বুধবার   ০১ মে ২০২৪   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১   ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

শীতের সাথে চলে গেছে পোশাক ব্যবসায়ীদের মুখের হাসি

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৩৯ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার

মাঘ মাসের শীতে নাকি বাঘও কাঁপে। কিন্তু এবার তার উল্টোটা হয়েছে। মাঘ মাসেও বৈদ্যুতিক পাখা চালাতে হচ্ছে। মাঝ মাঘে দিনের বেলা ভ্যাপসা গরম অনুভব হচ্ছে। এবার শীত আসার আগেই চলে গেছে। নতুন করে শীত পড়ার সময়ও নেই। শীত আবার দেখা দেবে আগামী বছরে। এই বছর হাড় কাপানো শীতের দেখা মেলেনি শহরে।

প্রকৃতির এই বিরূপ চেহারার প্রভাব পড়েছে শীতের পোশাকের মার্কেটগুলোতে। শীতকে কেন্দ্র করে যেসব গরম কাপড় দোকানে তুলেছিল ব্যবসায়ীরা তার অধিকাংশই অবিক্রিত রয়ে গেছে।

রবিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে শহরের বিপনী বিতানগুলোতে সরেজমিনে দেখা যায়, গরম কাপড়ের স্তুপ থাকলেও ক্রেতাদের দেখা মিলছে না। সকাল হতে সারাদিন ক্রেতাদের অপেক্ষায় থাকলেও ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। অলস সময় পার করছেন তারা। এবার তেমন শীত না পড়ায় শীতের পোশকগুলোর তেমন বিক্রি হয়নি বলে জানায় বিক্রেতারা। অবিক্রিত শীতের পোশাক আগামীবার বিক্রির জন্য রেখে দিচ্ছেন তারা।

নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন হাবীব টাওয়ারের এক দোকান মালিক আজিজুল ইসলাম বলেন, পৌষের শুরুতে যেই ভাবে শীত পড়েছিল আমরা আশায় ছিলাম যে এবার কেনা-বেচা ভাল হবে। এবং সেই হিসেবে মালামাল আমরা আনি। কিন্তু শীত আসার আগেই চলে গেছে। ক্ষতি তো হয়েছে। কি আর করার। কপালে যা আছে তাই হবে। এই কাপড়গুলো রেখে দেবো আগামী বছর দেখি কি করা যায়।

চাষাড়ায় অবস্থিত মার্ক টাওয়ারের দোকান মালিক রিয়াদ বলেন, ক্রেতা আসে ২-১ টা। আমরা মূলত শীতের পাশাপাশি পোশাকের ডিজাইনের ওপর ভিত্তি করেও শীতের পোশাক আনি। আমাদের শীতকে কেন্দ্র করে আনা পোশাকগুলো বিক্রি হলেও অনেকটা বাকি আছে। এখন যেহেতু কিনে ফেলেছি এগুলো তো আর ফেলে দিতে পারি না। তাই চিন্তা করছি আমরা এগুলো কিছেু রেখে দেবো এবং বাকিগুলো হকারের কাছে বিক্রি করে দিবো।