শনিবার   ২১ জুন ২০২৫   আষাঢ় ৮ ১৪৩২   ২৪ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

মাদক নিয়ে সংঘর্ষ

জ্যামাইকা বিষাক্ত হয়ে উঠেছে

আজকাল রিপোর্ট

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:৪২ এএম, ২১ জুন ২০২৫ শনিবার


নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় মাদক নিয়ে দ্বন্ধ, হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। জ্যামাইকার ১৬৯ স্ট্রিটের কর্ণারে একটি পান দোকানে গাঁজার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনা পরে পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে বলে জানা গেছে। এই দোকান থেকে মাত্র ৩০ ফুট দূরের ‘গাছতলা’ নিয়মিত মাদক লেনদেনের আলোচিত স্পট বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হিলসাইডের ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টের পেছনের গ্যারেজ থেকে গাড়ীর চাকা চুরির মুহূর্তে বাধা দিতে গেলে এক মাদকাসক্ত ব্যক্তি গাড়ীতে হামলার হুমকি দিতে থাকে। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগি ব্যক্তি পুলিশকে কল দেন। তবে পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত ধীরগতির। এসব অভিযোগ করে ভুক্তভোগি বলেন, গত কিছুদিন আগে এই স্থান থেকেই আমার গাড়ীর চাকা চুরি হয়েছে। এর আগে গত বছর ১৬৮ স্ট্রিটের অদূরে মান্নান গ্রোসারির কাছে এক মাদকাসক্তের ঘুষিতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। মাদক, ছিনতাই, চুরি থেকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুরো এলাকায় বিষাক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। বাঙালি অধ্যুষিত এই এলাকায় অপরাধের প্রবণতা বেড়ে যাবার পেছনে কিছু ‘অপরাধপ্রবণ বাংলাদেশি’ জড়িত বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, সাটফিন থেকে শুরু করে ১৮৮ স্ট্রিট পর্যন্ত এলাকা এখন আর স্বাভাবিক থাকে না সন্ধ্যার পর। খুব ভোরে এই এলাকায় মাদক চোরাচালন হয় এবং সন্ধ্যার পর আবার মাদকের বেচাকেনা বেড়ে যায়। পার্কিং করা গাড়ীর ভেতর থেকেই মাদক বেচাকেনা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে এলাকায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন সাধারণ মানুষ ও তাদের পরিবার।
এব্যাপারে স্টুডেন্টস এন্ড এলামনাই কমিউনিটির এডভাইজার সৈয়দ আল আমিন রাসেল-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘জ্যামাইকার পরিবেশ এখন বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। মাদকের চালান প্রকাশ্যেই লেনদেন হচ্ছে বলে জানা যায়। দূর দূরান্ত থেকেও অনেকে এখানে মাদক কেনার জন্য আসেন। হিলসাইডের আশপাশের পার্কিং করা গাড়ীতে এবং বিভিন্ন ছদ্মবেশে মাদক বেচাকেনা চলছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে বর্তমান অবস্থা সবচেয়ে মারাত্মক’।
ভুক্তভোগিরা জানান, জ্যামাইকা হিলসাইডে মাদক চোরাচালান এবং বেচাকেনার দৌরাত্ম বন্ধ করতে হলে স্থানীয় ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া জরুরী।