জরিপে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে
মামদানির সমর্থনে বাংলাদেশিদের সমাবেশ
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৪৪ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার

নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র প্রার্থী হিসেবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়া জোহরান মামদানির প্রতি যুব সমাজ এবং উচ্চ শিক্ষিত ভোটারের অকুন্ঠ সমর্থন মিলেছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত সর্বশেষ এক জরিপ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত ভোটারের ৪৬% মামদানিকে (৩৩) সমর্থন প্রদানের কথা জানিয়েছেন। নিউইয়র্ক স্টেটের সাবেক গভর্ণর এ্যান্ড্রু কুমো (৬৭) ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে মাঠে নেমেছেন। তাকে সমর্থন দিয়েছেন মাত্র ২৪% ভোটার। এ নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির পার্থীর প্রতি সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছেন মাত্র ১৫%। অপরদিকে, বর্তমান মেয়র এরিড এডামসকে ৯% সমর্থন দিয়েছেন।
জোহরান মামদানিকে ধরাশায়ী করতে ট্রাম্পও নানাভাবে তৎপরতা চালাচ্ছেন। এন্ড্রু কুমোর বিজয় ত্বরান্বিত করার অভিপ্রায়ে ট্রাম্প এরিক এডামসকে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ট্রাম্পের ধারণা এরিক সরে দাঁড়ালো ক্যুমোর বিজয়ের পথ সুগম হতে পারে। উল্লেখ্য, ঘুষ-দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত মেয়র (ডেমক্র্যাট)এরিক এডামস ইতিমধ্যেই ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন মামলা থেকে অব্যাহতির প্রত্যাশায়। তার সুফল এলেও পুনরায় মেয়র নির্বাচনের ময়দান থেকে সরে দাঁড়াতে সম্মত হননি। তিনিও স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এমনি অবস্থায় ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এবং সিয়েনা কলেজ’ চালালো এ জরিপ। নিউইয়র্ক স্টেট এ্যাসেম্বলীম্যান হিসেবে চার বছর আগে নির্বাচিত জোহরান ভারতীয় মা চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার এবং উগান্ডার বাবা মাহমুদ মামদানির সন্তান। নিউইয়র্ক সিটিতে দক্ষিণ এশিয়ানদের রাজধানী হিসেবে পরিচিত কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন এস্টোরিয়া ও লং আইল্যান্ড সিটি নিয়ে গঠিত স্টেট এ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক্ট-৩৬ থেকে ২০২০ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথেও সখ্যতা বাড়িয়েছেন।
বাংলাদেশীরা সরব হয়েছেন মামদানীর পক্ষে। গত শনিবার নিউইয়র্ক সিটির প্রোসপেক্ট পার্কে মামদানীর সর্মথনে ‘ড্রাম বীটস’ নামক একটি সংস্থার বনভোজন পার্টিতে প্রচুর বাংলাদেশি অংশ নেন । বৃষ্টি সত্বেও শতশত প্রবাসীর সমাগমে হাজির হয়েছিলেন জোহরান মামদানি। মামদানিকে বিজয় করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রতিটি বাংলাদেশী ভোটারকে কেন্দ্রে গিয়ে ব্যালট যুদ্ধে অংশগ্রহণের উদাত্ত আহবান জানান কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফ। বাংলাদেশী বংশোদ্ভ’ত শাহানা হচ্ছেন এই সিটির প্রথম মুসলিম এবং প্রথম বাংলাদেশী কাউন্সিলওম্যান। শাহনা বলেন, জোহরানের বিজয়ে ত কঠোর পরিশ্রমী অভিবাসীগণের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষিত হবে। উল্লেখ্য, এই বনভোজন আয়োজনের নেপথ্য সংগঠক ছিলেন বাংলাদেশী আমেরিকান কাজী ফৌজিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জুমানী উইলিযাস, রবার্ট ক্যারল, নাজমুল হোসাইন, আব্দুর রহিম হাওলাদার, ফাহাদ সোলায়মান, জে মোল্লা সানী, মেরি জোবায়দা, ইমরান আনসারী, মঈনউদ্দীন মাহবুব, এনায়েত মুন্সী, আকব্দুল কাদের মিয়া, বখতিয়ার উদ্দীন, আহসান হাবিব, নেসার ভূইয়া রাসেল,ইকবাল হায়দার, ও মফিজ উদ্দীন। এতে কমিউনিটির সর্বস্তরে প্রতিনিধিত্বকারিরা জড়ো হয়ে জোহরানের বিজয়ে কাজের সংকল্প ব্যক্ত করেছেন।