শনিবার   ১৪ জুন ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ৩১ ১৪৩২   ১৭ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

লস অ্যাঞ্জেলেসে দ্বিতীয় রাতে কারফিউ জারি, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৯:৩৭ পিএম, ১২ জুন ২০২৫ বৃহস্পতিবার

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডাউনটাউন এলাকায় টানা দ্বিতীয় রাতের মতো কারফিউ জারি করা হয়েছে। শহরে চলমান বিক্ষোভে শতশত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইসিই অভিযান এবং শহরে সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সপ্তম দিনে গড়িয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ইলিনয়ের শিকাগো, টেক্সাসের অস্টিন ও ওয়াশিংটন ডিসিসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।

‘অবৈধ’ অভিবাসনবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে সেখানে ফেডারেল কর্মী ও ফেডারেল সম্পদের নিরাপত্তায় চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ও ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তা সত্ত্বেও সেখানে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলস ছাড়াও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য শহরেও। নিউ ইয়র্ক, সিয়াটল, শিকাগো, অস্টিন, লাস ভেগাস এবং ওয়াশিংটন ডিসিসহ বিভিন্ন শহরে একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। ওয়াশিংটনের সিয়াটলে বুধবার আইসিই-বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে ৮ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া ওয়াশিংটনের স্পোকেন শহরে বিক্ষোভকারীরা আইসিই কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার পর জরুরি অবস্থা ও কারফিউ ঘোষণা করেছেন শহরের মেয়র।

এদিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ না করে বিক্ষোভ দমনে ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সদস্য মোতায়েনের ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ’ বলে মন্তব্য করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম।

যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৬৫ সালের পর প্রথমবারের মতো এবারই কোনো গভর্নরের অনুরোধ ছাড়া ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হলো। এই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন গভর্নর নিউসম। জেলা জজ চার্লস ব্রেয়ার বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

গত শুক্রবার ফেডারেল ইমিগ্রেশন সংস্থা (আইসিই) লস অ্যাঞ্জেলেসের লাতিন জনগোষ্ঠী–অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় অভিযান শুরু করে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়।

অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয় মেয়াদে ফেরার পরপরই তাঁর প্রশাসন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে ধরপাকড় বেড়ে যায়।

বিক্ষোভ মূলত লস অ্যাঞ্জেলেসের কেন্দ্রে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু তা ধীরে ধীরে শহরজুড়ে এমনকি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।