সোমবার   ১১ আগস্ট ২০২৫   শ্রাবণ ২৬ ১৪৩২   ১৬ সফর ১৪৪৭

ভিসা হলেও যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত বন্ড দিতে হবে

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৪০ এএম, ১১ আগস্ট ২০২৫ সোমবার

জাম্বিয়া ও মালাউইয়ের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার আগে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জামানত (বন্ড) জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী নতুন পদক্ষেপ হিসেবে এ- সংক্রান্ত এক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২০ আগস্ট থেকে নতুন ভিসা বন্ড নীতি চালু হবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বি-১ ব্যবসায়িক ভিসা ও বি-২ পর্যটন ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

 

পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১২ মাস মেয়াদি এই পাইলট প্রোগ্রামের লক্ষ্য এমন দেশগুলোর নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণ করা, যেখান থেকে আসা ভিসাধারীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে নির্ধারিত সময়ের বেশি থাকার (ওভারস্টে) হার বেশি, অথবা যেসব দেশের নিরাপত্তা যাচাই ও স্ক্রিনিং ব্যবস্থা দুর্বল বলে বিবেচিত হয়।

 

১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং মার্কিন ভিসাধারী দর্শনার্থীদের জন্য নতুন কিছু ফি চালু করার পর এ সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র।

 

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যেসব দেশের নাগরিকদের ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ থাকার হার বেশি, তাদের এ জামানত দিতে হবে। তবে কানাডা ও মেক্সিকোর ভ্রমণকারী এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ওয়েভার কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ৪০টির বেশি দেশের নাগরিক এর বাইরে থাকবেন। এ কর্মসূচির অধীন নাগরিকরা ৯০ দিন পর্যন্ত ব্যবসা বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা ছাড়া যেতে পারেন।

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত বন্ডের তিনটি স্তর আছে- ৫ হাজার, ১০ হাজার ও ১৫ হাজার ডলার।

 

পররাষ্ট্র দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্মসূচি চলাকালে প্রায় দুই হাজার ভিসা আবেদনকারীকে এ জামানত দিতে হবে। যদি গড়ে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার ডলার ধরা হয়, তবে ২ হাজার আবেদনকারীর জন্য তা অঙ্কের হিসাবে দাঁড়াবে মোট ২ কোটি ডলারে, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

 

জামানতের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন কনস্যুলার কর্মকর্তারা। তারা আবেদনকারীর ব্যক্তিগত অবস্থা, যেমন ভ্রমণের কারণ, চাকরি, আয়, দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতাও বিবেচনায় নেবেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে জামানত মওকুফের সুযোগ থাকবে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মচারীদের ভ্রমণ বা জরুরি মানবিক প্রয়োজন।

 

এদিকে এই বন্ড নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লে ফেরত পাওয়া যাবে। তবে বন্ড জমা দেওয়ার পর নির্দিষ্ট তিনটি বিমানবন্দর- বস্টন লোগান, নিউ ইয়র্ক জেএফকে এবং ওয়াশিংটন ডালেস থেকে প্রবেশ করতে হবে।

 

জাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুলাম্বো হেইম্বে এই সিদ্ধান্তকে ‘অত্যন্ত চাপের’ ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, তাদের গড় মাসিক আয় মাত্র ১৫০ ডলার, যা বন্ডের তুলনায় খুবই কম। মালাউইয়ের জন্যও এটি ব্যাপক চাপের।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নীতি শুধু জাম্বিয়া ও মালাউইয়ের জন্য সীমাবদ্ধ থাকবে না, ভবিষ্যতে আরও দেশের ওপর পড়তে পারে। সূত্র: সিএনএন