শুক্রবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২২ ১৪৩২   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

বই শুধু জ্ঞানই দেয় না, হাসি খুশি প্রফুল্ল রাখে : মন্ত্রী গাজী

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:২৭ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার

বই পড়ার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি জানতে পারবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিভাবে ১৯৭১ সালের বাংলার সাহসী দামাল ছেলেরা বিজয় অর্জন করেছিল তা সকল শিশুদের জানতে হবে। 


বাংলাদেশের জাতীয়, পল্লী কবিসহ বিভিন্ন কবির জীবনী বই পড়ে জানতে হবে। কিভাবে তারা জীবনের কঠিন মূহুর্ত থেকে শুরু করে সাফল্য অর্জন করেছিল। 


বাংলার কবি ও মনীষীদের মধ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লী কবি জসীমউদ্দীন, বাংলার বাঘ একেএম শেরে ফজলুল হক ও ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যা সাগর সহ সাফল্যময় গুনী ব্যক্তির জীবনী জানা অপরিহার্য। 


তাহলে একজন শিশু বা শিক্ষার্থী তাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে সাফল্য অর্জন করার জন্য পিছুপা হবে না। বাংলার ছেলেরা অদম্যভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সাহসী হবে। বই শুধু আমাদের জ্ঞানই দেয় না, মনকে হাসি খুশি প্রফুল্ল রাখে। দুঃখের সময় আপন জনের মতো পাশে থাকে।


শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গাজী ভবনে কবি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এস আলমের লেখা "রহমতে ভরা আরব দেশ" নাম বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করে তিনি এসব কথা বলেন। 


এ সময় মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী আরো বলেন, প্রত্যেক শিশুকে জ্ঞানীও আদর্শবান শিক্ষার্থী হিসেবে গড়তে হলে, পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রন্থাগারে বই পড়তে হবে। 

 


পাঠ্যপুস্তক বই শুধু আমাদের শিক্ষিত হিসেবে গড়ে ওঠার প্রথম ধাপ। তাই আদর্শ শিক্ষার্থীর দেশের জন্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য সমাজ থেকে শুরু করে বিশ্ব পর্যন্ত জানতে হবে। 


শুধু সুশিক্ষিত শিক্ষার্থী জাতির জন্য আদর্শ শিক্ষার্থী নয়। তাকে জানতে হবে কিভাবে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া যায়। বই পড়লে একটা শিশু পড়ার পাশাপাশি অনেক আনন্দ পাবে ও নতুন কিছু শিখতে পারবে।


তিনি বলেন, একটা শিশু যখন ছোট থেকে বই পড়তে অভ্যাস করবে তখন সে পড়ার প্রতি নেশায় পড়ে, তাহলে একটা শিশু কখনো বাজে কাজে বা কিশোর থেকে মাদকাসক্তিতে জড়াবে না এবং এই শিশু কখনো কখনো এমন কাজ করবে না বা জড়িয়ে পড়বে না যা তার পরিবারের অন্য সদস্যদের কষ্টের ফল ভোগ করতে হয়।


মন্ত্রী বলেন, "বই শিশু ও শিক্ষার্থীকে এমন উপকারীও করে দিতে পারে যা জীবনে থেকে কখনো হারিয়ে যাবে না। প্রতিটি বই থেকে নতুন কিছু না কিছু জানতে পারবে যা কোনও সমস্যা সমাধানের নতুন নতুন পথ ভাবতে পারবে। 

 


বই পড়ার অভ্যাস করলে নিজেই একটা সময়ে বুঝতে পারবে মনের অনেক নতুন জানালা খুলে যাবে। মানুষ হিসেবে সমৃদ্ধ করবে। জ্ঞান যত বাড়বে, বুদ্ধি ততই ধারালো হবে। 


একটি তরবারিকে যেমন ধারালো রাখার জন্য শাণপাথর দিয়ে শাণ দিতে হয়, তেমনি মস্তিস্ককেও শাণ দিতে হয় বই দিয়ে। কোন বিষয় কাউকে বোঝাতে গেলে বা নিজে বুঝতে গেলে সেই বিষয়ে যত জ্ঞান থাকবে কাজটি ততটাই সহজ হয়ে যাবে। আর এই ক্ষেত্রে বই পড়ার কোনও বিকল্প নেই। 


তিনি বলেন, "জ্ঞান বাড়ার সাথে সাথে বুদ্ধি দ্রুততম বাড়বে। পৃথিবীর বেশিরভাগ বড় বড় সফল মানুষের মারাত্মক বই পড়ার নেশা ছিল। যখন বই পড়বে তখন একটি নতুন জগতে প্রবেশ করবে। 


একটু একটু করে সেই জগৎ আর তার বাসিন্দাদের ছবি মনে স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকবে। সেইসাথে ধারালো হতে থাকবে কল্পনাশক্তি। অবসর সময়ে অলসভাবে বাজে কাজে সময় ব্যয় না করে নিজ নিজ ধর্মীয়, সাহিত্য, ম্যাগাজিন, নতুনবিশ্ব ও বিজ্ঞান সহ বিভিন্ন বই পড়তে হবে। এছাড়া আরো নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এই বই পড়ার মধ্য দিয়ে।


এ সময় রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক ভুঁইয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আজিজ, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ জাহেদ আলী, আওয়ামীলীগ নেতা তাবিবুল কাদির তমাল ও আব্দুল মান্নান মুন্সি, কবি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এস আলমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।