শুক্রবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২২ ১৪৩২   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

১০ মার্চ দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্ধোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ১ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার

 সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ঈদুল ফিতরের আগেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধন করা হবে। 

 


আশা করা যাচ্ছে আগামী ১০ মার্চ কাঁচপুরের সেতুটি প্রধানমন্ত্রী নিজে উদ্বোধন করবেন। মেঘনা ও গোমতী সেতু পর্যায়ক্রমে এপ্রিল ও মে মাসের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত করে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হবে। 


এই তিনটি সেতু চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদের সময়ে কোন ধরণের যানজট সৃষ্টি হবে না এবং সাধারণ মানুষ নির্বিঘেœ ঈদযাত্রা করতে পারবে। কাউকে কোন ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।  


বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নির্মাণাধীন দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। 


এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতার চেয়ে রাজনীতিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মন্তব্য করে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি না করার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপি নেতাদের প্রতি আহবান জানান। 


পরে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে বলেন, শেখ হাসিনার সরকার অমানবিক নয়। সরকার বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে সব ধরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।

 


সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিরোধীদল ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আসলে নির্বাচনটি আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বলে মনে করেন সেতুমন্ত্রী হতো। নির্বাচনে বিরোধীদল না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হলেও শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।


পাক-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা ও অস্থিরতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। উপমহাদশের ক্রসবর্ডার টেরোরিজম বা সীমান্ত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছে। সীমান্তে যে সব সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান তিনি। 


মন্ত্রী সেতু পরিদর্শকালে পুলিশ প্রশাসন এবং সড়ক-জনপথ ও সেতু বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।