বুধবার   ২৭ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ১২ ১৪৩২   ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ফেঁসে যাচ্ছেন হাজারো বাংলাদেশি ব্যবসায়ী

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৫:১৭ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার

করোনাকালীন ভুয়া তথ্য দিয়ে সরকারি সাহায্য গ্রহণ : তদন্তে আইআরএস

 
আজকাল রিপোর্ট -
করোনাকালীন অসত্য তথ্য দিয়ে সরকারি অনুদান নেয়ার বিষয়ে আইআরএস-এর তদন্তে এখন ফেঁসে যাচ্ছেন হাজার হাজার আমেরিকান ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী রয়েছেন বলেও জানা গেছে।
জানা গেছে, করোনা মহামারির সময়ে অসত্য তথ্য প্রদান করে কেয়ার অ্যাক্ট এর আওতায় ব্যবসা বাণিজ্য দেখিয়ে অনেকেই লাখ লাখ ডলার সরকারের কাছ থেকে লোন বা অনুদান নিয়েছেন। পে-চেক প্রোটেকশন প্রোগ্রাম (পিপিপি) ও স্মল বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (এসবিএ) লোন নিয়েছেন অনেকেই। শর্ত পূরণ সাপেক্ষে পিপিপি লোন অপরিশোধযোগ্য। ব্যবসা দেখিয়ে এই দুটি খাতে বহু আমেরিকান ১০ হাজার থেকে মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ঋণ নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব অর্থ ব্যবসা খাতে বিনিেিয়াগ না করে ভিন্ন খাতে ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা অপরিশোধ যোগ্য ক্রেডিট পেয়েছেন ‘এমপ্লয়ি রিটেশন ক্রেডিট’ কর্মসূচির আওতায়। যেসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ৩- এর অধিক কর্মচারি রয়েছে তারা প্রতিজন কর্মচারির বিপরীতে ২৬ হাজার ডলার পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। সর্বোচ্চ ৪৯৯ জন কর্মীর বিপরীতে এ ক্রেডিট লাভের বিধান ছিল। এই বিধানকেই বিপুল পরিমাণ ডলার লাভের সুযোগ হিসেবে নিয়ে হাজার হাজার আমেরিকান ব্যবসায়ী এই কর্মসূচির আওতায় ‘ভূয়া’ কোম্পানী দেখিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। আইআরএস এর তদন্তে এ সংক্রান্ত সব ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। ব্যবসা ও কর্মচারিদের জন্য এসব অর্থ ব্যয় না করে ব্যবসায়ীরা প্রমোদতরী, বিলাস বহুল বাড়ি এমনকি হেলিকপ্টার কেনার মতো বিলাসিতাও করেছে। অনেকে জালিয়াতি করে কর্মচারির সংখ্যা বেশি দেখিয়েও সরকারের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছে। অনেকেই রাতারাতি  তৈরি করেছেন ভূয়া কোম্পানী ও ভুয়া কর্মচারি।
আইআরএস এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যারা অসত্য তথ্য দিয়ে ‘এমপ্লয়ি রিটেনশন ক্রেডিট’ নিয়েছেন তাদেরকে দেয়া অর্থ ফেরত চাওয়া হচ্ছে। গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ৫ দিনেই এ ব্যাপারে ২০ হাজার চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে দেয়া ‘ইআরসি’ ক্রেডিট ফেরত চেয়ে ‘ডিসএলাউন্স’ লেটার পাঠানো হয়েছে। নিউইয়র্কে ২ জন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এ ধরনের চিঠি পেয়েছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানাজানি হবার পর বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। অনেকেই এ ধরনের চিঠি পাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন।  
আইআরএস এর তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, কয়েক লাখ ব্যবসায়ী অসত্য তথ্য পরিবেশন করে ‘ইআরসি’র আওতায় মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ট্যাক্স ক্রেডিট গ্রহণ করেছে। এ সমুদয় অর্থ ফেরত চেয়ে সংস্থাটি ক্রেডিট ‘ডিসএলাউড’ সংক্রান্ত চিঠি ‘১০৫সি’ পাঠানো শুরু করেছে। আইআরএস কমিশনার ড্যানি ওয়ারফেল বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে এ ধরনের চিঠি অনেকেই পাবেন। প্রতিদিনই আমরা অসংখ্য অনিয়মের তথ্য পাচ্ছি। প্রতারণার মাধ্যমে যারা ইআরসি ক্রেডিট বা পিপিপি লোন নিয়েছেন তাদেরকে জরিমানা ও সুদ সহ সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে হবে। তবে যারা চিঠি পাবার আগেই স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে অর্থ ফেরত দেবেন তারা জরিমানার আওতায় পড়বেন না।