শুক্রবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২২ ১৪৩২   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

এই নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে আমি গর্ববোধ করি : এসপি হারুন

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

 নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে তিনি গর্ববোধ করেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ‘এই চাষাঢ়ার বাইতুল আমান ভবনে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তির আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটেছিল। তাই আমি এই নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে গর্ববোধ করি।’ 

 

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে  জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

পুলিশ সুপার আরো বলেন, বর্তমানে অনেক সন্তান ইংরেজিতে কথা বললে তাদের মায়েরা গর্ববোধ করে কিন্তু এই বাংলা ভাষা আদায়ের জন্য এদেশের মানুষ প্রাণ দিয়েছিল। তাই আমাদের উচিত এই ভাষাকে প্রাধান্য দিয়ে মাতৃভাষা হিসাবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতি বছরের ন্যায় আমরা পালন করে থাকি। এছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই দিনটি শ্রদ্ধার সাথে পালন করে আসছে। তিনি এ দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন,  ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনকে প্রতিষ্ঠিত করতে এদেশের মানুষ জীবন দিয়েছে। এই আত্মহুতির মাধ্যমেই আমরা আমাদের মায়ের ভাষা ফিরে পেয়েছি। ১৯৫২ সালে আমরা শিক্ষা পেয়েছি কিভাবে অধিকার আদায় করতে হয়। 

পুলিশ সুপার বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন কিভাবে দেশ স্বাধীন করতে হয়। বর্তমানে বিশ্বের ১৮৮টি দেশ আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশে বাংলা ভাষা প্রচলন রয়েছে। বাংলা হচ্ছে ২৬ কোটি মানুষের মুখের ভাষা। ১৯৯৬ সালে শেষ হাসিনার নেতৃত্বে এই বাংলা ভাষা আন্তজার্তিক ভাষা হিসাবে ইউনেস্কোতে স্বীকৃতি পেয়েছে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন,  ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের স্বীকৃতি পেলেও শোষন নিপীড়ন ও নির্যাতন আমাদের পিছু ছাড়েনি। ওই সময়ে বঙ্গবন্ধু বারবার কারাবরন করেছে। ৬২ গণআন্দোলন ৬৬ ছয় দফা ও ৬৯ এর গণঅভ্যূত্থান আমাদেরকে উজ্জীবিত করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের যুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশটিকে স্বাধীন করতে পেরেছি। ১৯৫২  সালেই আমাদের স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়েছিল। মাত্র দশ মাসের ব্যবধানে আমরা আমাদের এদেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসিম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, নারায়ণগঞ্জ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রুমন রেজা।