মঙ্গলবার   ২৬ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ১০ ১৪৩২   ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর ১৮ শতাংশ বেড়েছে দেউলিয়াত্বের আবেদন

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৮:১৬ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার

উচ্চ সুদহার, কঠোর ঋণ নীতিমালা ও মহামারীর সময়ের প্রণোদনা কর্মসূচি শেষ হওয়ায় ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দেউলিয়াত্বের আবেদন ১৮ শতাংশ বেড়েছে। তবে দেউলিয়াত্ব আবেদনের পরিমাণ এখনো প্রাক-কভিড স্তরের নিচে রয়েছে। ডাটা ফার্ম এপিক এএসিইআরের তথ্যানুযায়ী, বিদায়ী বছরে ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক মিলিয়ে মোট দেউলিয়াত্বের আবেদনের সংখ্যা ৪ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর রয়টার্স।

আর্টিকেল ১১-এর  অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো দেউলিয়াত্বের আবেদন করে। এর মাধ্যমে কোম্পানি পুনর্গঠন করে আর্থিক সমস্যার সমাধান করা হয়।

বাণিজ্যিক দেউলিয়াত্বের আবেদনের সংখ্যা ২০২২ সালের ৩ হাজার ৮১৯ থেকে ৭২ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৫৬৯-এ দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ব্যক্তিগত দেউলিয়াত্বের আবেদন সংখ্যা ২০২২ সালের ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯১১ থেকে ১৮ শতাংশ বেড়ে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৫-এ দাঁড়িয়েছে।

ডিসেম্বরে  মোট ৩৪ হাজার ৪৪৭টি দেউলিয়াত্বের আবেদন জমা পড়েছে, নভেম্বরে যা ছিল ৩৭ হাজার ৮৬০টি। তার পরও ২০২২ সালের ডিসেম্বরের  তুলনায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দেউলিয়াত্বের আবেদন বেড়েছে ১৬ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রে দেউলিয়াত্বের আবেদন বাড়লেও ২০১৯ সালের তুলনায় তা অনেক কম। সে বছরে মোট ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৮১৬টি দেউলিয়াত্বের আবেদন জমা পড়েছিল। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালেও দেউলিয়াত্বের আবেদন বাড়তে পারে। 

এপিকের মাইকেল হান্টার জানান, গত বছর দেউলিয়াত্ব আবেদন সংখ্যা বেড়েছে। এটি প্রত্যাশিত। তবে মহামারীর সময়ে প্রণোদনা কর্মসূচি শেষ হওয়া, উচ্চ সুদহার, ঋণ পরিশোধ কমে আসা ও গৃহঋণ বেড়ে যাওয়ায় ২০২৪ সালেও দেউলিয়াত্বের আবেদন বাড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

নিউইয়র্ক ফেডের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহ ঋণের পরিমাণ ১৭ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তবে তা প্রাক-মহামারী স্তরের নিচে রয়েছে। 

গত দুই বছরে মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ফেডারেল রিজার্ভের আগ্রাসী সুদহার বৃদ্ধির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ও পরিবারগুলো আর্থিক চাপের সম্মুখীন হয়েছে। তবে ২০২৩ সালের শেষে ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার বৃদ্ধির চক্রের সমাপ্তি করার আশায় সামগ্রিক আর্থিক পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হয়েছে। কর্মকর্তারা এখন আশা করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চলতি বছর সুদহার কমানো শুরু করবে।