প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৪
বাইডেন থেকে এগিয়ে কেনেডি জুনিয়র
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:০৩ এএম, ১৭ জুন ২০২৩ শনিবার

ট্রাম্পের পাশে
নেই মেলানিয়া
আজকাল রিপোর্ট -
রবার্ট ফ্রান্সিস কেনেডি জুনিয়র (আর এফ কে জুনিয়র) ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের দৌড়ে এগিয়ে আছেন। তিনি শুধু ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের তুলনায় এগিয়ে নন। রিপাবলিক্যান ফ্রন্ট রানার ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফ্লোরিডার গর্ভুর রন ডেসেটিস এর চেয়েও এগিয়ে আছেন। বুধাবর ‘দ্যা ইকোনমিস্ট এন্ড ইউগভ’ এর জরিপ তাকে সবচেয়ে ফেভারেবল দেখিয়েছে। তার প্রতি সমর্থন শতকরা ৪৯ ভাগের ওপর। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জনপ্রিয়তায় রয়েছেন শতকরা ৪৪ ভাগে। ভারতীয় বংশোদ্ভুত রিপাবলিকান প্রার্থী ও শিল্প উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামী ও সাউথ ক্যারোলিনা থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান সিনেটর টিম স্কটের জনপ্রিয়তা শতকরা ২৬ ভাগ। নিউ জার্সির সাবেক গর্ভনর ক্রিস ক্রিস্টিও জনপ্রিয়তায় ৫ জনের নীচে। অর্থাৎ ৬ষ্ঠ স্থানে। প্রেসিডেন্ট কেনেডীর ছোট ভাই, আততায়ীর গুলিতে নিহত তৎকালীন অ্যাটর্ণি জেনারেল রবার্ট এফ কেনেডির ছেলে ফ্রান্সিস কেনেডী ভ্যাকসিন বিরোধী একটিভিস্ট। তার বয়স এখন ৬৯। নির্বাচনী প্রচারণায় ক্রমাগত ভালো করছেন তিনি। মিডিয়ার দৃষ্টিও পাচ্ছেন গুরুত্বের সাথে। গত ১৯ এপ্রিল তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। লেখক, পরিবেশবিদ ও কেনেডি পরিবারের এই সদস্যের প্রার্থিতা ঘোষণায় বাইডেন ঘরানায় অস্বস্তির বাতাস বইতে শুরু করেছে। এমনিতেই দলীয় পর্যায়ে বাইডেনের জনপ্রিয়তায় ধ্বস নামছে। অবশ্য ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পুরো এস্টাব্লিসমেন্ট এখনও প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথেই রয়েছে।
মেলানিয়া কোথায়?
হোয়াইট হাউস ছেড়ে আসার পর রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছেন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক কর্মসূচির গোপন নথি নিজের ব্যক্তিগত বাসভবনের বাথরুমে রেখেছিলেন তিনি।
এ অভিযোগে গত মঙ্গলবার মায়ামির ফেডারেল আদালতে শুনানি শুরু হয়। শুনানির আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ট্রাম্পকে গ্রেফতার দেখিয়ে কাঠগড়ায় তোলা হয়। যদিও ট্রাম্প অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে এখন তার প্রচারণায় ব্যস্ত থাকার কথা। সেখানে ট্রাম্পকে বারবার আদালতে ছুটতে হচ্ছে। আইনি মারপ্যাঁচ সামাল দিতে হচ্ছে। কিন্তু এই লড়াইয়ে ট্রাম্পের পাশে নেই স্ত্রী মেলানিয়া। গুঞ্জন উঠেছে— ট্রাম্প ব্যস্ত থাকলে মেলানিয়া কোথায়?
এর আগে সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য সাবেক এক পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় আইনি ঝামেলায় জড়ান ট্রাম্প। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। এ মামলাতেও বারবার আদালতে ছুটতে হয়েছে ট্রাম্পকে। ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কের আদালতে প্রতিবারই লটবহর, মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে হাজির হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু মেলানিয়াকে স্বামীর পাশে একবারও দেখা যায়নি। এমনকি স্বামীর সমর্থনে কোনো বিবৃতিও দেননি তিনি।
যে কোনো স্ক্যান্ডাল বা সংকটের সময় রাজনীতিকদের স্ত্রীরা সব সময় স্বামীর পাশে থেকেছেন। আমেরিকানরা সাধারণত এমনটি দেখে অভ্যস্ত। তাই ট্রাম্পের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে মেলানিয়া ট্রাম্পের পাশে না দেখায় বিষয়টি নজরে এসেছে সবার।
ওহাইও ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক ক্যাথেরিন জেলিসন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্টলেডিদের নিয়ে গবেষণামূলক কাজ করেন। ক্যাথেরিন বলেন, যে কোনো স্ক্যান্ডাল বা সংকটের সময় রাজনীতিকদের স্ত্রীরা সব সময় স্বামীর পাশে থেকেছেন। আমেরিকানরা সাধারণত এমনটি দেখে অভ্যস্ত। তাই ট্রাম্পের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে মেলানিয়ার শারীরিকভাবে পাশে না থাকাটা সবার চোখে পড়েছে।
ট্রাম্প ঝামেলার মধ্যে থাকার ফলে পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন। কিন্তু একবারও মেলানিয়ার নাম নেননি। এ ঘটনা ট্রাম্প-মেলানিয়ার ‘লেনদেনযুক্ত’ বিয়ের গুঞ্জন জোরালো করেছে।
আদালতে অভিযুক্ত হতে যাচ্ছেন, এমন খবর শোনার পর মার-এ-লাগো রিসোর্টে বক্তব্য দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। ওই বক্তব্যের সময়ও স্লোভানিয়ান বংশোদ্ভূত ৫৩ বছর বয়সী সাবেক মডেল মেলানিয়াকে ট্রাম্পের পাশে দেখা যায়নি। মেলানিয়ার বাবা ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন। যদিও মেলানিয়া তখন মার-এ-লাগোতেই ছিলেন।