1. প্রচ্ছদ
2. যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ তার নেতাকে ইহুদি জনগণের একজন 'অবিশ্বাস্য বন্ধু' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পই একমাত্র ব্যক্তি যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী উভয়ের দায়িত্বই পালন করতে পারেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্বের খবরের মধ্যে উইটকফের এমন মন্তব্য এলো। যদিও ট্রাম্প ঐতিহ্যগতভাবে নিজেকে দৃঢ়ভাবে 'ইসরায়েলপন্থী' হিসেবে তুলে ধরে আসছেন।

বুধবার (১১ জুন) নিউইয়র্কে ইসরায়েলি জরুরি প্রতিক্রিয়া গোষ্ঠী 'ইউনাইটেড হাতজালাহ'র জন্য এক তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উইটকফ বলেন, 'নেতানিয়াহুর প্রতি কোনো অসম্মান নেই, যার সাথে আমি আজও কথা বলেছি। তবে আমি মনে করি, ট্রাম্পই প্রথম বর্তমান প্রেসিডেন্ট যিনি একই সাথে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।' এ সময় দর্শকদের কাছ থেকে হাসি এবং করতালির ধ্বনি আসে।

ট্রাম্পের দূত জোর দিয়েছেন যে, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে দুই দেশকে একসাথে কাজ করতে হবে, যে কোনো মূল্যই হোক না কেন।

যদিও তেহরান বারবার অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে।

২০২২ সালের অক্টোবরে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি 'সহজেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন'। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, 'কোনো (মার্কিন) প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের জন্য আমার চেয়ে বেশি কিছু করেননি।'

ট্রাম্প প্রশাসনের সাধারণত ইসরায়েলের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে সম্প্রতি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, গাজা যুদ্ধ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে নীতিগত পার্থক্য বাড়ছে।

সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে হামাসের সঙ্গে সংঘাত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার পরিকল্পনা ত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।

ইয়েমেনে হামাসকে সমর্থনকারী হুথিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত এবং সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলেও উত্তেজনা বেড়েছে।