সীমান্তে অভিবাসীদের ঢল নামার আশঙ্কা
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৫:১০ পিএম, ৬ মে ২০২৩ শনিবার

১১ মে শেষ হয়ে যাচ্ছে ‘টাইটেল ৪২’-এর মেয়াদ
আজকাল রিপোর্ট
১১ মে ‘টাইটেল ৪২’-এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সীমান্তে অভিবাসীদের সম্ভাব্য জন¯্রােত মোকাবিলা নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে জারি করা ‘অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সাথে সাথে বহিস্কার’ সংক্রান্ত আইন ‘টাইটেল ৪২’ এর কার্যকারিতা শেষ হচ্ছে আগামী ১১ মে। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করোনা চলাকালীন সময়ে অধ্যাদেশ আকারে এটি জারি করেছিলেন। বাইডেনের আমলে গেল বছর আইনটির মেয়াদ শেষ হলেও তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ১১ মে তা আবার তামাদি হবে। আর এ খবরটি মেক্সিকো, কলাম্বিয়া ও গুয়াতেমালাসহ দক্ষিন আমেরিকার দেশগুলোতে ফলাও করে প্রচার হচ্ছে। স্বপ্নের আমেরিকায় আসতে আগ্রহী লাখ লাখ মানুষ ইতোমধ্যেই সীমান্তমুখী হতে শুরু করেছে। একজন উচ্চ পদস্থ সীমান্ত অফিসার কংগ্রেস সদস্যদের বলেছেন ১১ মে’র পর সীমান্ত পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটতে পারে। প্রতিদিন ১০ হাজারের অধিক মাইগ্র্যান্ট দক্ষিন-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করবে। তাদের রোখার মতো জনবল নেই। এমনকি তাদের আটকাতে ও নজরদারি করতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামেরও অভাব রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্ত স্টেট থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট জনপ্রতিনিধিরাও শংকিত।
এমতাবস্থায় আবারও ইমিগ্রেশন রিফর্মের প্রত্যাশায় বাইপার্টিজান আইন প্রনয়নের উদ্যোগের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ক্যাপিটল হিলে। সাবেক ডেমোক্র্যাট ও বর্তমানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট সিনেটর ক্রিস্টিন সিনেমা (আরিজোনা) ও রিপাবলিক্যান থম টিলিস (নর্থ ক্যারোলাইনা) সীমান্ত পরিস্থিতি সাময়িকভাবে হলেও সামাল দেবার জন্য ‘টাইটেল ৪২’-এর মেয়াদ আবারও বাড়াবার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন। এরপর তারা বর্ডার ইমিগ্রেশন রিফর্ম এর উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন সিনেটর সিনেমার মুখপাত্র হান্নাহ হারলি। এ ছাড়া রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস সীমান্তে মাইগ্র্যান্ট ¯্রােত রুখতে আগামী সপ্তাহে কড়া আ্ইন প্রণয়নের প্রস্তাব করবে। এতে এসাইলাম প্রার্থীদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ, সীমান্তে দেয়াল তৈরির কাজ পুনরায় শুরু ও ফেডারেল ল’ এনফোর্সমেন্টের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ থাকবে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকেএ ব্যাপারে নতুন গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সীমান্ত ও ইমিগ্রেশন পলিসি বিষয়ক এসিসট্যান্ট সেক্রেটারি নুনেজ নেটো বলেছেন, সীমান্তে এলেই কাউকে এসাইলাম দেয়া হবে না। তাদের আগে থেকে এসাইলাম আবেদন ফাইল ও এপয়েন্টমেন্ট করে সীমান্তে আসতে হবে। যদি তারা আইন মেনে না আসেন তবে সীমান্ত থেকেই তাদের ফেরত পাঠানো হবে। তিনি বলেছেন, এসাইলাম আবেদনগুলোর এলিজিবিলিটির ওপর সিদ্ধান্ত হবে। তবে মাইগ্র্যান্টদের সহায়তার জন্য কলাম্বিয়া ও গুয়াতেমালায় মাইগ্রেন্ট প্রসেসিং সেন্টার খোলা হবে। বাইডেন প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন রিপাবলিকানরা। তারা বলেছেন, সীমান্ত ক্রস করে আসা প্রতি ১০ জন মাইগ্র্যান্টের মধ্যে ৯ জনই থাকে অবৈধ। তারা আগে থেকে আবেদন করে আমেরিকায় প্রবেশ করে না। তারা বলেছেন, এ সব চটকদারি কথা বাইডেন প্রশাসনের আই ওয়াশ মাত্র।