প্রত্যেক মার্কিন নাগরিককে যেভাবে দেওয়া হবে ২ হাজার ডলার
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:১৬ এএম, ১১ নভেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত দুই হাজার ডলারের ‘ট্যারিফ লভ্যাংশ’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তির ব্যাখ্যা দিয়েছে তার প্রশাসন। ট্রাম্প সরকারের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, বিভিন্ন অর্থনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে এই অর্থসাহায্য উচ্চ আয়ের মানুষদের বাদ দিয়ে সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে দেওয়া হবে। খবর : এনডিটিভি
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেসেন্ট জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি এই ট্যারিফ লভ্যাংশ নিয়ে কথা বলেননি। তবে সম্ভাব্য কয়েকটি উপায়ের কথা জানিয়েছেন।
তার ভাষায়, ‘এই দুই হাজার ডলারের লভ্যাংশ বিভিন্নভাবে দেওয়া যেতে পারে। এটি কর হ্রাসের মাধ্যমেও আসতে পারে—যেমন বখশিশে কর না থাকা, অতিরিক্ত সময়ের আয় করমুক্ত করা, সোশ্যাল সিকিউরিটিতে কর না থাকা এমনকি গাড়ির ঋণের সুদে কর ছাড় দেওয়া।’
রবিবার ট্রাম্প বলেন, তার ট্যারিফ নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের ‘সবচেয়ে ধনী’ ও ‘সবচেয়ে সম্মানিত’ দেশে পরিণত করেছে। তিনি তার বিরোধীদের বোকা আখ্যা দিয়ে বলেন, ট্যারিফ থেকে সংগৃহীত রাজস্বের একটি অংশ সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে।
প্রত্যেক আমেরিকান নাগরিক (ধনীদের বাদে) অন্তত দুই হাজার ডলার পাবেন।
ট্রাম্পের মন্তব্য সম্পর্কে বেসেন্ট বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমরা ট্রিলিয়ন ডলারের রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারি।’ তবে তিনি আরো বলেন, ‘ট্যারিফের মূল উদ্দেশ্য আসলে রাজস্ব সংগ্রহ নয় বরং বৈশ্বিক বাণিজ্যকে পুনঃসমন্বয় করে ন্যায্য করা।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের ট্যারিফ নীতির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আদালতের রায় ট্রাম্পের বিপক্ষে গেলে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ ফেরত দিতে হতে পারে, যা তার দ্বিতীয় মেয়াদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক নীতি ব্যাহত করবে। ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, যদি আদালত তার বিপক্ষে রায় দেয় তবে সেটি হবে ‘একটি বিপর্যয়’।
এই মামলার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ট্রাম্প প্রশাসনের গত ২ এপ্রিল ঘোষিত ‘লিবারেশন ডে’ ট্যারিফ। এতে উৎস দেশের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ আমদানি পণ্যে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কর আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ ও দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে, ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সংগৃহীত ট্যারিফ রাজস্বের একটি অংশ কর ছাড় ও আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে আদালতের রায়ের ওপরই নির্ভর করছে এই দুই হাজার ডলারের ‘লভ্যাংশ’ বাস্তবে নাগরিকদের হাতে পৌঁছাবে কি না।
