শনিবার   ০২ আগস্ট ২০২৫   শ্রাবণ ১৭ ১৪৩২   ০৭ সফর ১৪৪৭

নিউইয়র্কে গুলিতে নিহত চারজনের পরিচয়

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৫৩ এএম, ১ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার

 

নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউয়ের একটি ভবনে গুলিতে নিহত চারজনের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম, নিরাপত্তাকর্মী অ্যালান্ড এতিয়েন, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জুলিয়া হাইম্যান ও ব্ল্যাকস্টোনের শীর্ষ নির্বাহী ওয়েসলি লেপ্যাটনার।

 

সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউ ভবনে গুলিবর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। ২৭ বছর বয়সী শেইন ডেভন তামুরা এম-৪ রাইফেল নিয়ে ভবনে ঢুকে প্রথমে লবিতে ও পরে ৩৩ তলায় গুলি চালান। পরে তিনি নিজেই আত্মহত্যা করেন। ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন।

 

পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম

 

নিহত দিদারুল ইসলাম (৩৬) নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ডিউটির বাইরে থাকলেও ইউনিফর্ম পরে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তার স্ত্রী গর্ভবতী এবং তাদের আরও দুটি শিশু সন্তান রয়েছে।

 

নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ জানান, দিদারুল ব্রঙ্কসের ৪৭তম প্রিসিঙ্কটে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, “তিনি ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র সন্তান এবং এক বীর পুলিশ কর্মকর্তা।”

 

ব্ল্যাকস্টোনের নির্বাহী ওয়েসলি লেপ্যাটনার

 

নিহত ওয়েসলি লেপ্যাটনার ব্ল্যাকস্টোন কোম্পানির সিনিয়র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং বিভিন্ন শিক্ষাবিষয়ক ও মানবিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার পরিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "তিনি ছিলেন স্নেহশীল মা, স্ত্রী ও কন্যা। তার শূন্যতা অপূরণীয়।"

 

রিয়েল এস্টেট কর্মকর্তা জুলিয়া হাইম্যান

 

জুলিয়া হাইম্যান ছিলেন রুডিন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির একজন সহযোগী। তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে স্নাতক করেন এবং স্কুলজীবনে সকার, সাঁতার ও ল্যাক্রোস খেলার ক্যাপ্টেন ছিলেন।

 

কর্নেলের অধ্যাপক কেট ওয়ালশ বলেন, “জুলিয়া ছিলেন মেধাবী, আত্মবিশ্বাসী এবং শেখার প্রতি গভীর আগ্রহী একজন শিক্ষার্থী।”

 

নিরাপত্তাকর্মী অ্যালান্ড এতিয়েন

 

নিরাপত্তাকর্মী অ্যালান্ড এতিয়েন ভবনের লবিতে দায়িত্বরত ছিলেন। গুলিতে তিনিও নিহত হন। তার পরিবার জানিয়েছে, তিনি ছিলেন একজন দায়িত্বশীল পিতা ও সন্তান।

 

৩২ বিজে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়, “অ্যালান্ড ছিলেন নিউইয়র্ক শহরের একজন বীর। প্রতিদিন নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে তিনি দায়িত্ব পালন করতেন।”