ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে নিন
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৪:৪০ এএম, ৯ মার্চ ২০২৪ শনিবার

রোববার প্রথম প্রহরে
যুক্তরাষ্ট্রে ১০ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ‘ডে লাইট সেভিং টাইম’ কার্যক্রম। আগামীকাল ৯ মার্চ দিবাগত রাত দুইটায় ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে যাবে। অর্থাৎ ওইদিন রাত দুইটায় অর্থাৎ ১০ মার্চ প্রথম প্রহরে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে তিনটা করতে হবে। সে অনুযায়ী ১০ মার্চ থেকে ‘ডে লাইট সেভিং’ সময় শুরু হচ্ছে।
আগামী ৩ নভেম্বর রাত ২টার সময় ঘড়ির কাঁটা আবারা এক ঘণ্টা পিছিয়ে ‘স্ট্যান্ডার্ড টাইম’ করা হবে। অর্থাৎ ৪ নভেম্বর থেকে গণনা হবে স্ট্যান্ডার্ড টাইম। যুক্তরাষ্ট্রে ডে লাইট সেভিংয়ের সময়সূচি চালুর ফলে বাংলাদেশে যখন বেলা ১২টা বাজবে, নিউইয়র্কে তখন রাত ২টা হবে। ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে অ্যারিজোনা এবং হাওয়াই ছাড়া ৪৮টি অঙ্গরাজ্যে ‘ডে লাইট সেভিং’ চালু আছে।
ডে লাইট সেভিং টাইম হচ্ছে কোন অঞ্চলের ভৌগলিক সময়ের সাথে কিছু সময় যোগ করে সময়ের কাঁটা এগিয়ে দেয়া। এটি সাধারণত পৃথিবীর সেসব অঞ্চলে দেখা যায়, যেসব অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল ক্ষণস্থায়ী, অর্থাৎ শীতপ্রধান দেশসমূহে। সাধারণত বসন্তকালের শেষে এ সময় সংযোজনটি করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের ৭০টি দেশে পুরো না হলেও আংশিকভাবে এ নিয়মটি চালু আছে।
ইতিহাস বলছে, ‘ডে লাইট সেভিং’ নামে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে নেয়া বা গ্রীষ্মকালের পর এক ঘণ্টা পিছিয়ে নেয়া আমেরিকার শতাব্দী-প্রাচীন ঐতিহ্য। প্রথম মহাযুদ্ধের সময় আমেরিকা এবং ইউরোপের একাংশজুড়ে দিনের আলো সাশ্রয়ের জন্য ‘ডে লাইট সেভিং’ চালু হয়। ১৯১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এ নিয়ে বিল উপস্থাপন করে দিনের আলো সাশ্রয়ের এ নিয়ম গৃহীত হয়। আমেরিকায় দীর্ঘদিন এটি চালু ছিল এপ্রিলের শেষ রোববার থেকে অক্টোবর মাসের শেষ রোববার পর্যন্ত। ২০০৫ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সময় জ্বালানি আইনের সঙ্গে ‘ডে লাইট সেভিং’ সময় আরো চার সপ্তাহ বাড়িয়ে দেয়া হয়। এখন যা মার্চ মাস থেকে শুরু হয়ে নভেম্বর মাস পর্যন্ত চালু থাকে।