সোমবার   ২৫ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ১০ ১৪৩২   ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ইরানের ভয়ংকর যুদ্ধজাহাজে দুশ্চিন্তায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল!

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০২৪ রোববার

উত্তেজনার মধ্যেই নতুন একটি যুদ্ধজাহাজ প্রকাশ্যে এনেছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরান। নতুন এই যুদ্ধজাহাজ একটানা ১৪ দিন চলতে পারবে। জাহাজের ২ হাজার নটিক্যাল মাইলের মধ্যে নজরদারি চালাতে পারবে না শত্রুরা। শনিবার (৬ জানুয়ারি) ফার্স নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন এ যুদ্ধজাহাজটি শত্রুর রাডার ফাঁকি দিতেও সক্ষম। এটি নির্মাণে ইরানের তিনটি কোম্পানির ১৫ মাস সময় লেগেছে। আগামী ১৫ মাসে আইআরজির বিশেষজ্ঞরা আরও তিনটি যুদ্ধজাহাজ তৈরি করবে বলে জানিয়েছে তেহরান।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিরসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেন, আইআরজিরসি’র নৌ শাখা বেশ কয়েক ধরনের যুদ্ধজাহাজ ও নৌযান হাতে পেয়েছে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব যুদ্ধ জাহাজ ও সামরিক সরঞ্জাম শত্রুদের বিরুদ্ধে আক্রমণের ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী।

আইআরজিসি’র কাছে হস্তান্তর করা যুদ্ধজাহাজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আবু মাহদি আল-মুহান্দিস’। ইরাকের হাশদ আশ-শাবির সাবেক সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু আল-মুহান্দিস ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানি সঙ্গে নিহত হয়েছিলেন। এ জন্য তার নাম অনুসারে এই জাহাজের নামকরণ করেছে ইরান।

আইআরজিসিসি আবু মাহাদি যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি ‘তারেক’ ও ‘আশুরা ক্লাস’ যুদ্ধযান হাতে পেয়েছে। যেগুলোয় ইরানের কাউসার ক্ষেপণাস্ত্র বসানো যাবে। এসব জাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে ধ্বংস করা যাবে শত্রু পক্ষের যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।

জেনারেল হোসেইন সালামি আরও বলেন, যুদ্ধে জেতার মতো প্রয়োজনীয় সমস্ত উপকরণ আবু মাহদি যুদ্ধজাহাজে আছে। এখন আইআরজিসি’র নৌ শাখার সদস্যদের শত্রুর যে কোনো পয়েন্টে পৌঁছানোর মতো সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

গেল বছরের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের নজিরবিহীন হামলার দুদিন পরই ইসরায়েলকে সাহায্য করার জন্য ভূমধ্যসাগরে একটি বিমানবাহী রণতরী পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। বসে থাকেনি ইরানও। ভূমধ্যসাগরে মার্কিন সেনারা তাদের সবচেয়ে আধুনিক রণতরী মোতায়েনের পর পরই লোহিত সাগরে প্রবেশ করে ইরানের আলবোর্জ যুদ্ধজাহাজ। তেহরান যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করার পর পরই ভূমধ্যসাগর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরীটি প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন কৌশলের অংশ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই অবস্থায় ইরান নতুন যুদ্ধজাহাজ প্রকাশ্যে আনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দুশ্চিন্তা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।