেখানে অবস্থান করছেন।
শাবানা যে ছবিগুলোর জন্য পুরস্কার জিতেছিলেন
শাবানা ১৯৭৭ সালে মুক্তি পাওয়া সিরাজুল ইসলাম পরিচালিত সিনেমা ‘জননী’তে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্র ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়ে পুরস্কার জিতে নেন। কিন্তু তিনি এই পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানান। আর তারই মাধ্যমেই বাংলাদেশে পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের রীতি চালু হয়। ১৯৮০ সালে আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত ‘সখী তুমি কার’ সিনেমায় রাজ্জাক-শাবানা-ফারুক ত্রয়ীর ত্রিভুজের প্রেমের কাহিনী পর্দায় ফুটে উঠে অসাধারণভাবে। এ সিনেমার জন্য তিনি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন। এরপর ১৯৮২ সালে রাজ্জাকের বিপরীতে ‘দুই পয়সার আলতা’ সিনেমায় অভিনয় করে সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলেন কুসুম চরিত্রটি। ১৯৮৩ সালে ‘ভাত দে’ সিনেমায় জরি’র চরিত্রে অভিনয় করে কাঁদিয়েছিলেন সব দর্শককে। এত সাবলীল অভিনয় আর হৃদয়বিদারক সমাপ্তি বাংলা সিনেমার জগতে যোগ করেছিল এক নতুন মাত্রা। সিনেমাটিতে তার বিপরীতে ছিলেন নায়ক আলমগীর। এই দুটি সিনেমাই পরিচালনা করেন আমজাদ হোসেন।
এদিকে, ১৯৮৭ সালে দীলিপ বিশ্বাসের ‘অপেক্ষা’ ও ১৯৮৯ সালে মতিন রহমানের ‘রাঙা ভাবী’ সিনেমা দুটির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছিলেন শাবানা। এ দুটি সিনেমাতেই তিনি আলমগীরের বিপরীতে অভিনয় করেন। ১৯৯০ সালে তিনি প্রথমবারের মতো ‘গরীবের বউ’ সিনেমার জন্য চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবে পুরস্কার জেতেন। সে বছরই আজহারুল ইসলামের ‘মরণের পরে’ সিনেমায় জয় করে নেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারও। এরপর ১৯৯১ সালে শিবলী সাদিকের পরিচালনায় ‘অচেনা’ সিনেমায় তার ক্যারিয়ারের শেষ বারের মতো সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জয় করেন। ১৯৯৭ সালে আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে শেষ বারের মতো তিনি রূপালী পর্দার সামনে আসেন। সর্বশেষ, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা দেন।
কোটি বাঙালির হৃদয়ে চিরসবুজ শাবানা বেঁচে থাকুক আজীবন এই কামনায়, বিদায় নিচ্ছি।
- উৎসব গ্রুপের ২০ বছরপূর্তি
- ‘আসো’র দশ বছর পূর্তিতে আলোচনা সভা
- বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসী ইউএসএ ইনকের কমিটি গঠন
- কুইন্স বাংলাদেশ সোসাইটি’র সভাপতি তোফায়েল ও সম্পাদক ফারুকুল
- কমিউনিটির ‘আনসাং হিরো’ টিপু সুলতান
- সভাপতি মনোয়ার ও সাধারন সম্পাদক মমিন
- প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ২ হাজার ডলার
- এনওয়াইপিডি-কমিউনিটি মতবিনিময়
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে ‘আজকাল’কে যা জানালেন
- আলী রীয়াজ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
- আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের কিছুই আমরা জানি না: সিইসি
- এশিয়ান হেরিটেজ বিজনেস লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাহ নেওয়াজ
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চায় সরকারপক্ষ
- ভাষণ ঘিরে বিএনপি জামায়াত পক্ষে-বিপক্ষে
- নির্বাচনের দিনই ‘গণভোট’
- আজকাল ৮৯৬
- ভারতীয় কূটনীতিককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব, হাসিনার কথা বলা বন্ধ
- ইভ্যালির রাসেল-নাসরিনের ৫ বছর কারাদণ্ড
- ঢাবিতে ককটেল বিস্ফোরণ: দুই ছাত্রীসহ আহত ৩
- বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
- প্রত্যেক মার্কিন নাগরিককে যেভাবে দেওয়া হবে ২ হাজার ডলার
- জুলিয়ানিসহ ৭০ সহযোগীকে ক্ষমা ট্রাম্পের
- যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি দপ্তরে শাটডাউন শেষের পথে
- ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
- হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল, বিলম্বে চরম ভোগান্তি
- দিল্লিতে বিস্ফোরণের আগে ‘রহস্যময়’ অভিযান, যা জানা গেল
- ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম
- ঢাকায় হঠাৎ ৮ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, তিন বাসে আগুন
- দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণে ২২ গাড়ি ভষ্ম, নিহত ১৩
- চাঁদাবাজদের সাথে জোট করার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- এসাইলাম আবেদন ফি হাজার ডলার!
- পূজা চেরির ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল
- প্রভার সেই ভিডিওটি এখনো সরানো হয়নি!
- ‘হট’ নাচে ঝড় তুললেন ঝুমা বৌদি!
- ‘ছাম্মা ছাম্মা’ গানে ‘সেক্সি ডান্স’ এ ঝড় তুললেন নায়িকা! (ভিডিও)
- সালমান শাহ্র স্ত্রী সামিরা এখন কোথায়?
- গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে উচ্ছল সিয়াম-অবন্তী
- সোনার মেডেল পেলেন ‘ছোটে নবাব’
- আবেদনময়ী লুকে ধরা দিলেন জয়া আহসান
- ভক্তদের অপেক্ষায় তানজিন তিশা
- বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে যা বললেন শ্রীলেখা
- অবশেষে ক্যামেরার সামনে অহনা
- ২০০ কোটির ঘরে অজিতের সিনেমা
- যে প্রতীক নিয়ে আগামীকাল প্রচারণায় নামছেন হিরো আলম
- দুবাই’য়ে কী করছেন সানাই?
- রেকর্ড গড়েই চলেছে ‘২.০’, ১১ দিনে আয়…
