ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারি সংকট তীব্র
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:৫৩ এএম, ৩ মে ২০২৫ শনিবার

নিউইয়র্ক সিটিতে ক্র্যাকডাউন পরিকল্পনা
নিউইয়র্ক সিটিতে কাগজপত্রহীন/অবৈধ অভিবাসীরা ভয়ে কর্মস্থলে যাওয়া বন্ধ কওে দিয়েছেন। নেহায়েত জরুরী না হলে তারা কাজে যাচ্ছেন না। গত মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সহ সেনচুয়ারি সিটিতে ক্র্যাকডাউন ঘোষণার পর ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর্মচারির অভাবে বন্ধ হবার উপক্রম। সিটির অধিকাংশ গ্রোসারী দোনকান, স্ট্রিট ভেন্ডরস, নিউজস্ট্যান্ড, বার, নাইটক্লাব ও রেষ্টুরেন্টগুলো অতিমাত্রায় নির্ভরশীল ইমিগ্রান্ট কর্মচারিদের ওপর। ব্যাপকহারে ধরপাকড় শুরু হবার হবার কর্মচারিরা আর কাজে যাচ্ছে না। গেল সপ্তাহে কলোরাডো স্টেটের নাইটক্লাবের অভিযানে ১০০ জনেরও বেশি অভিবাসী গ্রেফতার করায় এ আতংক আরও বেড়ে গেছে। তার প্রভাব পড়েছে নিউইয়র্ক সিটিতেও।প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসনের উপর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনকেই দায়ী করা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, নুন্যতম বেতনে কাজ করেন ইমিগ্রান্টরা। অনেকের কাগজপত্র না থাকায় আরও কম বেতনে কাজ করেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে ইমিগ্রান্ট কর্মচারি হচ্ছে আর্শীবাদ। তারা না থাকলে ব্যবসা পরিচালনা সম্ভব নয়। একটি জরিপে, প্রতি পাঁচজনে ৩ জন কর্মী বলেছেন, তারা কর্মক্ষেত্রে অভিবাসন অভিযান নিয়ে চিন্তিত।
ট্রাম্প সোমবার একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছন, যার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে অভয়ারণ্য শহরগুলি (সেনচুয়ারি সিটি) । এ সব শহরগুলিতে অবৈধ ইমিগ্রান্টদের গ্রেফতারে ক্র্যাকডাউন চালাবে আইস পুলিশ।
ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেবার গত ৪ মাসে ২ লাখ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে। এরমধ্যে ১ লাখ বহিস্কার করেছে। ২০০০ জনের জরিপে প্রতি পাঁচজন কর্মীর মধ্যে তিনজন বলেছেন, তারা অভিবাসন অভিযান নিয়ে চিন্তিত। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রে অভিযানের সম্ভাবনা নিয়ে তরুণ কর্মীরা বেশি উদ্বিগ্ন।