সোশ্যাল সিকিউিরিটির অর্থ সংকট
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:০৬ এএম, ১১ মে ২০২৪ শনিবার

৩৫ সাল নাগাদ বন্ধ হতে পারে ১৭ শতাংশ নাগরিকের বেনিফিট
২০৩৫ সাল নাগাদ আমেরিকার বিপুল সংখ্যক নাগরিকের সোশ্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর প্রধান কারণ হবে অর্থ সংকট। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যেতে পারে মেডিকেয়ার বেনিফিটও।
এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে সোমবার ৬ মে ফেডারেল কর্মকর্তারা বলেছেন, সোশাল সিকিউরিটির কম্বাইন্ড রিজার্ভ আগামী এক দশকেই শেষ হয়ে যেতে পারে। তারা বলেছেন, কংগ্রেস যদি আর্থিক বরাদ্দে এগিয়ে না আসে তবে শতকরা ১৭ ভাগ বেনিফিসিয়ারিকে অর্থ দেয়া সম্ভব হবে না। অর্থাৎ সোয়া কোটি আমেরিকানের সোশাল সিকিউরিটি বন্ধ হয়ে যাবে। তখন শুধুমাত্র ৮৩ ভাগ নাগরিককে এ বেনিফিট দেয়া সম্ভব হবে।
সোশাল সিকিউরিটি কমিশনার মার্টিন ও’ ম্যাালি বলেছেন, ফান্ড ঘাটতি ২০৩৪ সালেই হবার কথা ছিল। কিন্তু স্বল্প বেকারত্ব, মজুরি বৃদ্ধি ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আরও এক বছর হয়ত টেনে নেয়া যাবে, কোন সমস্যা হবে না। এই অবস্থা বিবেচনায় এর আগেই এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কংগ্রেসকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ৭ কোটি আমেরিকানকে বর্তমানে সোশ্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এই ফান্ডে অর্থ রাখছেন ১৮ কোটি আমেরিকান ও তাদের পরিবারের কর্মজীবি সদস্যরা। কর্মজীবি মানুষেরা তাদের বেতন বা আয়ের শতকরা ৬.২ ভাগ অর্থ সোশাল সিকিউরিটি খাতে প্রদান কওে থাকেন। তারা রোজগারের ১.৪৫ শতাংশ প্রদান করেন মেডিকেয়ার খাতে। এই অর্থই পান অবসরে যাওয়া সিনিয়ররা। তারা মারা গেলে স্ত্রী ও সন্তানরাও এ বেনিফিট পেয়ে থাকেন।
বয়স্কদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বেনিফিট হচ্ছে মেডিকেয়ার। এ ফান্ডও ২০৩৬ সাল নাগাদ ঘাটতিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণেই আগে থেকেই কংগ্রেসকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য আহবান জানিয়েছেন সোশ্যাল সিকিউরিটি কমিশনার।
সোশ্যাল সিকিউরিটি পাওয়া বেনিফিট শুরু হয় ন্যূনতম ৬২ বছর বয়স থেকে। তবে বেনিফিট ৬৫ বা ৬৭ বছর থেকে নেয়া শুরু করলে প্রাপ্ত অর্থের পরিমান আরও বেশি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরাই শুধু সোশ্যাল সিকিউরিটি বেনিফিটের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়ে থাকেন। এ বেনিফিটের পরিমান প্রতিমাসে ৫১ ডলার থেকে ৪ হাজার ৮৭৩ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। তবে এ বেনিফিট পেতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ওয়ার্ক ক্রেডিট অর্জন করতে হয়। যা ন্যূনতম ৪০ ক্রেডিট। একজন কত বছর কাজ করলেন এবং সোশ্যাল সিকিউরিটি বাবদ কত ট্যাক্স প্রদান করলেন তারই ভিত্তিতে তার প্রাপ্য বেনিফিট নির্ধারিত হয়। বেশি আয়ের মানুষেরা বেশি ট্যাক্স প্রদান করে থাকেন। তাই তারা বেনিফিটও বেশি পান।