বুধবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩২   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালানোর ইঙ্গিত ট্রাম্পের

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৪২ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার

মাদকপাচারের বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করতে মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৭ নভেম্বর) হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন ইঙ্গিত দেন।

 

মেক্সিকোতে মার্কিন হামলা বা সেনা পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, মাদক ঠেকাতে যা যা করতে হয় করব। গত সপ্তাহে দেশটির রাজধানী মেক্সিকো সিটির অবস্থা দেখেছি, ওখানে বড় ধরনের সমস্যা আছে।

 

মেক্সিকোর অনুমতি নিয়েই কি এই ধরনের হামলা চালানো হবে- প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জানান, তিনি সেটার উত্তর দিতে চান না। তবে তার দাবি, তিনি মেক্সিকোর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে আসছেন ও মেক্সিকো জানে তিনি কী চান।

 

ট্রাম্পের ভাষায়, আমরা জলপথ বন্ধ করেছি, কিন্তু আমরা সব রুট জানি। প্রতিটি ড্রাগ লর্ডের ঠিকানা পর্যন্ত জানি, তাদের আস্তানার সন্ধানও জানি। তারা আমাদের মানুষ মারছে। এটা যেন যুদ্ধের মতো। আমি কি এটা করব? গর্বের সঙ্গে করব।

 

এদিকে, ওয়াশিংটনে মেক্সিকো দূতাবাস ট্রাম্পের মন্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

 

এনবিসি নিউজের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন মাদক কার্টেল দমনে মেক্সিকোতে সেনা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের পাঠানোর পরিকল্পনা শুরু করেছে। তবে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেনবাউম স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অনুমতি ছাড়া তার দেশে কোনো মার্কিন সামরিক অভিযান চলতে পারবে না।

 

মেক্সিকো প্রসঙ্গের মাঝেই ট্রাম্প হঠাৎ কলম্বিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, দেশটিতে যেসব কোকেন কারখানা রয়েছে সেগুলো ধ্বংস করতেও তিনি গর্ব বোধ করবেন। তিনি বলেন, আমাদের দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে এখন কেউ প্রবেশ করছে না, কিন্তু আমরা জানি ওরা কীভাবে মাদক এখানে আনে। কলম্বিয়ায় কোকেনের কারখানা আছে। আমি কি ওই কারখানাগুলো ধ্বংস করব? গর্ব করেই করব।

 

ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে নৌকায় করে মাদক বহনের অভিযোগে ভেনেজুয়েলার উপকূলীয় অঞ্চলে অন্তত দুই ডজন হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় ৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কলম্বিয়ার নাগরিকও ছিলেন।

 

যুক্তরাষ্ট্রের এমন হামলায় ক্ষুব্ধ হয়ে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা করেন। যার ফলে পরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ে। ট্রাম্প পেত্রোকে ‘ড্রাগ লিডার’ আখ্যা দেন, এমনকি তার ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেন।

 

এদিকে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন দেশটির কার্টেল দে লস সোলেসকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) ট্রাম্প জানান, মাদুরোর সঙ্গে আলোচনার কথাও তিনি ভাবছেন।

 

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ট্রাম্প আরও জানান, ভেনেজুয়েলায় মার্কিন সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনাও তিনি বাতিল করছেন না। তার ভাষায়, আমি কিছুই বাতিল করছি না। ভেনেজুয়েলার ব্যাপারটা আমাদের সামলাতেই হবে।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

 

সূত্র: এনবিসি