বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা কি হলো?
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:২৫ এএম, ২৪ জুন ২০২৩ শনিবার
আজকাল রিপোর্ট -
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি-না তা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ পায়নি সাংবাদিকরা। মাত্র দুটি প্রশ্ন নিয়ে তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তাই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ রহস্যাবৃত রয়ে গেল। তবে ব্রিফিংয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যু ও নিরাপত্তা নিয়ে বাইডেনের সাথে তাঁর আলোচনা হয়েছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, এই ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ আলোচনায় উঠতে পারে।
এরআগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন প্রেস সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক অ্যাডমিরাল জন কিরবি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে ভারতকে কথা বলার সুযোগ দেবে যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান থেকে কথা বলবে। যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এ কর্মকর্তার বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ যে আলোচনায় থাকতে পারে তার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে বৈঠক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরও এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন প্রেস সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক অ্যাডমিরাল জন কিরবি। সেখানে বাংলাদেশি একজন সাংবাদিক জানতে চান, ‘বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির মূল উপাদান গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। আপনি কি মনে করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরে আঞ্চলিক গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে?’ জবাবে জন কিরবি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেখানেই যান না কেন বা যে নেতার সঙ্গেই কথা বলেন না কেন, মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরা স্বাভাবিক বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির মূল বিষয় হলো মানবাধিকার। তাই আপনারা নিশ্চিতভাবেই আশা করতে পারেন যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) উদ্বেগের কথা তুলে ধরবেন।’ জন কিরবি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন সব সময় এটি করে থাকেন। আপনারাও আপনাদের বন্ধু ও অংশীদারদের সঙ্গে এটি করেন।’
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রশ্ন ছিল, যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সমর্থনে ভিসানীতি গ্রহণ করেছে। আপনি কি মনে করেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারত বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার সঙ্গে থাকবে? জবাবে জন কিরবি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে ভারত সরকারকে কথা বলতে দেব। আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। বাংলাদেশের নির্বাচনকে হেয় করা ব্যক্তিদের ভ্রমণ সীমিত করতে আমরা আমাদের ভিসানীতি প্রণয়ন করেছি।’ কিরবি আরো বলেন, ‘আমরা কেবল আমাদের পক্ষে কথা বলতে পারি। আর আপনারা জানেন, আমাদের অবস্থান কী। আমরা আমাদের প্রত্যাশার বিষয়ে প্রকাশ্যে বলেছি। তবে আমরা ভারত সরকারকে তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে দেব।’