জাতিসংঘকে উপহাস ট্রাম্পের : ফাঁকা বুলি দিয়ে যুদ্ধ থামে না
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:১৯ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বুধবার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার নিষ্ঠুরভাবে জাতিসংঘকে উপহাস করেছেন। হোয়াইট হাউসে পুনরাগমনের পর এটি ছিল জাতিসংঘে তার প্রথম ভাষণ। তিনি সংস্থাটিকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ এনে এবং অবৈধ অভিবাসন উৎসাহিত করার দাবি তুলে আক্রমণ করেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মঞ্চে ফেরার সময় ট্রাম্প অভিযোগ করেন, জাতিসংঘ অভিবাসনের মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর এক ধরনের ‘আক্রমণ’ বাড়িয়ে তুলছে, যেসব দেশ তার ভাষায় ‘নরকে যাচ্ছে।
’
তিনি একইভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমানোর প্রচেষ্টাকে আক্রমণ করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ হলো ‘বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতারণা।’
‘জাতিসংঘের উদ্দেশ্যই বা কী?’ প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘তাদের যা করতে দেখা যায় তা হলো খুব জোরালো ভাষায় একটি চিঠি লেখা। এগুলো ফাঁকা বুলি, আর ফাঁকা বুলি দিয়ে যুদ্ধ থামে না।
’
৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প এমনকি জাতিসংঘের নিউইয়র্ক সদর দপ্তরে ভাঙা এসকেলেটর ও টেলিপ্রম্পটার নিয়েও অভিযোগ করেন, যেগুলো তিনি তার দুই দফা প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় একাধিকবার সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ থেকে আমি দুটি জিনিসই পেয়েছি—একটা খারাপ এসকেলেটর আর একটা খারাপ টেলিপ্রম্পটার।’
ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি সাতটি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে তিনি স্বীকার করেন, তার প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি রাশিয়ার ইউক্রেন হামলা এবং হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর ইসরায়েলের গাজায় যুদ্ধ—এই দুই ক্ষেত্রে।
তিনি ওয়াশিংটনের বেশ কিছু মিত্র দেশের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়াকে ‘ভয়াবহ নৃশংসতার জন্য হামাসকে পুরস্কার’ আখ্যা দেন এবং শান্তির জন্য জিম্মিদের মুক্তি দিতে গোষ্ঠীটিকে আহ্বান জানান।
ট্রাম্প ইউরোপীয় মিত্রদের পাশাপাশি চীন ও ভারতের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কারণ তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি। তবে তিনি মস্কোর ব্যাপারে তুলনামূলকভাবে সংযত ছিলেন, যদিও উল্লেখ করেন, ওয়াশিংটন অনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য প্রস্তুত।
সবচেয়ে কড়া ভাষায় তিনি আক্রমণ করেন অভিবাসন ইস্যুতে, জাতিসংঘকে অভিযুক্ত করে বলেন, সংস্থাটি পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর ‘আক্রমণে অর্থায়ন’ করছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘খোলা সীমান্তের ব্যর্থ পরীক্ষার ইতি টানার সময় এসেছে।
তোমাদের দেশগুলো নরকে যাচ্ছে।’ এ সময় পশ্চিমা রাজধানীর প্রথম মুসলিম মেয়র লন্ডনের সাদিক খানকেও আক্রমণ করেন।