শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ন্যাচারালাইজড আমেরিকানদের নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের খেলা

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:২০ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার


 

 
ট্রাম্প প্রশাসন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্বপ্রাপ্ত আমেরিকানদের নাগরিকত্ব বাতিলের প্রক্রিয়া জোরদার করছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা থেকে জানা যায়,  ট্রাম্প প্রশাসন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্বপ্রাপ্ত আমেরিকানদের সংখ্যা বৃদ্ধি টেনে ধরতে চায়। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিল করা হতে পারে। লক্ষাধিক মামলা রয়েছে নাগরিকত্ব বাতিলের। এই নির্দেশিকায় ইউ.এস. সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস-এর মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলোকে ২০২৬ অর্থবছরের জন্য প্রতি মাসে ১০০ থেকে ২০০টি সম্ভাব্য নাগরিকত্ব বাতিলের মামলা অফিস অফ ইমিগ্রেশন লিটিগেশন-এর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

ফেডারেল আইন অনুসারে, শুধুমাত্র নাগরিকত্ব লাভের সময় জালিয়াতি বা অন্যান্য সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিতেই নাগরিকত্ব বাতিল করা যেতে পারে। ইউএসসিআইএস কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, এই অভিযানটি এমন ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হচ্ছে যারা বেআইনিভাবে নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন বা তাদের আবেদনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন।

জনসংযোগ প্রধান ম্যাথিউ ট্র্যাজেসার জোর দিয়ে বলেছেন, সংস্থাটি "নাগরিকত্ব লাভের প্রক্রিয়ার সময় মিথ্যা বলা বা নিজেদের সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নাগরিকত্ব বাতিলের প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে।"

বিচার বিভাগও নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, এবং গ্যাং কার্যকলাপ, আর্থিক জালিয়াতি, মাদক পাচার বা সহিংস অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। এই প্রক্রিয়ার জন্য ফেডারেল আদালতের পর্যালোচনা এবং নাগরিকত্ব যে অবৈধভাবে বা ভুল তথ্যের মাধ্যমে অর্জন করা হয়েছে তার "অকাট্য প্রমাণ" প্রয়োজন।

দেশে প্রায় ২কোটি ২৬ লাখ ন্যাচারাইলেজেশন প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্বপ্রাপ্ত। তাদের কেসগুলো খতিয়ে দেখতে ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে অতি আগ্রহী। মিথ্যা তথ্য. আর্থিক জালিয়াতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের ডিন্যাচারালাইজেশন প্রক্রিয়া আনা হতে পারে। ইমিগ্রেশন আদালতে জালিয়াতি তথ্য প্রমানিত হলে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করে ডিপোর্ট করা হবে।   এই নির্দেশিকাটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৃহত্তর অভিবাসন এজেন্ডার অধীনে একটি কঠোর প্রয়োগ পদ্ধতিরই ইঙ্গিত দেয়।