ঝড়ের বেগে সব জয় করলেন কে এই মামদানি?
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ১২:৩৫ এএম, ৮ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার
নিউইয়র্কের ইতিহাসে ঝড়ের বেগে এসে সব জয় করলেন কে এই মামদানি? দু’বছর আগেও মামদানিকে (৩৪) কেউ মনে করেননি। তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে তিনি এখন বিশ্বব্যাপি পরিচিত। ২০১৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেন। প্রভাবশালী এন্ড্রু কুমোকে নির্বাচনে পরাজিত করায় চারদিকে জয়ধ্বনি চলছে। তিনি নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট দল থেকে। ২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব পান জোহরান মামদানি। তার স্ত্রী সিরীয় বংশোদ্ভূত রামা দুয়াজি।
জোহরান মামদানি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৯১ সালে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায়। তার বাবা মাহমুদ মামদানি ভারতীয় বংশোদ্ভূত উগান্ডান মুসলমান। তিনি কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। মা ভারতীয়-মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা মিরা নায়ার। জোহরান মামদানির যখন পাঁচ বছর বয়স তখন তার পরিবার উগান্ডা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যায়। এর দুই বছর পর তারা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে এসে স্থায়ী হন। বোদোইন কলেজে অধ্যয়নের সময় মামদানি আরো কয়েকজনের সাথে ‘প্যালেস্টাইনে স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস’ আন্দোলন শুরু করেন। এই কলেজ থেকে আফ্রিকানা স্টাডিজে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে জোহরান মামদানি আবাসন পরামর্শক হিসেবে কাজ করতেন। কুইন্সের নিম্ন আয়ের অশ্বেতাঙ্গ বাড়ির মালিকদের ভাড়াটিয়া উচ্ছেদের নোটিশ এবং তাদের বাড়িতে থাকার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতেন তিনি।
২০২০ সালে তিনি নিউইয়র্ক স্টেটের অ্যাসেম্বলি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। সেই সময়েই তিনি জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত হয়ে ওঠেন একজন সমাজতান্ত্রিক, মুসলিম ও স্পষ্টভাষী আইনপ্রণেতা হিসেবে। তিনি ২০২২ এবং ২০২৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনঃনির্বাচিত হন। মামদানি নিজেকে একজন গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক হিসেবে পরিচয় দেন।
