যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ সৌদি আরব
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:২৮ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছে সৌদি আরব শুধু কর্মস্থল কিংবা ভ্রমণগন্তব্য নয়, বরং দেশটিকে ‘দ্বিতীয় বাড়ি’র চোখে দেখেন তারা। দেশটির আধুনিক অবকাঠামো, নিরাপত্তা, কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং আতেথিয়তা সংস্কৃতি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে এক ধরনের স্বতি তৈরি করেছে। আরব নিউজ।
সৌদি আরবের অর্থনীতি বর্তমানে রুপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভিশন ২০৩০ কর্মসূচীর কারণে প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, নির্মাণশিল্প, শিক্ষা, পর্যটন- সব ক্ষেত্রেই বাড়ছে উচ্চ বেতনের চাকরি। এসব সুযোগই আমেরিকান পেশাজীবীদের বেশি আকৃষ্ট করছে। রিয়াদ ও জেদ্দা শহরে বসবাসকারী অনেক আমেরিকান মনে করেন, স্থানীয় সংস্কৃতি ও আতিথিপরায়ণতা তাদের দ্রুত এই সমাজের সঙ্গে মিশে যেতে সাহায্য করছে। কাজ, শিক্ষা ও ব্যবসার ক্ষেত্রেও তারা পাচ্ছেন কিস্তৃত সুযোগ। যা দীর্ঘ মেয়াদে সৌদি আরবকে তাদের কাছে একটি স্থায়ী ও আকর্ষনয়ি গন্তব্যে পরিণত করছে। রেড সি গ্লোবালের সিইও জন প্যাগানো সম্প্রতি সৌদি নাগরিকত্ব পেয়েছেন। যা দেশের প্রতি তার দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির একটি মাইকফলক।
তিনি বলেন, এই স্বীকৃতি কেবল ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতাই নয় বরং সৌদি আরবজুড়ে যে বৃহত্তর রুপান্তর ঘটছে তার প্রতিফলন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরবে বিনোদন খাতের উন্নয়ন, নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, সামাজিক উন্মুক্ততা আমেরিকানদের ছোখে দেশটিকে আরও আধুনিক ও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।
সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিনের মিত্র। জ্বালানি, নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে দুই দেশের সহযোগীতা আরও গভীর হয়েছে। এই সম্পর্কের প্রভাব পড়েছে নাগরিকদের চলাচল ও বসবাসের ওপরও। বিশ্লেষকদের মতে দুই দেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হওয়ায় আমেরিকার নাগরিকদের উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে।
