রোববার   ০২ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ১৭ ১৪৩২   ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে লড়ছেন অ্যাটর্নি সোমা সায়ীদ

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:১৪ এএম, ১ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার


  
 
নিউইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে লড়ছেন কুইন্স ডিস্ট্রিক্টের সিভিল কোর্টের জজ অ্যাটর্নি সোমা সায়ীদ। এই পদে মোট পাঁচজনকে নির্বাচিত করতে হবে। এর মধ্যে সোমা সায়ীদের নাম রয়েছে ৫ নম্বরে। সোমা নির্বাচিত হলে প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই পদে বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস তৈরি হবে।

সোমা সায়ীদ জয়ী হতে যাচ্ছেনÑএটা প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়। অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকলেও শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। ভোট চাইছেন সবার কাছে। বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে তিনি আশাবাদী।
সোমা সায়ীদ এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অনেক খ্যাতনামা নেতার সমর্থন পেয়েছেন। বাংলাদেশি কমিউনিটি এবং কমিউনিটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনও তাকে সমর্থন দিয়েছে। কুইন্সের বিভিন্ন ডেমোক্র্যাটিক ক্লাব তাকে সমর্থন দিয়েছেন। এ ছাড়া নিউইয়র্ক বার অ্যাসোসিয়েশনও তাকে সমর্থন দিয়েছে।
কুইন্স ডিস্ট্রিক্টের নিউইয়র্ক সিটি সিভিল কোর্টের জজ অ্যাটর্নি সোমা এস. সায়ীদ নিউইয়র্ক স্টেটের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। তিনি বর্তমানে কুইন্স ডিস্ট্রিক্টের নিউইয়র্ক সিটি সিভিল কোর্টের জজ হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে তিনি ২০২১ সালে কুইন্স ডিস্ট্রিক্টের সিভিল কোর্টের জজ নির্বাচিত হন। তিনি ২০২২-২০২৩ সালে ম্যানহাটনের নিউইয়র্ক কাউন্টি ক্রিমিনাল কোর্টের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে কুইন্স কাউন্টির সিভিল কোর্টের জজের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সোমা সায়ীদ একজন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী। তিনি কুইন্স কাউন্টির জজ নির্বাচিত হওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ প্রসিকিউটর এবং প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার ভাস্ট কমিউনিটি ও প্রোবনো বিশেষজ্ঞ। সোমা সায়ীদ আলবেনি ল’ স্কুল থেকে আইন বিষয়ে জুরিস ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এর আগে তিনি নিউইয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটির সিটি কলেজ থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলে ছোটবেলার শিক্ষাজীবন কাটিয়েছেন। হাইস্কুলও ছিল সিটির পাবলিক স্কুল। ছোটবেলায় বাংলাদেশ থেকে এ দেশে পাড়ি জমান। বিয়ের পর তার স্বামী মিজান চৌধুরীর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা পেয়েছেন। সোমা সায়ীদ নিজের চেষ্টায় ও তার পরিবারের সবার উৎসাহ ও সহযোগিতায় এই পর্যায়ে এসেছেন।