রোববার   ২৪ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ৯ ১৪৩২   ২৯ সফর ১৪৪৭

গাজায় ত্রাণ পাঠাতে বন্দর নির্মাণ করবে যুক্তরাষ্ট্র

বিশেষ প্রতিনিধি -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৪:১২ এএম, ৯ মার্চ ২০২৪ শনিবার

প্রেসিডেন্টের স্টেট ইউনিয়ন ভাষণ
 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য অস্থায়ী সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, তা রোধ করতে হবে। গাজায় নিরীহ মানুষের মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলকে দায় নিতে হবে। বৃহস্পতিবার শেষবারের মতো স্টেইট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এসব বলেন। বাইডেন বলেন, আমেরিকার ভেতরে কিংবা বাইরে কোনো অপশক্তির কাছে তিনি মাথা নত করবেন না। দ্বিতীয় মেয়াদে তাকে নির্বাচিত করতে তিনি মার্কিন জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
তুমুল করতালি আর হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলের প্রতিনিধি পরিষদে প্রবেশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নেয়ার পর এটি বাইডেনের চতুর্থ ও শেষ স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণ। বক্তৃতার শুরুতেই তিনি আমেরিকার গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন। বাইডেন বলেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে গণতন্ত্র নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সংঘাতের কোনো স্থান নেই। ট্রাম্পকে ইঙ্গিত করে বাইডেন বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচনে জয়ী হলেই কেউ দেশকে ভালবাসবে-এ হতে পারে না। নির্বাচনে হারলেও দেশের প্রতি ভালবাসা থাকতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষণে উঠে আসে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন প্রসঙ্গ। বাইডেন বলেন, বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠায় ন্যাটোকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। সুইডেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভূক্ত করার কথা জানিয়ে বাইডেন কংগ্রেসে অতিথি হয়ে উপস্থিত থাকা সেদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক বিপর্যস্ত দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত তিরিশ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতিম হয়েছে হাজার হাজার শিশু। তিনি বলেন, হামাসের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে গাজার নিরীহ মানুষের মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলকে দায় নিতে হবে। গাজায় খাবার, পানি ও জরুরি ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সেখানে সমুদ্র বন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে বাইডেন জানান, ইতোমধ্যে তিনি এ ব্যাপারে মার্কিন সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হামাসের হামলায় নিহত নিরীহ ইসরায়েলী পরিবারের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান তাঁর ভাষণে।
জো বাইডেনের ভাষণের একটি বড় অংশজুড়ে ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও বন্দুক সহিংসতার বিষয়। তিনি বলেন, তাঁর এখন বয়স হয়েছে কিন্তু তিনি একজন তরুণের মতোই স্বপ্ন দেখেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় গণতান্ত্রিক উচ্চতায় থাকবে ও বন্দুক সহিংসতা মুক্ত হবে।  
জো বাইডেনের ভাষণটি ছিল অত্যন্ত জ্বালাময়ী ও ভীষণ রাজনৈতিক। এমন এক সময় তিনি জাতির উদ্দেশ্যে এই ভাষণ দিলেন যখন একদিন আগেই সুপার টিউসডেতে প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গেছে আবারও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি হচ্ছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বছর ৫নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।