বুধবার   ২২ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১   ১৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মানুষের ধ্বংসই শয়তানি শক্তির আরাধ্য

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:০২ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

মোকাররম হোসাইন: শয়তান বা অশুভ শক্তি ধর্ম, ধর্মনিরপেক্ষ, নাস্তিকতা সব ধারাতেই সমান হাজির থাকতে পারে। মানুষের ওপর আল্লাহর অর্পিত রব্বানিয়াত বা পালনকর্তাসূলভ খেলাফতি দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে মানুষ শয়তান শক্তির প্রতিপক্ষ হিসেবে সক্রিয় থাকে। ইব্রাহিমি একত্ববাদে আল্লাহকে শুভ শক্তি ও শয়তানকে অশুভ শক্তি হিসেবে দেখার দ্বৈতবাদিতা নেই। আল্লাহ শুভ ও অশুভ দুই সত্তার ঊর্ধ্বে। শুভ ও অশুভ মানুষের মধ্যেই বিরাজ করে।

ইব্রাহিমি ধর্মৈতিহ্যে শয়তানি শক্তি মানুষেরই শত্রু। মানুষের ধ্বংসই শয়তানি শক্তির আরাধ্য। মানুষের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টির মধ্য দিয়েই শয়তানি ক্ষমতা সক্রিয় থাকে। মানুষ যখন একদল অন্যদলের বিরুদ্ধে, একজাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে, এক ধর্মেরর অনুসারিরা অন্য ধর্ম অনুসারিদের বিরুদ্ধে, আস্তিকরা নাস্তিকদের বিরুদ্ধে, নাস্তিকরা আস্তিকদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উৎপাদন করতে থাকে তখন শয়তানি শক্তি শক্তিময় হয়ে উঠে। যতো বেশি মনব বিদ্ধেষ ততো বেশি শয়তানি।

আপনি আল্লাহর অস্তিত্ব স্বীকার করেও যখন প্রাণ, প্রকৃতি ও প্রতিবেশ ও ভিন্ন মতের মানুষের প্রতি বিরূপ জীবন যাপন করেন আপনি শয়তানি শক্তির আয়ত্তেই আছেন। প্রাণ, প্রকৃতি ও প্রতিবেশ ধ্বংস মানে মানুষেরই ধ্বংস। মানুষের ধ্বংসই শয়তানের মোক্ষ। রব্বানিয়াত ধর্ম, ধর্মনিরপেক্ষ বা নাস্তিক যে কেউ পালন করতে পারে প্রাণ, প্রকৃতি, প্রতিবেশ ও মানুষের প্রতি প্রেমময় অনুভব থেকে। আবার এদের যে কেউ ঠিক উল্টো পথের পথিকও হতে পারে।

শেষবিচারে মানুষের উপর অর্পিত রবের খেলেফতি দায়িত্ব কে কতটা পালন করেছে তার ভিত্তিতেই ফয়সালা হবে। মানুষ সৃষ্টিই হয়েছে রবের খলিফা হিসেবে। মানুষের দায়িত্ব রবের পক্ষ থেকে সৃষ্টির দেখবাল করা। এই দেখবালের দায়িত্ব পালনই আপনার ধর্ম। আর জগতের সাথে আপনার প্রেমময় সম্পর্ক ছাড়া এই দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়। স্রেফ বিশ্বাস দিয়ে আপনার ঈমান নির্ধারন হবে না। আপনার কর্মই আপনার ঈমানের আয়াত বা চিহ্ন।