মঙ্গলবার   ২৮ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ১৩ ১৪৩২   ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

পোর্টল্যান্ডে সেনা পাঠানোর নির্দেশ ট্রাম্পের

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৪৬ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রোববার

অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। বর্তমানে সবচেয়ে উত্তপ্ত হয়ে আছে ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ড। এই পরিস্থিতিতে আজ পোর্টল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রয়োজনে ‘পূর্ণ শক্তি’ ব্যবহারেরও অনুমতি দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

আজ শনিবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘পোর্টল্যান্ডে আমাদের আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) কেন্দ্র আছে। আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে নির্দেশ দিচ্ছি, অ্যান্টিফা ও অন্যান্য দেশীয় সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে এটিকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সেনা সরবরাহ করুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রয়োজনে পূর্ণ শক্তি ব্যবহারেরও অনুমোদন দিচ্ছি।’

 

এদিকে শনিবার ট্রাম্পের এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এল, যখন অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপক ধরপাকড়ের মধ্যে কিছু শহরে সেনা মোতায়েন আরও বাড়ানো হচ্ছে।

 

এর আগে পোর্টল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট রাজনীতিকেরা ট্রাম্পের সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছিলেন। চলতি মাসের শুরুতে পোর্টল্যান্ডের মেয়র কেইথ উইলসন বলেছিলেন, ‘আমি ফেডারেল হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করিনি এবং আমার প্রয়োজনও নেই।’

 

পোর্টল্যান্ডের আইসিই কেন্দ্রটি বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। ফলে প্রায়ই এর আশপাশে সহিংস সংঘর্ষ হচ্ছে এবং ইতিমধ্যে কিছু ফেডারেল এজেন্টও আহত হয়েছেন।

 

তবে শনিবার স্থানীয় সময় সকালে দেওয়া ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে ন্যাশনাল গার্ড নাকি নিয়মিত মার্কিন সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে চান—তা স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প। বিবিসি এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু এখনো বিস্তারিত কিছু জানতে পারেনি।

 

গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প পোর্টল্যান্ডে একটি অভিযানের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা সেখানে যাব এবং পোর্টল্যান্ডের ওই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’ তিনি আন্দোলনকারীদের ‘পেশাদার বিক্ষোভকারী এবং নৈরাজ্যকারী’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এর আগে সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে তিনি পোর্টল্যান্ডকে ‘নরকে বসবাসের মতো’ স্থান বলে বর্ণনা করেছিলেন।