বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির নাগরিকত্ব লাভ
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৩৪ এএম, ২২ এপ্রিল ২০২৩ শনিবার

ইমিগ্রেশনে গতি ফিরেছে : তিন মাসে প্রায় ৫০ প্রবাসীর এসাইলাম মঞ্জুর
আজকাল রিপোর্ট
ইমিগ্রেশনে গতি ফিরেছে। ইউনাইটেড স্টেটস সিটিজেনশীপ এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) প্রত্যেকটি প্রসেসিং সেন্টারে জনবল বৃদ্ধি করেছে। ইমিগ্রেশনের পুরো প্রক্রিয়াতে গতি আনতে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
২০২৩ সালে দ্রুত সময়ের মধ্যে নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বাইডেন প্রশাসন নির্দেশনা জারি করেছে। পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ নির্দেশনা দিয়েছেন। সিটিজেনশীপ প্রাপ্তিতে অনেক শর্ত সহজ ও শিথিল করা হয়েছে। এখন ন্যাচারালাইজেশনের আবেদনের চার মাসের মধ্যে অনেকেই সিটিজেনশীপের ইন্টারভিউ এর জন্য ডাক পাচ্ছেন। ২০২১ সালে করোনাকালীন সময়ে ১০ হাজার ১ শত বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। গ্রীন কার্ড পেয়েছিলেন ৭ হাজার ৩ শত জন। ২০২০ সালে নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন ৭ হাজার বাংলাদেশি। ২০২২ সালে তা দাঁড়ায় ১১ হাজারে। আবেদনের ট্রেন্ড অনুসারে এ সংখ্যা ২০২৩ সালে ১২ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ তথ্য পিউ রিসার্স সেন্টারের। তাদের তথ্যানুসারে ২০২২ সালে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ৯ লাখ ইমগ্র্যান্ট নাগরিকত্ব পেয়েছে। যা সামপ্্রতিককালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ইউএসসিআইএস এর তথ্যানুসারে ২০২২ সালে ৯ হাজার বাংলাদেশি গ্রীন কার্ড পেয়েছেন।
এদিকে সম্প্রতি প্রচুর বাংলাদেশির রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। তবে তার অধিকাংশই মঞ্জুর হচ্ছে ইমিগ্রেশন কোর্টে। পুরনো কেসগুলো দ্রুত গতিতে নিষ্পন্ন করার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। নিউইয়র্ক স্টেটেই ২০২৩ সালের প্রথম ৩ মাসে দেড় হাজার এসাইলাম আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। বাংলাদেশি একজন ইমিগ্রেশন ল’ ইয়ার জানান, কোর্টে প্রত্যেকদিনই বাংলাদেশিদের আবেদন মঞ্জুর হচ্ছে। প্রতিদিনই কোর্ট থেকে বাংলাদেশিরা হাসিমুখে বের হয়ে আসছেন। তার মতে গত ৩ মাসে প্রায় অর্ধ শতাধিক বাংলাদেশির এসাইলাম আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।
এদিকে গ্রীন কার্ড আবেদনের সাথে ৬০ দিনের মধ্যে মেডিকেল ফরম জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছে। আগে ৬০ দিনের মধ্যে ডাক্তারের স্বাক্ষর সম্বলিত আই-৬৯৩ ফরম জমা না দিলে আবেদন বাতিল হয়ে যেত। ইউএসসিআইএস এখন এ নিয়ম শিথিল করেছে।