মঙ্গলবার   ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৫ ১৪৩২   ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আবারো প্রধানমন্ত্রী হাত থেকে বিপিএম পদক পেলেন এসপি মঈনুল

ডেস্ক রিপোর্ট

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৫:৩২ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

আবারো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম সেবা গ্রহণ করেছেন যশোর জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক বিপিএম বার পিপিএম।

গত সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ পদক গ্রহণ করেন।

গত বছর ২০১৮ সালে গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য এ পদক দেওয়া হয় তাকে। এর আগে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে পদকপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে পদকপ্রাপ্ত ৩৪৯ জনের তালিকায় তার নাম ছিল।

জানা যায়, এসপি মঈনুল হক বিগত সময়ে ময়মনসিংহে থাকাকালীন ময়মনসিংহের অপরাধ নিয়ন্ত্রনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন। ময়মনসিংহের রাজনীতিক, সুশীল সমাজসহ সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যক্তিবর্গদের সাথে ছিল তার নিবিড় সম্পর্ক। পাশাপাশি মাদক নির্মূল, জঙ্গী সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে তিনি সাফল্যের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। পরে ময়মনসিংহের এ সফল এসপি বদলি জনিত কারনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের দায়িত্বভার গ্রহণ করে নারায়ণগঞ্জে বদলি হন।

নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই ময়মনসিংহে ব্যাপক সাফল্য অর্জনের পর  নারায়ণগঞ্জেও পুলিশের এ চৌকস কর্মকর্তা দেশের বাণিজ্যিক বন্দর নগরীর অপরাধ সাম্রাজ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যাপক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে অপরাধ নির্মূল করতে পারায় সুশীল সমাজের কাছ থেকে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন পুলিশ সুপার (এসপি) মঈনুল হক।

নারায়ণগঞ্জের মতো জায়গায় থেকে জেলার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে তিনি বিভিন্ন সময়ে কৌশলী ভূমিকা পালন করে জেলা সদরসহ সর্বমহলে হয়েছেন প্রশংসার দাবিদার। জেলায় মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গী তৎপরতাসহ সকল সমাজ বিরোধী অপরাধীদের কাছে আতঙ্ক নেমে আসছিল। জেলায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিএনপি-জামাতের নাশকতা ঠেকাতে জেলার ডিবি পুলিশসহ পুলিশের সকল ইউনিটকে কাজে লাগিয়ে প্রশংসিত হওয়ায় ঢাকা রেঞ্জে তিনবারের শ্রেষ্ট এসপি নির্বাচিত হয়েছেন মেধাবী ও চৌকশ পুলিশে এই কর্মকর্তা।

নারায়ণগঞ্জের পর দেশের সীমান্তবর্তী জেলা যশোরের পুলিশ সুপার হয়ে বদলি হয়ে সেখানেও তিনি সীমান্তের অপরাধ সাম্রাজ্যকারীদের কাছে তিনি এখন অপরাধীদের আতঙ্ক। জেলার সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তিনি সেখানেও কুড়িয়েছেন ব্যাপক প্রশংসা। যশোরের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তিনি নিজের দায়িত্বভার থেকেই জনগণের সেবা দিয়ে আসছেন।