তুর্কী ছাত্রী রুমেসার ভিসা বাতিল করে ‘আইস’ হেফাজতে
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:৪২ এএম, ১০ মে ২০২৫ শনিবার
তুরষ্কের ছাত্রী রুমেসা ওজতুর্ককে ভিসা বাতিল করে লুইসিয়ানায় ‘আইস’ পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিষয়ে তিনি সমালোচনা করার পর ছয় সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে লুইসিয়ানায় আটক রয়েছেন। টাফ্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের তুর্কি ছাত্রী নিউ ইংল্যান্ডে ফিরে আসার জন্য আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যে, তার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে কি-না। আদালত আদেশ দেয় যে, আগামী ১৪ মে ওজতুর্ককে ভার্মন্টে আইসিই-এর হেফাজতে স্থানান্তরিত করা হবে।
ভার্মন্টের একটি জেলা আদালতের বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ৩০ বছর বয়সী ডক্টরাল ছাত্রীকে অবৈধভাবে আটক করা হয়েছে কি-না তা শুনানির জন্য ওই রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। ওজতুর্কের আইনজীবীরা বলছেন যে, তাদের আটক করায় তাদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, লুইসিয়ানার অভিবাসন ট্রাইব্যুনালে ওজতুর্কের মামলার শুনানির এখতিয়ার রয়েছে। আপিল আদালত একমত হয়নি যে, ভার্মন্টের ট্রাইব্যুনাল ওজতুর্কের মুক্তির অনুরোধ পরিচালনা করার জন্য ভুল জায়গা ছিল।
অভিবাসন কর্মকর্তারা ২৫ মার্চ বোস্টনের রাস্তায় হাঁটার সময় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে একটি বিমানে করে লুইসিয়ানার বাসেলের একটি কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার আগে একটি গাড়িতে করে নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং ভার্মন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে তার স্টুডেন্ট ভিসা বাতিল করা হলেও তাকে তা জানানো হয়নি।
ওজতুর্কের আইনজীবীরা প্রথমে ম্যাসাচুসেটস-এ তার নামে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন, কিন্তু কেউ জানত না যে সে কোথায় আছে এবং তাকে আটক করার ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর্যন্ত তার সাথে কথা বলতে পারেনি। ম্যাসাচুসেটসের একজন বিচারক পরে মামলাটি ভার্মন্টে স্থানান্তর করেন।
জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের একজন মুখপাত্র মার্চ মাসে প্রমাণ প্রদান না করে বলেছিলেন যে, তদন্তে দেখা গেছে যে ওজতুর্ক হামাসের সমর্থনে কার্যকলাপে অংশ নিয়েছিল।