শনিবার   ২৮ জুন ২০২৫   আষাঢ় ১৫ ১৪৩২   ০২ মুহররম ১৪৪৭

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক

হাসান মাহমুদ

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:৩৬ এএম, ২৮ জুন ২০২৫ শনিবার



 
 

বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে এবং এর প্রস্তুতি কি রকম হতে যাচ্ছে তা নিয়ে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউকে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনের নানা বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেন। বাংলাদেশে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালিন ড. ইউনূস সরকারের সফলতা কামনা করে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যান্ডাউ বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গিকার পুন:ব্যক্ত করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে আঞ্চলিক স্থিতিশিলতার জন্য’। যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে উভয় দেশের মধ্যে এমন আরও বৈঠক হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
নির্বাচন কবে হতে যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন ভোটারদের কতটুকু সুরক্ষা দিতে পারবে তা নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। ভোটবিহীন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে একযুগ পর ভোটাররা আগামী নির্বাচনে নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন বলে বৈঠকে আশ্বস্থ করা হয় বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসকে তাঁদের বৈঠক শেষে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু পদক্ষেপের নিন্দা করে কি-না, যার মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা এবং এর সমর্থকদের টার্গেট করার অভিযোগ। জবাবে ট্যামি ব্রুস এ বিষয়ে ওই সাংবাদিককে বিস্তারিত জানার জন্য হোয়াইট হাউসের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে পররাষ্ট্র দপ্তরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লানডাউয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এক মন্তব্যে বলেন, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণসহ  বাংলাদেশের জন্য একটি সংকটময় মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে তাঁরা রোহিঙ্গা সংকট, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান শুল্ক আলোচনা, দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিয়েও আলোচনা করেন বলে জানা যায়।