বৃহস্পতিবার   ২৮ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ১৩ ১৪৩২   ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ট্রাম্পের পথ সুগম করে সরে দাঁড়ালেন ‘বিশ্বাসঘাতক’ পেন্স

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৯:০২ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৩ রোববার

যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, ‘এটি আমার সময় নয়’। শনিবার (২৮ অক্টোবর) লাস ভেগাসে রিপাবলিকান ইহুদি জোটের এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন পেন্স।

পরে এক বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দলের এ নেতা লিখেছেন, আমরা সবাই জানতাম, কঠিন লড়াই হবে। কিন্তু আমার কোনো অনুশোচনা নেই।

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ রিপাবলিকান নেতাদের মধ্যে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানো প্রথম ব্যক্তি হলেন মাইক পেন্স।

অবশ্য সাম্প্রতিক জনপ্রিয়তার জরিপে বেশ পিছিয়ে পড়েছিলেন তিনি। নিজ দলের ভোটারদের সমর্থন পেতে বেগ পেতে হচ্ছিল তার।

নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে ঋণের বোঝাও বড় হয়ে গিয়েছিল পেন্সের। গত সেপ্টেম্বর শেষে তার ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ২১ হাজার মার্কিন ডলার। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ১২ লাখ ডলার, যা তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অনেক কম।

এ অবস্থায় এক বিবৃতিতে মাইক পেন্স তার সমর্থকদের বলেছেন, আমি [নির্বাচনী] প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। কিন্তু রক্ষণশীল মূল্যবোধের জন্য লড়াই থেকে কখনো সরবো না।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার পর প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছিলেন পেন্স। ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়কে ট্রাম্প স্বীকৃতি না দিলেও পেন্স দিয়েছিলেন।

ওই নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার দাবিতে সমর্থন না দেওয়ায় পেন্সের ‘সাহসের অভাব’ রয়েছে বলে কঠোর সমালোচনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার সময় ‘পেন্সকে ফাঁসিতে ঝোলাও’ স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছিল ট্রাম্প সমর্থকদের। তাদের অনেকে আজও সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্টকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে মনে করেন।

গত মার্চে পেন্স অভিযোগ করেন, ট্রাম্প দাঙ্গাবাজদের উৎসাহ দেওয়ায় সেদিন তার পরিবার ও ক্যাপিটল হিলে সবার জীবন ঝুঁকিতে পড়েছিল।

প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানো সংক্রান্ত বিবৃতিতে রিপাবলিকান পার্টির আর কোনো নেতার কথা উল্লেখ করেননি পেন্স। তিনি সব মার্কিন ভোটারকে এমন নেতাকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন, ‘যিনি শুধু বিজয়ের দিকেই নিয়ে যাবেন না, বরং সেসব সম্মানিত নীতিগুলো ফিরিয়ে আনবেন, যা যুক্তরাষ্ট্রকে সবসময় শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও মুক্ত করেছে।’