পশ্চিম তীর দখলে ইসরাইলের পার্লামেন্টে বিল পাশ, ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ১২:৫৬ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ শুক্রবার
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা নিয়ে প্রাথমিকভাবে একটি বিল পাশ হয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে। মঙ্গলবার ১২০ আসনের সদস্যে ২৫-২৪ ভোটে বিলটি পাশ হয়। এটি আইন হিসাবে কার্যকর হতে আরও তিন ধাপের ভোটের অনুমোদন পেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার দল লিকুদ পার্টি বিলটির বিরোধিতা করলেও কয়েকজন জোটসঙ্গী এবং বিরোধী এমপি এতে সমর্থন দেন। তবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এমন পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আল-জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে আসে এই খবর।
নেসেটের বিবৃতিতে বলা হয়, জুদিয়া ও সামারিয়া (পশ্চিম তীরের) অঞ্চলে ইসরাইল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ করার জন্য বিলটি প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে। এখন বিষয়টি আরও আলোচনার জন্য নেসেটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিতে যাবে। এ ভোট এমন একসময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যখন এক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি ইসরাইলকে অধিকৃত পশ্চিম তীর দখল করার অনুমতি দেবেন না। আবার ভোটের দিনই গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইসরাইল সফর করছিলেন।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া
এমনকি এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পরও ক্ষুব্ধ জানিয়েছেন ট্রাম্প। ১৫ অক্টোবর টাইম ম্যাগাজিনের এক সাক্ষাৎকারে পশ্চিম তীর দখলে ইসরাইলি তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তখন ট্রাম্প বলেছেন, ‘এটা হবে না। এটা হবে না। কারণ আমি আরব দেশগুলোকে এ বিষয়ে কথা দিয়েছিলাম। আর এখন তোমরা তা করতে পারো না। আমাদের সঙ্গে আরবদের বিরাট সমর্থন আছে। যদি এমনটা ঘটে তাহলে ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তার সব সমর্থন হারাবে।’
সাক্ষাৎকারটি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। এ ছাড়াও ইসরাইল সফর শেষে (বৃহস্পতিবার) মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘যদি এটি একটি রাজনৈতিক কৌশল হয় তবে এটি একটি অত্যন্ত বোকামিপূর্ণ রাজনৈতিক কৌশল এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে এটির জন্য কিছুটা অপমানবোধ করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিম তীর ইসরাইলের দখলে যাবে না। এটাই ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি এবং আমাদের এই নীতি অব্যাহত থাকবে।’
