শুক্রবার   ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৭ ১৪৩২   ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

রেমিট্যান্সে কর জানুয়ারি থেকে শুরু

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:০৯ এএম, ১২ জুলাই ২০২৫ শনিবার


 
 
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিদেশে অর্থ পাঠানোর (রেমিট্যান্স) ওপর ১ শতাংশ হারে কর আরোপ করেছে। ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত নতুন বাজেট আইনের আওতায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪ জুলাই এ বিলটিতে স্বাক্ষর করেন। আইনটি ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এর ফলে যারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে নগদ অর্থ, মানি অর্ডার বা ক্যাশিয়ার চেক ব্যবহার করে টাকা পাঠাবেন, তাদের এই কর দিতে হবে। এই কর মার্কিন নাগরিক, গ্রিন কার্ডধারী, ছাত্র ভিসা, কর্ম ভিসা কিংবা পর্যটক-সবার ওপরই প্রযোজ্য হবে, যদি তারা অনানুষ্ঠানিক বা নগদ মাধ্যমে অর্থ পাঠান। তবে বৈধ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ইউএস-ইস্যু করা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড এবং ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা পাঠালে এই কর প্রযোজ্য হবে না।

নিয়মটি কার্যকর হলে মেক্সিকো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যার বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১৫০০ কোটি ডলার। এছাড়াও ভারত, চীন, ভিয়েতনাম, এল সালভাদর, গুআতেমালা, বাংলাদেশ ও ডোমিনিকান রিপাবলিকসহ একাধিক দেশ অর্থনৈতিক চাপে পড়বে। নতুন কর ব্যবস্থাকে ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। অভিবাসী অধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এটি প্রবাসীদের ওপর একটি অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা সৃষ্টি করবে এবং তাদের পরিবারের কাছে অর্থ সহায়তা পাঠানো কঠিন হয়ে পড়বে। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, করের কারণে অনেকেই হুন্ডির মতো অনানুষ্ঠানিক বা অবৈধ পদ্ধতির দিকে ঝুঁকতে পারেন, যা অর্থ পাচার এবং জালিয়াতির ঝুঁকি বাড়াবে।

কর আদায়ের দায়িত্ব থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর। অর্থ পাঠানোর সময় প্রতিষ্ঠানগুলোই সরাসরি ১ শতাংশ কর কেটে নেবে এবং তা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সরকারের কাছে জমা দেবে। শুরুতে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এই করের হার ৫ শতাংশ প্রস্তাব করেছিল, পরে তা ৩.৫ শতাংশে নামানো হয় এবং শেষ পর্যন্ত ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। তবে করের আওতা বাড়িয়ে এতে মার্কিন নাগরিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে এর প্রভাব আরো বিস্তৃত হয়েছে।