হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল, বিলম্বে চরম ভোগান্তি
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:০৩ এএম, ১১ নভেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের চলমান শাটডাউন (অচলাবস্থা) পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে বিমান চলাচলে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। শাটডাউনে বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আকাশপথে নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। এতে প্রতিদিন হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বিত হচ্ছে। বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। দেখা দিয়েছে চরম ভোগান্তি। খবর রয়টার্সের।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, দেশের অন্তত ৪২টি বিমানবন্দর টাওয়ার ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে কর্মী ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে আটলান্টা, সানফ্রান্সিসকো, শিকাগো, নিউইয়র্কসহ ১২টি বড় শহরে বিমান চলাচলে বিলম্ব দেখা দিয়েছে। গত শনিবার এক দিনেই এক হাজার ৫৩০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল এবং ছয় হাজারের বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। এর আগের দিন শুক্রবার এক হাজার ২৫টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছিল। এয়ারলাইন্সগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্রমবর্ধমান বিলম্বের কারণে ফ্লাইট সূচি তৈরি ও পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এফএএ শুক্রবার থেকে নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে ৪০টি বড় বিমানবন্দরে প্রতিদিনের ফ্লাইট ৪ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেয়। এই হার মঙ্গলবার থেকে ৬ শতাংশে এবং ১৪ নভেম্বরের মধ্যে ১০ শতাংশে পৌঁছাবে।
শাটডাউনে বিপাকে ট্রাম্প ভোটাররাও, তবু অটল সমর্থন
যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ইতিহাসের দীর্ঘতম সরকারি শাটডাউনে লাখো মানুষ বেতন, ভাতা ও সরকারি সুবিধা হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাদের অনেকেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক। কিন্তু জীবনযাত্রা ব্যাহত হলেও ট্রাম্পের প্রতি তারা আস্থা হারাননি। রয়টার্সের এক জরিপে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ট্রাম্প ভোটার এখনও ডেমোক্র্যাটদেরই দায়ী করছেন শাটডাউনের জন্য।
শাটডাউন শেষ করতে আলোচনায় অগ্রগতি শাটডাউন ৩৯ দিনে গড়িয়েছে। এতে ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ও ৫০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী বিনা বেতনে কাজ করছেন। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনুপস্থিতি বাড়ছে। অনেক নিয়ন্ত্রণকর্মী দ্বিতীয় দফায়ও বেতন না পাওয়ার নোটিশ পেয়েছেন।
