শনিবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২৩ ১৪৩২   ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

এবার ১৭ পদ টার্গেট আইনজীবীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক 

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৪৪ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে এবার ১৭টি পদকেই টার্গেট করেছেন আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা। গত নির্বাচনে সভাপতি ও সেক্রেটারী সহ ৬ পদে আওয়ামী লীগ এবং সহ সভাপতি সহ ১১পদে বিএনপির জয় ঘটলেও এবার পুরো বিষয় উলটপালট করা হতে পারে। সোমবার ৭ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়া ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন আদালতপাড়া সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয় আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা। বিগত বছরগুলোতে এ সভাকে ঘিরে ছিল সবার নজর। কি ঘটবে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের কার কি ভূমিকা থাকবে তা নিয়ে চলতো আলোচনা। তবে সোমবার দুপুরে বার্ষিক সাধারণ সভা হলেও সকাল থেকে আদালতপাড়ায় ছিল কোন আলোচনা।

কার্যত গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিগত দিনে আওয়ামী লীগের ভেতর ভেতর বিরোধীতা করা নেতারাও শেষ দিকে এসে মিইয়ে যাওয়াতেই বিএনপির মধ্যে বিরাজ করছে ভয়। সেটাও ফুঁটে উঠেছিল বার্ষিক সাধারণ সভাতে। সেখানে অবশ্য নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কিছুটা আপত্তি আর হৈ চৈ করলেও শেষতক সভাপতির ঘোষিত কমিটিকেই মেনে নিতে বাধ্য হয়।

এবার কিছুটা দুঃসময় থাকায় বিএনপির আইনজীবীদের অভিভাবক খ্যাত তৈমূর আলম খন্দকারকে বার্ষিক সাধারণ সভায় হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। তার কাছে গিয়েছিল অনুরোধও। কিন্তু তৈমূর এদিন আসেনি। আর ৫৯ দিন কারাভোগ করা সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খানও অসুস্থতার কারণে তেমন নড়ছেন না। তিনিও আর কোন ঝুঁকি নিতে রাজী না।

ফলে আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে প্যানেল দিলেও সেটা জয়ের জন্য হচ্ছে না নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে। কারণ বিএনপির অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীদেরও ধারণা, আওয়ামী লীগকে লড়তে শক্তিশালী প্রার্থীরাও ঝামেলা এড়াতে নিজেদের গুটিয়ে নিবেন। আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হলেও এখানে স্থানীয় রাজনীতিকদের প্রভাব থাকে সব সময়ে। আর এবার ৫টি আসনে মহাজোটের দাপুটে জয় ঘটায় এর প্রভাব ফেলা হবে সমিতির নির্বাচনেও।

কার্যত সব দিক দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগকে ওয়াকওভার দিতে যাচ্ছে বিএনপি। সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সমিতির নির্বাচনেও। ফলে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ ভেতরগতভাবে সক্রিয় হলেও বিএনপির নড়াদশায় তারাও ব্যাকফুটে যেতে শুরু করেছে।

আর সে কারণেই দলটির পক্ষে ভোটের দামামা বাজলেও কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। খোদ বিএনপির নীতি নির্ধারকেরাও রীতিমত হাল ছেড়ে দিতে শুরু করেছেন। পর্দার আড়াল থেকে যারা বিএনপির আইনজীবীদের নড়াতেন তারাও এবার চুপ হয়ে যাচ্ছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা জানান, বর্তমান কমিটিতে বিএনপির ১১জন থাকলেও বিগত দিনে বিভিন্ন ধরনের হয়রানিমূলক মামলার ক্ষেত্রে তারা কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। তারা নিজেরাও কোন বৈঠক করে বিচারকের সঙ্গে দেখা করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার প্রয়াস নেয়নি।

এদিকে জুয়েল ও মোহসীনের নেতৃত্বেই এবছর প্যানেল গঠন করা হতে যাচ্ছে আপাতত নিশ্চিত হওয়া গেছে। খোদ এমপি শামীম ওসমান এঁদের উপর আবারো আস্থা রাখতে চাচ্ছেন।